alt

সম্পাদকীয়

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে সড়কে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের মাত্র তিন দিনের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্টের ছাদ। প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কালভার্ট দুটি টেকসইভাবে নির্মিত হলে সুন্দরগঞ্জের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধা ভোগ করত; কিন্তু মানুষ তার সুফল ভোগ করার আগেই সেটা ভেঙে পড়ল। আবার রাষ্ট্রের টাকারও অপচয় হলো। যার বোঝা শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের ঘাড়েই চাপে। দেশে ছোট-বড় এমন অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের কল্যাণ করার পরিবর্তে তাদের বোঝায় পরিণত হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঞ্জনিয়ারিং প্লানস্ট্রমেড ছাড়াই প্রকল্পের সভাপতি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি তৈরি করেছিলেন। কালভার্টের ছাদ ভেঙে পড়ার খবর জানাজানি হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে পুনরায় মেরামত শুরু করেছেন। তাড়াহুড়া করে নির্মিত কালভার্ট কি টেকসই হবে, এ আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্প নির্বাচন করার পর তাদের মাধ্যেমে শুধু প্লানস্ট্রমেড করে নেন। প্রকল্পের কাজ যখন চলে তখন কাজের তদারকির ক্ষেত্রে তাদের ডাকা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই তখন সর্বেসর্বা। আর এর দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভেঙে যাওয়া কালভার্টের ছাদ আবার মেরামতের জন্য প্রকল্প সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা এখন তড়িঘড়ি করছেন কালভার্ট মেরামতের জন্য, আগে কেন নিয়ম মেনে টেকসইভাবে কালভার্ট নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে এমনও দেখা গেছে বাঁশ দিয়ে সড়ক, ব্রিজ ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়; কিন্তু যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তাদের কেউ কেউ মানুষের কল্যাণের কথা ভুলে যান। যেনতেনভাবে কাজ করে কিভাবে টাকা পকেটে ভরবে সেই চিন্তায় তারা মগ্ন থাকেন।

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। তড়িঘড়ি করে আবার কালভার্টের ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এবারো যেন আগের মতো নড়বড়ে ছাদ না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

বাড়ছে ডায়রিয়া, সতর্ক থাকতে হবে

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে সড়কে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের মাত্র তিন দিনের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্টের ছাদ। প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কালভার্ট দুটি টেকসইভাবে নির্মিত হলে সুন্দরগঞ্জের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধা ভোগ করত; কিন্তু মানুষ তার সুফল ভোগ করার আগেই সেটা ভেঙে পড়ল। আবার রাষ্ট্রের টাকারও অপচয় হলো। যার বোঝা শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের ঘাড়েই চাপে। দেশে ছোট-বড় এমন অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের কল্যাণ করার পরিবর্তে তাদের বোঝায় পরিণত হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঞ্জনিয়ারিং প্লানস্ট্রমেড ছাড়াই প্রকল্পের সভাপতি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি তৈরি করেছিলেন। কালভার্টের ছাদ ভেঙে পড়ার খবর জানাজানি হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে পুনরায় মেরামত শুরু করেছেন। তাড়াহুড়া করে নির্মিত কালভার্ট কি টেকসই হবে, এ আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্প নির্বাচন করার পর তাদের মাধ্যেমে শুধু প্লানস্ট্রমেড করে নেন। প্রকল্পের কাজ যখন চলে তখন কাজের তদারকির ক্ষেত্রে তাদের ডাকা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই তখন সর্বেসর্বা। আর এর দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভেঙে যাওয়া কালভার্টের ছাদ আবার মেরামতের জন্য প্রকল্প সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা এখন তড়িঘড়ি করছেন কালভার্ট মেরামতের জন্য, আগে কেন নিয়ম মেনে টেকসইভাবে কালভার্ট নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে এমনও দেখা গেছে বাঁশ দিয়ে সড়ক, ব্রিজ ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়; কিন্তু যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তাদের কেউ কেউ মানুষের কল্যাণের কথা ভুলে যান। যেনতেনভাবে কাজ করে কিভাবে টাকা পকেটে ভরবে সেই চিন্তায় তারা মগ্ন থাকেন।

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। তড়িঘড়ি করে আবার কালভার্টের ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এবারো যেন আগের মতো নড়বড়ে ছাদ না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top