alt

সম্পাদকীয়

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

: শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

যোগাযোগ-যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। এ সড়কের ২৫টি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক গর্ত। পাঁচ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনসাধারণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়কটির করুণ অবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্বীকারও করেছেন। তবুও পাঁচ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার হয়নি। বর্ষা মৌসুম শুরু হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে সড়কটির দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হোক সেটাই আমরা চাই। কারো উদাসীনতায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে সেটা কাম্য হতে পারে না।

প্রশ্ন হচ্ছে- রাস্তা তৈরি বা সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয় না কেন। দেখা যায় যে রাস্তা তৈরি বা সংস্কার হতে না হতেই সেটা ভেঙে যাচ্ছে। অভিযোগ আছে, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরি বা সংস্কার করা হয়। সড়ক তৈরিতে নির্মাণ উপকরণ যে পরিমাণ দেয়ার কথা সেটা দেয়া হয় না। এ কারণে সড়ক টেকসই হয় না বলে অভিযোগ ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়ক তৈরির সময় পেভমেন্টে বন্ধনি হিসেবে বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। দেশের অধিকাংশ সড়কই বিটুমিনাস সড়ক। যেসব সড়ক ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের তরল বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ করা হয় সেগুলো গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গলে খানাখন্দ সৃষ্টি করে।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবহনকারী যানবাহনের কারণে বছরে দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করতে হয়। কিন্তু ‘এক্সেল লোড নীতিমালা’ অনুযায়ী উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়কে ৮ দশমিক ২ টন এবং গ্রামীণ সড়কে ৫ টনের বেশি পণ্যবহনকারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। বাস্তবে এটা কেউ মেনে চলে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ আইন মানতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয় না। অতিবৃষ্টি, সড়কের পাশের পুকুরের পাড় বাঁধানো না থাকা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলেও সড়ক টেকসই হয় না।

শুধু আখাউড়ার সড়কই নয়, দেশের অগণিত সড়কের অবস্থা করুণ। বর্ষা মৌসুম দোরগোড়ায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আখাউড়াসহ দেশের যেখানে যেখানে যেসব সড়ক সংস্কার করা হয়নি সেটা সংস্কার করবে- সেই প্রত্যাশা করি।

লোকালয়ে বন্যহাতি

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

পূর্বধলায় সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নাব্য সংকট দূর করুন

সমুদ্রস্নানে পর্যটকের মৃত্যু

হারভেস্টারে ধান কাটায় বেশি টাকা নেয়ার কারণ কী

দরিদ্রদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করুন

নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ করা জরুরি

বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ উদ্ধার করুন

নারী ও কন্যাশিশুকে সাইবার সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে

দূষণ রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভূমিকম্প : ভবিষ্যতের বিপদ মোকাবিলায় টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

টেকসই শান্তির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি

দেওয়ানগঞ্জে যমুনার বালু তোলা বন্ধ হোক

নামমাত্র মূল্যে গাছ বিক্রির অভিযোগ আমলে নিন

শরণখোলা হাসপাতালে লোকবল নিয়োগে ব্যবস্থা নিন

নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

tab

সম্পাদকীয়

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

যোগাযোগ-যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। এ সড়কের ২৫টি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক গর্ত। পাঁচ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনসাধারণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সড়কটির করুণ অবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্বীকারও করেছেন। তবুও পাঁচ বছর ধরে সড়কটি সংস্কার হয়নি। বর্ষা মৌসুম শুরু হচ্ছে। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে সড়কটির দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হোক সেটাই আমরা চাই। কারো উদাসীনতায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাবে সেটা কাম্য হতে পারে না।

প্রশ্ন হচ্ছে- রাস্তা তৈরি বা সংস্কারের পর সেটা টেকসই হয় না কেন। দেখা যায় যে রাস্তা তৈরি বা সংস্কার হতে না হতেই সেটা ভেঙে যাচ্ছে। অভিযোগ আছে, নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরি বা সংস্কার করা হয়। সড়ক তৈরিতে নির্মাণ উপকরণ যে পরিমাণ দেয়ার কথা সেটা দেয়া হয় না। এ কারণে সড়ক টেকসই হয় না বলে অভিযোগ ওঠে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়ক তৈরির সময় পেভমেন্টে বন্ধনি হিসেবে বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। দেশের অধিকাংশ সড়কই বিটুমিনাস সড়ক। যেসব সড়ক ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের তরল বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ করা হয় সেগুলো গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গলে খানাখন্দ সৃষ্টি করে।

এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবহনকারী যানবাহনের কারণে বছরে দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করতে হয়। কিন্তু ‘এক্সেল লোড নীতিমালা’ অনুযায়ী উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়কে ৮ দশমিক ২ টন এবং গ্রামীণ সড়কে ৫ টনের বেশি পণ্যবহনকারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। বাস্তবে এটা কেউ মেনে চলে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ আইন মানতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয় না। অতিবৃষ্টি, সড়কের পাশের পুকুরের পাড় বাঁধানো না থাকা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলেও সড়ক টেকসই হয় না।

শুধু আখাউড়ার সড়কই নয়, দেশের অগণিত সড়কের অবস্থা করুণ। বর্ষা মৌসুম দোরগোড়ায়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আখাউড়াসহ দেশের যেখানে যেখানে যেসব সড়ক সংস্কার করা হয়নি সেটা সংস্কার করবে- সেই প্রত্যাশা করি।

back to top