মেহেরপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। সেখানকার শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। শুধু খাওয়ার পানির সংকট তা নয়। ফসলে সেচ দিতে না পেরে কৃষকরাও দিশেহারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে রেখে পানির জন্য দূর-দূরান্তে ছুটছে হচ্ছে মেহেরপুরের অনেক মানুষকে। পুকুর ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানেও মিলছে না পানি।
শুধু মেহেরপুরেই যে নলকূপ থেকে পানি উঠছে না তা নয়, দেশের অনেক এলাকায় পানির জন্য সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা যে হাহাকার করেন তার চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়। বাংলাদেশকে নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ বলা হয়। অথচ দেশের মানুষ পানি সংকটে ভুগছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর যদি ২৬ ফুটের নিচে নামে, তাহলে হাতচালিত নলকূপ থেকে আর পানি উঠবে না। পানির স্বাভাবিক স্তর ২০-২৪ ফুটের মধ্যে। দেশে বছরে গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেন্টিমিটার হলে পানির এই স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে; কিন্তু কয়েক মাসের গড় বৃষ্টিপাত খুবই কম। এই কম বৃষ্টিপাতের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ২০২০ সালে ২৫ ফুট ও ২০২২ সালে ৩১ ফুট ভূ-গর্ভস্থের নিচে নেমে গিয়েছিল পানির স্তর। তখন অসংখ্য নলকূপের পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কৃষিকাজে অনেক পানির অপচয় হয়। অপরিকল্পিতভাবে সেচ হয় বলে পানির অপচয় হয় প্রচুর। আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে পারলে পানির অপচয় কমে আসবে। ভূগর্ভস্থের পানির ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানুষের সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা। তা না হলে মেহেরপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষের পানি সংকট দূর হবে না।
শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
মেহেরপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। সেখানকার শত শত নলকূপে পানি উঠছে না। ফলে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। শুধু খাওয়ার পানির সংকট তা নয়। ফসলে সেচ দিতে না পেরে কৃষকরাও দিশেহারা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে রেখে পানির জন্য দূর-দূরান্তে ছুটছে হচ্ছে মেহেরপুরের অনেক মানুষকে। পুকুর ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানেও মিলছে না পানি।
শুধু মেহেরপুরেই যে নলকূপ থেকে পানি উঠছে না তা নয়, দেশের অনেক এলাকায় পানির জন্য সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা যে হাহাকার করেন তার চিত্র গণমাধ্যমে দেখা যায়। বাংলাদেশকে নদী-নালা, খাল-বিলের দেশ বলা হয়। অথচ দেশের মানুষ পানি সংকটে ভুগছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির স্তর যদি ২৬ ফুটের নিচে নামে, তাহলে হাতচালিত নলকূপ থেকে আর পানি উঠবে না। পানির স্বাভাবিক স্তর ২০-২৪ ফুটের মধ্যে। দেশে বছরে গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেন্টিমিটার হলে পানির এই স্বাভাবিক স্তর ঠিক থাকে; কিন্তু কয়েক মাসের গড় বৃষ্টিপাত খুবই কম। এই কম বৃষ্টিপাতের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যেতে পারে। ২০২০ সালে ২৫ ফুট ও ২০২২ সালে ৩১ ফুট ভূ-গর্ভস্থের নিচে নেমে গিয়েছিল পানির স্তর। তখন অসংখ্য নলকূপের পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
কৃষিকাজে অনেক পানির অপচয় হয়। অপরিকল্পিতভাবে সেচ হয় বলে পানির অপচয় হয় প্রচুর। আধুনিক পদ্ধতিতে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে পারলে পানির অপচয় কমে আসবে। ভূগর্ভস্থের পানির ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা খালবিল, নদী ও জলাশয়ের পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানুষের সুপেয় পানির সমস্যা নিরসনে সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা। তা না হলে মেহেরপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষের পানি সংকট দূর হবে না।