alt

সম্পাদকীয়

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাশের ৫০টি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে একটি চক্র। ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদের দুই পাড়ে। অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বুধবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা অবৈধভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে কীভাবে। বালু তোলা বন্ধ করতে প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। তবে অভিযানে সাধারণত গ্রেপ্তার হন শ্রমজীবী মানুষ। রাঘববোয়ালরা ঠিকই থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদ-নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারণে পানিদূষিত হচ্ছে। নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটছে। এতে নদী ভাঙছে। নদ-নদীর হাইড্রোলজিক্যাল কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যে নদ-নদীর বালু উত্তোলন করা হয় তার আশপাশের মাটি ক্ষয়ে যায়, সেই সঙ্গে মাটির গুণাগুণও নষ্ট হয়।

২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা অনেকেই মানছে না কেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও আইন মানাতে বাধ্য করার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

শুধু জামালপুরের ব্রহ্মপুত্র নদই নয় দেশের অনেক নদ-নদী বালুখেকোদের কবলে পড়েছে। তারা নদ-নদী বা পরিবেশের তোয়াক্কা করে না। রাত-দিন বালু তুলে নিজেদের পকেট ভারি করাই তাদের লক্ষ্য। নদ-নদীর বালু যে তোলা যাবে না তা নয়। তবে সেটা নিয়ম মেনে করতে হবে, পরিকল্পনাহীনভাবে নয়।

আমরা চাই, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ হোক। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা বালু তুলছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চার গ্রামে পাকা রাস্তা চাই

প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

tab

সম্পাদকীয়

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাশের ৫০টি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে একটি চক্র। ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে নদের দুই পাড়ে। অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বুধবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা অবৈধভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এরপরও প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে কীভাবে। বালু তোলা বন্ধ করতে প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। তবে অভিযানে সাধারণত গ্রেপ্তার হন শ্রমজীবী মানুষ। রাঘববোয়ালরা ঠিকই থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদ-নদী থেকে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের কারণে পানিদূষিত হচ্ছে। নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ঘটছে। এতে নদী ভাঙছে। নদ-নদীর হাইড্রোলজিক্যাল কার্যক্রম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যে নদ-নদীর বালু উত্তোলন করা হয় তার আশপাশের মাটি ক্ষয়ে যায়, সেই সঙ্গে মাটির গুণাগুণও নষ্ট হয়।

২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা-বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা অনেকেই মানছে না কেন। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকেও আইন মানাতে বাধ্য করার জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

শুধু জামালপুরের ব্রহ্মপুত্র নদই নয় দেশের অনেক নদ-নদী বালুখেকোদের কবলে পড়েছে। তারা নদ-নদী বা পরিবেশের তোয়াক্কা করে না। রাত-দিন বালু তুলে নিজেদের পকেট ভারি করাই তাদের লক্ষ্য। নদ-নদীর বালু যে তোলা যাবে না তা নয়। তবে সেটা নিয়ম মেনে করতে হবে, পরিকল্পনাহীনভাবে নয়।

আমরা চাই, অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ হোক। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা বালু তুলছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top