alt

সম্পাদকীয়

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

: শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

মেহেরপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। সেখানকার শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। শুধু খাওয়ার পানির সংকট তা নয়। ফসলে সেচ দিতে না পেরে কৃষকরাও দিশেহারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে রেখে পানির জন্য দূর-দূরান্তে ছুটছে হচ্ছে মেহেরপুরের অনেক মানুষকে। পুকুর ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানেও মিলছে না পানি।

শুধু মেহেরপুরেই যে নলকূপ থেকে পানি উঠছে না তা নয়, দেশের অনেক এলাকায় পানির জন্য সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা যে হাহাকার করেন তার চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়। বাংলাদেশকে নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ বলা হয়। অথচ দেশের মানুষ পানি সংকটে ভুগছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর যদি ২৬ ফুটের নিচে নামে, তাহলে হাতচালিত নলকূপ থেকে আর পানি উঠবে না। পানির স্বাভাবিক স্তর ২০-২৪ ফুটের মধ্যে। দেশে বছরে গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেন্টিমিটার হলে পানির এই স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে; কিন্তু কয়েক মাসের গড় বৃষ্টিপাত খুবই কম। এই কম বৃষ্টিপাতের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ২০২০ সালে ২৫ ফুট ও ২০২২ সালে ৩১ ফুট ভূ-গর্ভস্থের নিচে নেমে গিয়েছিল পানির স্তর। তখন অসংখ্য নলকূপের পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কৃষিকাজে অনেক পানির অপচয় হয়। অপরিকল্পিতভাবে সেচ হয় বলে পানির অপচয় হয় প্রচুর। আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে পারলে পানির অপচয় কমে আসবে। ভূগর্ভস্থের পানির ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

মানুষের সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা। তা না হলে মেহেরপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষের পানি সংকট দূর হবে না।

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

সাতছড়ি উদ্যান রক্ষা করুন

নার্স সংকট নিরসন করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ভাগাড় কেন

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্ক ভাতা নিশ্চিত করুন

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে পদক্ষেপ জরুরি

বাড়ছে ডায়রিয়া, সতর্ক থাকতে হবে

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

মশারি জালের ব্যবহার বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

মেহেরপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। সেখানকার শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। শুধু খাওয়ার পানির সংকট তা নয়। ফসলে সেচ দিতে না পেরে কৃষকরাও দিশেহারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে রেখে পানির জন্য দূর-দূরান্তে ছুটছে হচ্ছে মেহেরপুরের অনেক মানুষকে। পুকুর ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানেও মিলছে না পানি।

শুধু মেহেরপুরেই যে নলকূপ থেকে পানি উঠছে না তা নয়, দেশের অনেক এলাকায় পানির জন্য সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা যে হাহাকার করেন তার চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়। বাংলাদেশকে নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ বলা হয়। অথচ দেশের মানুষ পানি সংকটে ভুগছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর যদি ২৬ ফুটের নিচে নামে, তাহলে হাতচালিত নলকূপ থেকে আর পানি উঠবে না। পানির স্বাভাবিক স্তর ২০-২৪ ফুটের মধ্যে। দেশে বছরে গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেন্টিমিটার হলে পানির এই স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে; কিন্তু কয়েক মাসের গড় বৃষ্টিপাত খুবই কম। এই কম বৃষ্টিপাতের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ২০২০ সালে ২৫ ফুট ও ২০২২ সালে ৩১ ফুট ভূ-গর্ভস্থের নিচে নেমে গিয়েছিল পানির স্তর। তখন অসংখ্য নলকূপের পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কৃষিকাজে অনেক পানির অপচয় হয়। অপরিকল্পিতভাবে সেচ হয় বলে পানির অপচয় হয় প্রচুর। আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে পারলে পানির অপচয় কমে আসবে। ভূগর্ভস্থের পানির ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

মানুষের সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা। তা না হলে মেহেরপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষের পানি সংকট দূর হবে না।

back to top