প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা বৃদ্ধ, বিধবা, দুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষকে সহায়তা করার জন্য দেশে বিভিন্ন ধরনের মাসিক ভাতা চালু রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পুরুষদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর বয়সীরা বয়স্ক ভাতার জন্য তালিকাভুক্ত হন। এছাড়া ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতা’ বা ‘বিধবা ভাতা’ও চালু রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মরনী রাজবংশীর বয়স হয়েছে ৯৪ বছর। এখনো তিনি পাননি বয়স্ক ভাতার কার্ড। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি কার্ড। তার প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাব? এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক তথ্য অনুযায়ী, দেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয় ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে। পরের বছর থেকে বিধবা ভাতা কর্মসূচি চালু হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। কিন্তু এত দিনেও মরনী রাজবংশী বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর মোট সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার। আর বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার। এত সংখ্যক মানুষের মধ্যেও তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা।
মরনী রাজবংশী একাই নন। তিনি একটা উদাহরণমাত্র। তার মতো দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেটা পান না। ভাতাবঞ্চিত এসব মানুষের অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অনেক অযোগ্য ব্যক্তি ভাতা পান। আবার মরনী রাজবংশীর মতো অনেকে বছরে পর বছর ভাতা পান না। তালিকা নিয়ে নয়-ছয় হওয়ার কারণে তারা বঞ্চিত হন। এক্ষেত্রে সাধারণত এক শ্রেণির জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
সামাজিক সুরক্ষাখাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে অনেক প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবেন। অযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রকৃত দুস্থ ব্যক্তিদেরই তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রতিবছর তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি। যারা তালিকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
মরনী রাজবংশী জীবদ্দশায় বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।
শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা বৃদ্ধ, বিধবা, দুস্থ ও প্রতিবন্ধী মানুষকে সহায়তা করার জন্য দেশে বিভিন্ন ধরনের মাসিক ভাতা চালু রয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পুরুষদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬৫ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৬২ বছর বয়সীরা বয়স্ক ভাতার জন্য তালিকাভুক্ত হন। এছাড়া ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতা’ বা ‘বিধবা ভাতা’ও চালু রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মরনী রাজবংশীর বয়স হয়েছে ৯৪ বছর। এখনো তিনি পাননি বয়স্ক ভাতার কার্ড। জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি কার্ড। তার প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাব? এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক তথ্য অনুযায়ী, দেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয় ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে। পরের বছর থেকে বিধবা ভাতা কর্মসূচি চালু হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। কিন্তু এত দিনেও মরনী রাজবংশী বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বয়স্ক ভাতাভোগীর মোট সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার। আর বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার। এত সংখ্যক মানুষের মধ্যেও তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা।
মরনী রাজবংশী একাই নন। তিনি একটা উদাহরণমাত্র। তার মতো দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সেটা পান না। ভাতাবঞ্চিত এসব মানুষের অনেকেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অনেক অযোগ্য ব্যক্তি ভাতা পান। আবার মরনী রাজবংশীর মতো অনেকে বছরে পর বছর ভাতা পান না। তালিকা নিয়ে নয়-ছয় হওয়ার কারণে তারা বঞ্চিত হন। এক্ষেত্রে সাধারণত এক শ্রেণির জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
সামাজিক সুরক্ষাখাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে অনেক প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবেন। অযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রকৃত দুস্থ ব্যক্তিদেরই তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রতিবছর তালিকা হালনাগাদ করা জরুরি। যারা তালিকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কেউ দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
মরনী রাজবংশী জীবদ্দশায় বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।