গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে সড়কে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের মাত্র তিন দিনের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্টের ছাদ। প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কালভার্ট দুটি টেকসইভাবে নির্মিত হলে সুন্দরগঞ্জের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধা ভোগ করত; কিন্তু মানুষ তার সুফল ভোগ করার আগেই সেটা ভেঙে পড়ল। আবার রাষ্ট্রের টাকারও অপচয় হলো। যার বোঝা শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের ঘাড়েই চাপে। দেশে ছোট-বড় এমন অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের কল্যাণ করার পরিবর্তে তাদের বোঝায় পরিণত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঞ্জনিয়ারিং প্লানস্ট্রমেড ছাড়াই প্রকল্পের সভাপতি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি তৈরি করেছিলেন। কালভার্টের ছাদ ভেঙে পড়ার খবর জানাজানি হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে পুনরায় মেরামত শুরু করেছেন। তাড়াহুড়া করে নির্মিত কালভার্ট কি টেকসই হবে, এ আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্প নির্বাচন করার পর তাদের মাধ্যেমে শুধু প্লানস্ট্রমেড করে নেন। প্রকল্পের কাজ যখন চলে তখন কাজের তদারকির ক্ষেত্রে তাদের ডাকা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই তখন সর্বেসর্বা। আর এর দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভেঙে যাওয়া কালভার্টের ছাদ আবার মেরামতের জন্য প্রকল্প সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা এখন তড়িঘড়ি করছেন কালভার্ট মেরামতের জন্য, আগে কেন নিয়ম মেনে টেকসইভাবে কালভার্ট নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে এমনও দেখা গেছে বাঁশ দিয়ে সড়ক, ব্রিজ ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়; কিন্তু যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তাদের কেউ কেউ মানুষের কল্যাণের কথা ভুলে যান। যেনতেনভাবে কাজ করে কিভাবে টাকা পকেটে ভরবে সেই চিন্তায় তারা মগ্ন থাকেন।
সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। তড়িঘড়ি করে আবার কালভার্টের ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এবারো যেন আগের মতো নড়বড়ে ছাদ না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।
শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামে সড়কে দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের মাত্র তিন দিনের মাথায় ভেঙে গেছে কালভার্টের ছাদ। প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কালভার্ট দুটি টেকসইভাবে নির্মিত হলে সুন্দরগঞ্জের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধা ভোগ করত; কিন্তু মানুষ তার সুফল ভোগ করার আগেই সেটা ভেঙে পড়ল। আবার রাষ্ট্রের টাকারও অপচয় হলো। যার বোঝা শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের ঘাড়েই চাপে। দেশে ছোট-বড় এমন অনেক প্রকল্প আছে, যেগুলো অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের কল্যাণ করার পরিবর্তে তাদের বোঝায় পরিণত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইঞ্জনিয়ারিং প্লানস্ট্রমেড ছাড়াই প্রকল্পের সভাপতি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কালভার্ট দুটি তৈরি করেছিলেন। কালভার্টের ছাদ ভেঙে পড়ার খবর জানাজানি হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে পুনরায় মেরামত শুরু করেছেন। তাড়াহুড়া করে নির্মিত কালভার্ট কি টেকসই হবে, এ আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রকল্প নির্বাচন করার পর তাদের মাধ্যেমে শুধু প্লানস্ট্রমেড করে নেন। প্রকল্পের কাজ যখন চলে তখন কাজের তদারকির ক্ষেত্রে তাদের ডাকা হয় না। ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিই তখন সর্বেসর্বা। আর এর দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ভেঙে যাওয়া কালভার্টের ছাদ আবার মেরামতের জন্য প্রকল্প সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা এখন তড়িঘড়ি করছেন কালভার্ট মেরামতের জন্য, আগে কেন নিয়ম মেনে টেকসইভাবে কালভার্ট নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে এমনও দেখা গেছে বাঁশ দিয়ে সড়ক, ব্রিজ ও সরকারি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়; কিন্তু যারা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন তাদের কেউ কেউ মানুষের কল্যাণের কথা ভুলে যান। যেনতেনভাবে কাজ করে কিভাবে টাকা পকেটে ভরবে সেই চিন্তায় তারা মগ্ন থাকেন।
সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে। তড়িঘড়ি করে আবার কালভার্টের ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এবারো যেন আগের মতো নড়বড়ে ছাদ না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।