alt

সম্পাদকীয়

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

: রোববার, ১৪ মে ২০২৩

দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি। এ উদ্যানে পর্যটকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য রেস্তোরাঁ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদনও দিয়েছে উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ স্থাপন করা যায় কিনা-সেই প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ হলে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। এতে উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে। বনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যও ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এটা পাখিদের অভয়াশ্রমও বটে। ১৯৭ প্রজাতির পশুপাখির বসবাস এ উদ্যানে। সেখানে চশমা পরা হনুমান, লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, কুলু বানর, মেছোবাঘ ও মায়া হরিণের মতো প্রাণী বাস করে।

বন বিভাগ ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্য প্রাণী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ ব্যবসা খোলার অনুমোদন দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। অথচ জাতীয় উদ্যানের ভেতরে এ ধরনের পাকা ঘর নির্মাণের কোনো আইনি বিধান নেই। জাতীয় উদ্যান ঘোষণাবিষয়ক ১৭ নম্বর ধারায় জাতীয় উদ্যানে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আশার কথা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্যানের ভেতর স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সেখানে যেন আবার এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আইন অমান্য করে উদ্যানের ভেতর রেস্তোরাঁ স্থাপনের অনুমোদন কেন দেওয়া হলো সেটি দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আইন ভঙ্গ করে উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু সাতছড়ি উদ্যানই নয়, দেশে এমন অনেক উদ্যানের পরিবেশই নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া যায়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, যাদের উদ্যান রক্ষা করবার কথা তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ নষ্ট করবার অভিযোগ ওঠে।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আগের সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেখানে এখন পর্যন্ত যে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা ভেঙে ফেলতে হবে। অভয়ারণ্যে পশুপাখির নিরুপদ্রব বাস নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

রোববার, ১৪ মে ২০২৩

দেশের অন্যতম জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি। এ উদ্যানে পর্যটকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য রেস্তোরাঁ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদনও দিয়েছে উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ স্থাপন করা যায় কিনা-সেই প্রশ্ন উঠেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ হলে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। এতে উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে। বনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যও ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এটা পাখিদের অভয়াশ্রমও বটে। ১৯৭ প্রজাতির পশুপাখির বসবাস এ উদ্যানে। সেখানে চশমা পরা হনুমান, লজ্জাবতী বানর, উল্লুক, কুলু বানর, মেছোবাঘ ও মায়া হরিণের মতো প্রাণী বাস করে।

বন বিভাগ ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্য প্রাণী সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি উদ্যানের ভেতরে রেস্তোরাঁ ব্যবসা খোলার অনুমোদন দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। অথচ জাতীয় উদ্যানের ভেতরে এ ধরনের পাকা ঘর নির্মাণের কোনো আইনি বিধান নেই। জাতীয় উদ্যান ঘোষণাবিষয়ক ১৭ নম্বর ধারায় জাতীয় উদ্যানে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আশার কথা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্যানের ভেতর স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সেখানে যেন আবার এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আইন অমান্য করে উদ্যানের ভেতর রেস্তোরাঁ স্থাপনের অনুমোদন কেন দেওয়া হলো সেটি দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আইন ভঙ্গ করে উদ্যানে স্থাপনা নির্মাণে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু সাতছড়ি উদ্যানই নয়, দেশে এমন অনেক উদ্যানের পরিবেশই নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া যায়। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, যাদের উদ্যান রক্ষা করবার কথা তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ নষ্ট করবার অভিযোগ ওঠে।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আগের সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেখানে এখন পর্যন্ত যে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে তা ভেঙে ফেলতে হবে। অভয়ারণ্যে পশুপাখির নিরুপদ্রব বাস নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব।

back to top