alt

সম্পাদকীয়

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

বন্যহাতির কারণে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১২ শতাধিক ফলদ গাছ নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। নয়টি বন্যহাতির একটি দল গত রোববার স্থানীয় এক বাসিন্দার ফল বাগানে ঢুকে গাছ ভেঙেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাতির থাকবার কথা বনে। লোকালয়ে তাদের আসবার কথা নয় কিন্তু প্রায়ই হাতির দল লোকালয়ে চলে আসছে। শুধু চট্টগ্রামেই নয়, কক্সবাজার, ময়মনসিংহসহ বন বা সীমান্তসংলগ্ন অনেক এলাকাতেই হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কিছুদিন আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

লোকালয়ে এসে হাতিও মারা পড়ছে। ক্ষতিসাধনের জন্য হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে না। ক্ষুধার তাড়নায় তারা বন ছেড়ে জনবসতিতে আসে কিন্তু তারা এখানে এসে বেশিরভাগ সময়ই মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়। অনেক সময় হাতিকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়। বৈদ্যুতিক শক দিয়ে বা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হাতি মারার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আবার বন্যহাতির অবাধ বিচরণে দেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য পরিবারের মানুষের জীবন-জীবিকা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাদের ফল-ফসল ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও উপেক্ষা করা চলে না। তাই বলে বন্যহাতি মারাকে সমর্থন করা যায় না।

আমরা চাই, মানুষ ও হাতি উভয়েই রক্ষা পাক। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বা বন্যপ্রাণীর ক্ষতি কোনটাই কাম্য নয়। লোকালয়ে হাতির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে তাদের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। বনায়ন কর্মসূচি বাড়াতে হবে। বনে খাবারের যথেষ্ট জোগান থাকলে হাতি বা অন্য কোনো প্রাণী লোকালয়ে আসবে না।

হাতি চলাচলের করিডোর নির্বিঘ্ন করতে হবে। বন্যহাতি খাবারের খোঁজে যেমন লোকালয়ে আসে, তেমনি খাদ্য সংস্থান হলে তারা বনে ফিরেও যায়। তারা তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যখন আতঙ্কিত মানুষ তাদের স্বাভাবিক চলাচলের পথে আটকে দেয়। হাতির চলাচলের করিডোরকে নির্বিঘ্ন রাখতে হবে।

তাড়ানোর সময় হাতি যাতে আটকা না পড়ে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। হাতিদের বনে ফিরে যাবার সুযোগ করে দিতে হবে। বন বিভাগের কর্তাদের হাতি তাড়াতে এলাকাবাসীকে সচেতনতার পাশাপাশি কৌশল শেখানো ও সার্বিক সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং উপস্থিত থেকে তদারকি করতে হবে। এর বাইরে বনবিভাগকে বন্যহাতি থেকে রক্ষা পেতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করাও জরুরি। এজন্য বনবিভাগ, স্থানীয় জনসাধারণসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

বন্যহাতির কারণে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১২ শতাধিক ফলদ গাছ নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। নয়টি বন্যহাতির একটি দল গত রোববার স্থানীয় এক বাসিন্দার ফল বাগানে ঢুকে গাছ ভেঙেছে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাতির থাকবার কথা বনে। লোকালয়ে তাদের আসবার কথা নয় কিন্তু প্রায়ই হাতির দল লোকালয়ে চলে আসছে। শুধু চট্টগ্রামেই নয়, কক্সবাজার, ময়মনসিংহসহ বন বা সীমান্তসংলগ্ন অনেক এলাকাতেই হাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। কিছুদিন আগে কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

লোকালয়ে এসে হাতিও মারা পড়ছে। ক্ষতিসাধনের জন্য হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করে না। ক্ষুধার তাড়নায় তারা বন ছেড়ে জনবসতিতে আসে কিন্তু তারা এখানে এসে বেশিরভাগ সময়ই মানুষের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়। অনেক সময় হাতিকে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হয়। বৈদ্যুতিক শক দিয়ে বা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হাতি মারার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আবার বন্যহাতির অবাধ বিচরণে দেশের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য পরিবারের মানুষের জীবন-জীবিকা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাদের ফল-ফসল ধ্বংস হচ্ছে। মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিও উপেক্ষা করা চলে না। তাই বলে বন্যহাতি মারাকে সমর্থন করা যায় না।

আমরা চাই, মানুষ ও হাতি উভয়েই রক্ষা পাক। মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বা বন্যপ্রাণীর ক্ষতি কোনটাই কাম্য নয়। লোকালয়ে হাতির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে তাদের খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। বনায়ন কর্মসূচি বাড়াতে হবে। বনে খাবারের যথেষ্ট জোগান থাকলে হাতি বা অন্য কোনো প্রাণী লোকালয়ে আসবে না।

হাতি চলাচলের করিডোর নির্বিঘ্ন করতে হবে। বন্যহাতি খাবারের খোঁজে যেমন লোকালয়ে আসে, তেমনি খাদ্য সংস্থান হলে তারা বনে ফিরেও যায়। তারা তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে যখন আতঙ্কিত মানুষ তাদের স্বাভাবিক চলাচলের পথে আটকে দেয়। হাতির চলাচলের করিডোরকে নির্বিঘ্ন রাখতে হবে।

তাড়ানোর সময় হাতি যাতে আটকা না পড়ে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। হাতিদের বনে ফিরে যাবার সুযোগ করে দিতে হবে। বন বিভাগের কর্তাদের হাতি তাড়াতে এলাকাবাসীকে সচেতনতার পাশাপাশি কৌশল শেখানো ও সার্বিক সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং উপস্থিত থেকে তদারকি করতে হবে। এর বাইরে বনবিভাগকে বন্যহাতি থেকে রক্ষা পেতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করাও জরুরি। এজন্য বনবিভাগ, স্থানীয় জনসাধারণসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

back to top