alt

সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

: শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

বিয়ের পাত্রী দেখতে গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়েছিল তিন বন্ধু। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপরহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। অপহৃতদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়েছিল তাদের স্বজনদের।

অপহরণের ঘটনার ২৫ দিন পর গত বুধবার টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অপহরণের সঙ্গে যুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

টেকনাফে অপহরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত আট মাসে অপহরণের শিকার হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। অপহরণের পর এসব ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে- এসব অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা এজন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কোনো কোনো গোষ্ঠীর দিকে। অভিযোগ আছে, কম-বেশি রোঙ্গিাদের চারটি সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে অপহরণসহ নানান অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, পাহাড়ের বিভিন্ন আস্তানায় রোহিঙ্গাদের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর আস্তানা রয়েছে।

এ অভিযোগকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর আগে অপহরণে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আরসা, আল ইয়াকিনসহ নানা সংগঠন ও সংঘবদ্ধ চক্র সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা যেমন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘটিত করছে। তেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করছে, মাদক বাণিজ্যসহ নানান অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন বাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এরপরও সেখানে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে কিভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। অপহৃত ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। অপহরণকারীদেরও ধরা যায়নি। ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রেণে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো ব্যর্থ হচ্ছে কেন, সমস্যাটা কোথায়? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অব্যাহত তৎপরতার কারণে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অপহরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

বিয়ের পাত্রী দেখতে গত ২৮ এপ্রিল কক্সবাজারের টেকনাফে গিয়েছিল তিন বন্ধু। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপরহরণকারীরা ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। অপহৃতদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠানো হয়েছিল তাদের স্বজনদের।

অপহরণের ঘটনার ২৫ দিন পর গত বুধবার টেকনাফের দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে অপহরণের সঙ্গে যুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

টেকনাফে অপহরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত আট মাসে অপহরণের শিকার হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন। অপহরণের পর এসব ব্যক্তির স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে- এসব অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা এজন্য অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কোনো কোনো গোষ্ঠীর দিকে। অভিযোগ আছে, কম-বেশি রোঙ্গিাদের চারটি সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে অপহরণসহ নানান অপরাধে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, পাহাড়ের বিভিন্ন আস্তানায় রোহিঙ্গাদের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনীর আস্তানা রয়েছে।

এ অভিযোগকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এর আগে অপহরণে ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোহিঙ্গা সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আরসা, আল ইয়াকিনসহ নানা সংগঠন ও সংঘবদ্ধ চক্র সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা যেমন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘটিত করছে। তেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করছে, মাদক বাণিজ্যসহ নানান অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন বাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। এরপরও সেখানে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে কিভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। অপহৃত ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। অপহরণকারীদেরও ধরা যায়নি। ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রেণে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো ব্যর্থ হচ্ছে কেন, সমস্যাটা কোথায়? সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অব্যাহত তৎপরতার কারণে কক্সবাজারের ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অপহরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top