alt

সম্পাদকীয়

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

: শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাড়ে তিন মাস আগে রংপুর শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে, হাসপাতালটি থেকে এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রংপুরে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে সেটা ভালো কথা। ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শুধু রংপুর না, এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ সুগম হবে। কোনো শিশু অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটতে হয় অনেক অভিভাবককে। এতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে। সেই সঙ্গে ভোগান্তি তো রয়েছেই। আর চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছালে তাদের টাকা ও সময় বাঁচে। ভোগান্তি অনেকাংশে কমে। এ অঞ্চলের জনসাধারণ আশায় বুক বেঁধে ছিল- শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।

কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। তাও সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল। এখনও কেন হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে না-সে প্রশ্ন এসে যায়। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাপ্তরিক কাজ চলছে।

রংপুরের শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। শিশু হাসপাতালটির প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত সবাই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি জেলা সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে। কাজেই আর বিলম্ব কাম্য নয়। হাসপাতালটি চালু হলে এ অঞ্চলের শিশুরা স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে। আগামীদিনে যারা দেশের হাল ধরবে; সেসব শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হবে। আমরা আশা করব, দুই কোটি জনঅধ্যুষিত রংপুর বিভাগের শিশুদের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যা যা করণীয় তা-ই করবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাড়ে তিন মাস আগে রংপুর শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে, হাসপাতালটি থেকে এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রংপুরে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে সেটা ভালো কথা। ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শুধু রংপুর না, এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ সুগম হবে। কোনো শিশু অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটতে হয় অনেক অভিভাবককে। এতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে। সেই সঙ্গে ভোগান্তি তো রয়েছেই। আর চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছালে তাদের টাকা ও সময় বাঁচে। ভোগান্তি অনেকাংশে কমে। এ অঞ্চলের জনসাধারণ আশায় বুক বেঁধে ছিল- শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।

কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। তাও সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল। এখনও কেন হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে না-সে প্রশ্ন এসে যায়। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাপ্তরিক কাজ চলছে।

রংপুরের শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। শিশু হাসপাতালটির প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত সবাই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি জেলা সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে। কাজেই আর বিলম্ব কাম্য নয়। হাসপাতালটি চালু হলে এ অঞ্চলের শিশুরা স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে। আগামীদিনে যারা দেশের হাল ধরবে; সেসব শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হবে। আমরা আশা করব, দুই কোটি জনঅধ্যুষিত রংপুর বিভাগের শিশুদের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যা যা করণীয় তা-ই করবে।

back to top