মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। পৌর এলাকার নিত্যদিনের বর্জ্য সেখানে ফেলা হচ্ছে। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে। ময়লার ভাগাড় সরানোর দাবিতে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশকে স্মার্ট বানানোর কথা বলা হচ্ছে। সরকার বলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে আজ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যায়নি। যেটা আরও আগে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। নগর ব্যবস্থাপনা বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু দেশে শহর-নগর গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। নগরগুলোকে যে সুশৃঙ্খল করা হবে তারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই একুশ শতকেও নগরবাসীকে ময়লার ভাগাড় অপসারণের জন্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে কর্মসূচি পালন করতে হয়। শুধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলেই নয়, দেশের বিভিন্ন শহর ও নগরে এভাবে নাগরিকদের দাবি আদায়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখা গেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো একটা ন্যূনতম নাগরিক সেবাই যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে দেশকে টেকসইভাবে স্মার্ট হিসেবে কিভাবে গড়ে তোলা হবে- সেটিই একটা প্রশ্ন।
শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় সরানোর যে দাবি তুলেছে সেটা আমলে নিতে হবে। ভাগাড় সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
নগর বা পৌর কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হয় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। কর্তৃপক্ষগুলো যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করত, তাহলে পথে পথে এভাবে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠত না। আর নাগরিকদেরও পথে বা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় সরানোর জন্য আন্দোলন করতে হতো না।
শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। পৌর এলাকার নিত্যদিনের বর্জ্য সেখানে ফেলা হচ্ছে। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে। ময়লার ভাগাড় সরানোর দাবিতে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশকে স্মার্ট বানানোর কথা বলা হচ্ছে। সরকার বলছে, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে আজ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যায়নি। যেটা আরও আগে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। নগর ব্যবস্থাপনা বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু দেশে শহর-নগর গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। নগরগুলোকে যে সুশৃঙ্খল করা হবে তারও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই একুশ শতকেও নগরবাসীকে ময়লার ভাগাড় অপসারণের জন্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে কর্মসূচি পালন করতে হয়। শুধু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলেই নয়, দেশের বিভিন্ন শহর ও নগরে এভাবে নাগরিকদের দাবি আদায়ে রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখা গেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো একটা ন্যূনতম নাগরিক সেবাই যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে দেশকে টেকসইভাবে স্মার্ট হিসেবে কিভাবে গড়ে তোলা হবে- সেটিই একটা প্রশ্ন।
শ্রীমঙ্গলের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় সরানোর যে দাবি তুলেছে সেটা আমলে নিতে হবে। ভাগাড় সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
নগর বা পৌর কর্তৃপক্ষ গড়ে তোলা হয় নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। কর্তৃপক্ষগুলো যদি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করত, তাহলে পথে পথে এভাবে ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠত না। আর নাগরিকদেরও পথে বা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় সরানোর জন্য আন্দোলন করতে হতো না।