স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাড়ে তিন মাস আগে রংপুর শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে, হাসপাতালটি থেকে এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রংপুরে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে সেটা ভালো কথা। ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শুধু রংপুর না, এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ সুগম হবে। কোনো শিশু অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটতে হয় অনেক অভিভাবককে। এতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে। সেই সঙ্গে ভোগান্তি তো রয়েছেই। আর চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছালে তাদের টাকা ও সময় বাঁচে। ভোগান্তি অনেকাংশে কমে। এ অঞ্চলের জনসাধারণ আশায় বুক বেঁধে ছিল- শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। তাও সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল। এখনও কেন হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে না-সে প্রশ্ন এসে যায়। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাপ্তরিক কাজ চলছে।
রংপুরের শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। শিশু হাসপাতালটির প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত সবাই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি জেলা সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে। কাজেই আর বিলম্ব কাম্য নয়। হাসপাতালটি চালু হলে এ অঞ্চলের শিশুরা স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে। আগামীদিনে যারা দেশের হাল ধরবে; সেসব শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হবে। আমরা আশা করব, দুই কোটি জনঅধ্যুষিত রংপুর বিভাগের শিশুদের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যা যা করণীয় তা-ই করবে।
শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাড়ে তিন মাস আগে রংপুর শিশু হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত চালু হয়নি। ফলে, হাসপাতালটি থেকে এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রংপুরে শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে সেটা ভালো কথা। ১০০ শয্যার শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শুধু রংপুর না, এই অঞ্চলের শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পথ সুগম হবে। কোনো শিশু অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় ছুটতে হয় অনেক অভিভাবককে। এতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ে। সেই সঙ্গে ভোগান্তি তো রয়েছেই। আর চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছালে তাদের টাকা ও সময় বাঁচে। ভোগান্তি অনেকাংশে কমে। এ অঞ্চলের জনসাধারণ আশায় বুক বেঁধে ছিল- শিশু হাসপাতালটি চালু হলে শিশুদের বিনামূল্যে জটিল অপারেশনসহ বিশেষায়িত উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে।
কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। তাও সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল। এখনও কেন হাসপাতালটি চালু করা হচ্ছে না-সে প্রশ্ন এসে যায়। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, হাসপাতালটির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এবং জনবলের চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দাপ্তরিক কাজ চলছে।
রংপুরের শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। শিশু হাসপাতালটির প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত সবাই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ হাসপাতাল ভবনটি জেলা সিভিল সার্জনের নিকট হস্তান্তরও করা হয়েছে। কাজেই আর বিলম্ব কাম্য নয়। হাসপাতালটি চালু হলে এ অঞ্চলের শিশুরা স্বল্প খরচে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পাবে। আগামীদিনে যারা দেশের হাল ধরবে; সেসব শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হবে। আমরা আশা করব, দুই কোটি জনঅধ্যুষিত রংপুর বিভাগের শিশুদের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে হাসপাতালটি দ্রুত চালু করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যা যা করণীয় তা-ই করবে।