একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল। স্বাধীনতার পর পেরিয়েছে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়; কিন্তু সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি আজও। অবশ্য একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে সম্প্রতি ‘গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ’ ঘোষণা করে প্রস্তাব পাস করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্স (আইএজিএস)। এটাকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে।
বাংলাদেশে সফররত ইউরোপের একটি প্রতিনিধি দল গণহত্যার স্বীকৃতির প্রশ্নে শুনিয়েছে আশার বাণী। প্রতিনিধি দলের সদস্য নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার পেছনে কাজ করছে বৈশ্বিক রাজনীতি। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এমন এক সময়ে যখন দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শীতল যুদ্ধ চলছিল। সেই শীতল যুদ্ধের কারণে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য। পশ্চিমাবিশ্ব সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে গেছে। একই কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মেলেনি। ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের কথাতেও বিষিয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
এখন সময় বদলেছে। শীতল যুদ্ধের অবসান হয়েছে অনেক আগেই। এখনো গণহত্যার স্বীকৃতি না মেলা দুঃখজনক। এটা শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নয়, বিশ্ব মানবতার জন্যই গ্লানিকর। গণহত্যার স্বীকৃতি না মিললে মানবতার শত্রুদের বিচারের মুখোমুখি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার দেয়া যায় না।
যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হলে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া প্রয়োজন। দেশে দেশে গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধের স্বার্থেও এর গুরুত্ব রয়েছে। সফররত ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রশ্নে যে কথা বলেছে তাতে আমরা আশাবাদী হতে চাই। স্বীকৃতি পাওয়ার পথে তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা এ প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। তাহলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।
একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা হচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা। গণহত্যা নিয়ে তথ্য-প্রমাণভিত্তিক মানসম্মত গবেষণা করে তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। তার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছিল। স্বাধীনতার পর পেরিয়েছে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়; কিন্তু সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি আজও। অবশ্য একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে সম্প্রতি ‘গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ’ ঘোষণা করে প্রস্তাব পাস করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্স (আইএজিএস)। এটাকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকে।
বাংলাদেশে সফররত ইউরোপের একটি প্রতিনিধি দল গণহত্যার স্বীকৃতির প্রশ্নে শুনিয়েছে আশার বাণী। প্রতিনিধি দলের সদস্য নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ার পেছনে কাজ করছে বৈশ্বিক রাজনীতি। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এমন এক সময়ে যখন দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শীতল যুদ্ধ চলছিল। সেই শীতল যুদ্ধের কারণে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য। পশ্চিমাবিশ্ব সেই সময় পশ্চিম পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে গেছে। একই কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মেলেনি। ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের কথাতেও বিষিয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
এখন সময় বদলেছে। শীতল যুদ্ধের অবসান হয়েছে অনেক আগেই। এখনো গণহত্যার স্বীকৃতি না মেলা দুঃখজনক। এটা শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্যই নয়, বিশ্ব মানবতার জন্যই গ্লানিকর। গণহত্যার স্বীকৃতি না মিললে মানবতার শত্রুদের বিচারের মুখোমুখি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার দেয়া যায় না।
যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার করতে হলে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া প্রয়োজন। দেশে দেশে গণহত্যার পুনরাবৃত্তি রোধের স্বার্থেও এর গুরুত্ব রয়েছে। সফররত ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার প্রশ্নে যে কথা বলেছে তাতে আমরা আশাবাদী হতে চাই। স্বীকৃতি পাওয়ার পথে তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তারা এ প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। তাহলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়া গতিশীল হবে।
একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা হচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে- সেটা আমাদের প্রত্যাশা। গণহত্যা নিয়ে তথ্য-প্রমাণভিত্তিক মানসম্মত গবেষণা করে তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে। তার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।