মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে। বহু মানুষ কাটছাঁট করে দিন যাপন করছেন। ব্যয় কমিয়েও কুলাতে পারছেন না তারা। আয় না বাড়া মানুষের পাল্লাই ভারি। বাড়তি ব্যয় আর স্থির আয়ের কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন অনেকে। যাদের সঞ্চয় নেই বা সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে তারা চলছেন ধারদেনা করে।
অনেক পণ্যের মূল্য বাড়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখীই আছে। বাজার থেকে এখনও মানুষকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডিম, চিনি, তেল বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সবজির দরও ঊর্ধ্বমুখী।
পেঁয়াজের দাম কমার একটা ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির কথা বলছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এখনও আমদানির পক্ষে নয়। ফলে শেষ পর্যান্ত পেঁয়াজের দরে স্বস্তির দেখা মেলেনি। পেঁয়াজের দেখাদেখি আদা-রসুনের দামও বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আমাদানি মূল্যের চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের দরে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার জন্য কার কতটুকু দায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে। সরকারও বিভিন্ন সময় একই অভিযোগ করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য কোনো কোনো মন্ত্রী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার পেঁয়াজ আমদানি করে যে তাদের কারসাজি বন্ধ করা হবে সেটারও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
এখনই পেঁয়াজ আমদানি না করার পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তারা বলছেন কৃষককে লাভ দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রান্তিক কৃষকরা কি এতদিনেও পেঁয়াজ বিক্রি করেননি। বাস্তবতা হচ্ছে, পেঁয়াজ উৎপাদন হতে না হতেই প্রান্তিক চাষিরা তা বিক্রি করে দেন। অনেকে ফসল হওয়ার আগেই আগাম বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে তারা মূলত ধারদেনা শোধ করেন। তখন পেঁয়াজের দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। প্রান্তিক চাষির যখন বেচাবিক্রি শেষ তখন এর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। কাদের কারণে দাম এত বাড়ল? লাভের গুড় খাচ্ছে কে?
আমদানি না করেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ চাহিদার তুলনায় এর উৎপাদন এবার যথেষ্ট। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করা গেলে শুধু পেঁয়াজ নয়, আরও অনেক পণ্যের দামই হয়তো নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।
শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে। বহু মানুষ কাটছাঁট করে দিন যাপন করছেন। ব্যয় কমিয়েও কুলাতে পারছেন না তারা। আয় না বাড়া মানুষের পাল্লাই ভারি। বাড়তি ব্যয় আর স্থির আয়ের কারণে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন অনেকে। যাদের সঞ্চয় নেই বা সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে তারা চলছেন ধারদেনা করে।
অনেক পণ্যের মূল্য বাড়ার সূচক ঊর্ধ্বমুখীই আছে। বাজার থেকে এখনও মানুষকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডিম, চিনি, তেল বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। আজ প্রকাশিত সংবাদ-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সবজির দরও ঊর্ধ্বমুখী।
পেঁয়াজের দাম কমার একটা ক্ষীণ আশা তৈরি হয়েছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির কথা বলছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এখনও আমদানির পক্ষে নয়। ফলে শেষ পর্যান্ত পেঁয়াজের দরে স্বস্তির দেখা মেলেনি। পেঁয়াজের দেখাদেখি আদা-রসুনের দামও বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। অভিযোগ রয়েছে, আমাদানি মূল্যের চেয়ে বেশ কয়েকগুণ বেশি দামে আদা বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের দরে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থার জন্য কার কতটুকু দায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে। সরকারও বিভিন্ন সময় একই অভিযোগ করেছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার জন্য কোনো কোনো মন্ত্রী সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবার পেঁয়াজ আমদানি করে যে তাদের কারসাজি বন্ধ করা হবে সেটারও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
এখনই পেঁয়াজ আমদানি না করার পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তারা বলছেন কৃষককে লাভ দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, প্রান্তিক কৃষকরা কি এতদিনেও পেঁয়াজ বিক্রি করেননি। বাস্তবতা হচ্ছে, পেঁয়াজ উৎপাদন হতে না হতেই প্রান্তিক চাষিরা তা বিক্রি করে দেন। অনেকে ফসল হওয়ার আগেই আগাম বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে তারা মূলত ধারদেনা শোধ করেন। তখন পেঁয়াজের দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ২০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। প্রান্তিক চাষির যখন বেচাবিক্রি শেষ তখন এর দাম খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। কাদের কারণে দাম এত বাড়ল? লাভের গুড় খাচ্ছে কে?
আমদানি না করেও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ চাহিদার তুলনায় এর উৎপাদন এবার যথেষ্ট। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করা গেলে শুধু পেঁয়াজ নয়, আরও অনেক পণ্যের দামই হয়তো নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।