alt

সম্পাদকীয়

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: শনিবার, ২০ মে ২০২৩

ভরাট হওয়া নদ-নদীর পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সেগুলো পুনর্খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু‘ সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের ছোট যমুনা নদী পুনর্খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে উদ্দেশ্যে নদীটি খনন করা হচ্ছে- তা পূরণ হবে না বলে স্থানীয়দের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ছোট যমুনা নদীটির দুই পাড়ে অনুমোদনহীন অনেক স্থাপনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলো উচ্ছেদ না করেই নদী খনন কাজ শুরু করেছে। নদীটির তলদেশে ২৮ ফুট ও উপরের অংশে ৮০-১০০ ফুট প্রশস্ত রেখে খনন করার কথা রয়েছে। কিন্তু আগে নদীটির প্রকৃত যে আকার ছিল, তার ৪ ভাগের ১ ভাগও খনন করা হচ্ছে না। এতে না বাড়বে নদীর গভীরতা, না বাড়বে পানিপ্রবাহ। নদীর তলদেশের পলিমাটি তুলে নদীর পাড়েই স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। বর্ষা আসন্ন। তখন জমা করা মাটি ধুয়ে আবার নদীতেই পড়বে। লাভের লাভ কিছুই হবে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকার শুধু অপচয়ই হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট যমুনা নদীটি তার প্রকৃত আকার হারিয়েছে এবং ভরাট হয়ে গেছে। নদীটি সঠিকভাবে খনন করা হলে আশপাশের কৃষকরা শুকনো মৌসুমে জমিতে পানি সেচ দিতে পারতেন। কিন্তু সঠিকভাবে খনন কাজ না হওয়ায় শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি থাকবে কিনা সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

সরকার ২০২২ সালে দেশের ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার ছোট যমুনা নদী পুনর্খননের কাজও ছিল। নদীটির ১৫ দশমিক ৯০ কিলোমিটার পুনর্খননের কাজটি পায় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ ছিল ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ মে পর্যন্ত। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে আর মাত্র কটা দিন। আসবে বর্ষাও। এ সময়ের মধ্যে কি নদী খননের কাজ শেষ হবে- সেটা একটা প্রশ্ন।

এটা ভালো খবর যে সাতক্ষীরার ছোট যমুনা নদীটি পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে খনন করে নদীর পলি মাটি নদীর পাড়েই রাখা হচ্ছে। পাড়ে রাখা পলি মাটি বৃষ্টির পানিতে তো ধুয়ে আবার নদীতেই পড়বে। ফলে আবার নদী ভরাট হয়ে যাবে। তাহলে খননের কোনো সুফলই জনসাধারণ পাবে না। নদীর পাড়ে রাখা মাটি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাতে আবার নদীতে না পড়ে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। শুকনো মৌসুমে যাতে নদীর নাব্য বজায় থাকে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নদী পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত উচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো অবৈধ স্থাপনার জন্য নদী খনন কার্যক্রম বিঘ্নিত হোক সেটা আমরা চাই না।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

শনিবার, ২০ মে ২০২৩

ভরাট হওয়া নদ-নদীর পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সেগুলো পুনর্খননের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু‘ সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের ছোট যমুনা নদী পুনর্খননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যে উদ্দেশ্যে নদীটি খনন করা হচ্ছে- তা পূরণ হবে না বলে স্থানীয়দের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ছোট যমুনা নদীটির দুই পাড়ে অনুমোদনহীন অনেক স্থাপনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলো উচ্ছেদ না করেই নদী খনন কাজ শুরু করেছে। নদীটির তলদেশে ২৮ ফুট ও উপরের অংশে ৮০-১০০ ফুট প্রশস্ত রেখে খনন করার কথা রয়েছে। কিন্তু আগে নদীটির প্রকৃত যে আকার ছিল, তার ৪ ভাগের ১ ভাগও খনন করা হচ্ছে না। এতে না বাড়বে নদীর গভীরতা, না বাড়বে পানিপ্রবাহ। নদীর তলদেশের পলিমাটি তুলে নদীর পাড়েই স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। বর্ষা আসন্ন। তখন জমা করা মাটি ধুয়ে আবার নদীতেই পড়বে। লাভের লাভ কিছুই হবে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকার শুধু অপচয়ই হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট যমুনা নদীটি তার প্রকৃত আকার হারিয়েছে এবং ভরাট হয়ে গেছে। নদীটি সঠিকভাবে খনন করা হলে আশপাশের কৃষকরা শুকনো মৌসুমে জমিতে পানি সেচ দিতে পারতেন। কিন্তু সঠিকভাবে খনন কাজ না হওয়ায় শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি থাকবে কিনা সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

সরকার ২০২২ সালে দেশের ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীণ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন প্রকল্প হাতে নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার ছোট যমুনা নদী পুনর্খননের কাজও ছিল। নদীটির ১৫ দশমিক ৯০ কিলোমিটার পুনর্খননের কাজটি পায় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ ছিল ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ মে পর্যন্ত। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে আর মাত্র কটা দিন। আসবে বর্ষাও। এ সময়ের মধ্যে কি নদী খননের কাজ শেষ হবে- সেটা একটা প্রশ্ন।

এটা ভালো খবর যে সাতক্ষীরার ছোট যমুনা নদীটি পুনর্খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে খনন করে নদীর পলি মাটি নদীর পাড়েই রাখা হচ্ছে। পাড়ে রাখা পলি মাটি বৃষ্টির পানিতে তো ধুয়ে আবার নদীতেই পড়বে। ফলে আবার নদী ভরাট হয়ে যাবে। তাহলে খননের কোনো সুফলই জনসাধারণ পাবে না। নদীর পাড়ে রাখা মাটি বৃষ্টিতে ধুয়ে যাতে আবার নদীতে না পড়ে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদের। শুকনো মৌসুমে যাতে নদীর নাব্য বজায় থাকে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। পাশাপাশি নদী পাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত উচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো অবৈধ স্থাপনার জন্য নদী খনন কার্যক্রম বিঘ্নিত হোক সেটা আমরা চাই না।

back to top