alt

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

: রোববার, ২১ মে ২০২৩

বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির মতো প্রাকৃতি দুযোগ মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হয় দেশের মানুষকে। এসব দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা। মূলত বৈশ্বিক জলবায়ু পরির্বতনজনিত প্রভাবে কোনো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপার্টিয়ারের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ বজ্রপাত ও দাবদাহের মতো দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে অন্যতম উষ্ণতম মাসের দেখা মিলেছে গত এপ্রিলে। ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে গত মাসে। বজ্রপাতে প্রতি বছর তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে এখন বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ২ হাজার ১৬৪ জন। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদি পশু মারা যায় কতগুলো তা জানা যায় না। ঘরবাড়ি বা গাছপালা ধ্বংসের পরিসংখ্যানও জানা যায় না।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়েই গরম বাড়ছে। দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া। দেশে বনভূমি কমছে। গাছ কাটা হচ্ছে, জলাভূমি ধ্বংস হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে।

জলাভূমি রক্ষা করা না গেলে, সবুজের পরিমাণ বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে এখনই নীতিনির্ধারকদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বজ্রপাতের বিপদ সম্পর্কে এখনো দেশের অনেক মানুষ অসচেতন। বিশেষ করে বজ্রপাতের কবল থেকে রক্ষা পেতে কী করতে হবে, আর কী করা উচিত নয়- সেটা অনেকেরই জানা নেই। বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশের কোনো কোনো স্থানে লাইটনিং ডিটেকশন সেন্সর বসিয়েছে। এ ধরনের আরও যন্ত্র স্থাপন করা দরকার। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

বাড়ছে ডায়রিয়া, সতর্ক থাকতে হবে

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

রোববার, ২১ মে ২০২৩

বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতির মতো প্রাকৃতি দুযোগ মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হয় দেশের মানুষকে। এসব দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা। মূলত বৈশ্বিক জলবায়ু পরির্বতনজনিত প্রভাবে কোনো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা বাড়ছে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপার্টিয়ারের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ বজ্রপাত ও দাবদাহের মতো দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে অন্যতম উষ্ণতম মাসের দেখা মিলেছে গত এপ্রিলে। ঢাকায় ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে গত মাসে। বজ্রপাতে প্রতি বছর তিন শতাধিক মানুষ মারা যায়। বন্যা বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে এখন বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে প্রায়ই মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ২ হাজার ১৬৪ জন। তবে বজ্রপাতে কত মানুষ আহত হয়, গবাদি পশু মারা যায় কতগুলো তা জানা যায় না। ঘরবাড়ি বা গাছপালা ধ্বংসের পরিসংখ্যানও জানা যায় না।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়েই গরম বাড়ছে। দেশে গরম বেশি অনুভূত হওয়ার বড় একটি কারণ হচ্ছে জলাশয় ও বন কমে যাওয়া। দেশে বনভূমি কমছে। গাছ কাটা হচ্ছে, জলাভূমি ধ্বংস হচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীতে জলাশয় ও সবুজের পরিমাণ কমেছে। গত দুই দশকে রাজধানীতে ৭০ ভাগ জলাশয় কমেছে, ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বাড়ছে।

জলাভূমি রক্ষা করা না গেলে, সবুজের পরিমাণ বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতেও মানুষকে প্রতিকূল আবহাওয়ার শিকার হতে হবে। কাজেই এ বিষয়ে এখনই নীতিনির্ধারকদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বজ্রপাতের বিপদ সম্পর্কে এখনো দেশের অনেক মানুষ অসচেতন। বিশেষ করে বজ্রপাতের কবল থেকে রক্ষা পেতে কী করতে হবে, আর কী করা উচিত নয়- সেটা অনেকেরই জানা নেই। বজ্রপাত সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কখন বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে, বজ্রাপাতের সময় কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে সেসব বিষয়ে মানুষকে বিশেষ করে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের ব্যাপক হারে জানাতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশের কোনো কোনো স্থানে লাইটনিং ডিটেকশন সেন্সর বসিয়েছে। এ ধরনের আরও যন্ত্র স্থাপন করা দরকার। হাওরাঞ্চলসহ যেসব এলাকায় বেশি বজ্রপাত হয় সেসব এলাকায় লাইটনিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে বজ্রপাতপ্রতিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

back to top