alt

সম্পাদকীয়

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

: মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

খুলনা নগরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। নগরের এ সমস্যা সমাধানে একাধিক প্রকল্প নেয়া হয়েছে; কিন্তু সেই প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পূর্ণ হয়নি। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রতিবছর দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীদের। বর্ষা মৌসুম আসন্নপ্রায়। বর্ষায় নগর আবার জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

জলাবদ্ধতা এখন দেশের সব নগর বা শহরের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামের সমস্যা না। বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও কুমিল্লার মতো শহরের পাশাপাশি জেলা শহরেও দেখা যায় জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে শহর। তখন মানুষের আর কষ্টের শেষ থাকে না। আর এ কারণে তখন নানারকম দুর্ঘটনাও ঘটে।

খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন নেয়া হয়। প্রকল্পে ১৪২টি ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও মাত্র ৫১টি ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। ৯১টি ড্রেন নির্মাণের কাজ এখনো বাকি। রাষ্ট্রের অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে এরই মধ্যে; কিন্তু নগরের জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি আজও। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরের নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য শহরে বা নগরে কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ কোনোটা শেষ হয়েছে, কোনোটি বাকি আবার কোনোটা চলমান। কিন্তু কোনো কিছুতেই নগরের জলাবদ্ধতা দূর করা যাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান কেন মিলছে না- সেই প্রশ্ন এসে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল পেতে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আগে সঠিক পরিকল্পনা জরুরি। অপরিকল্পিতভাবে কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলে তা থেকে কোনো সুফল মেলে না। প্রকল্পের কাজে শুধু টাকা খরচ হয়। মানুষ কোনো উপকার ভোগ করতে পারে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ লাইনের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর তদারকিও করতে হবে। বর্ষা শুরুর আগেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

নগরায়ণ হবে ভালো কথা কিন্তু সেটি হতে হবে পরিকল্পনামাফিক। নাগরিকদের সব ধরনের নাগরিক সেবা সহজেই দেয়া যায়; সেই চিন্তাটা মাথায় রাখতে হবে। নগর বা শহরের আশপাশের সব নদী-নালা, খালগুলোকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা অনেকাংশে কমে আসবে।

শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য করতে হবে বিনিয়োগ

নদ-নদী খননে উদাসীনতা কাম্য নয়

শাহবন্দেগী ইউনিয়নের চার গ্রামে পাকা রাস্তা চাই

প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

tab

সম্পাদকীয়

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

খুলনা নগরে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। নগরের এ সমস্যা সমাধানে একাধিক প্রকল্প নেয়া হয়েছে; কিন্তু সেই প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পূর্ণ হয়নি। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় প্রতিবছর দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীদের। বর্ষা মৌসুম আসন্নপ্রায়। বর্ষায় নগর আবার জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

জলাবদ্ধতা এখন দেশের সব নগর বা শহরের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রামের সমস্যা না। বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও কুমিল্লার মতো শহরের পাশাপাশি জেলা শহরেও দেখা যায় জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে শহর। তখন মানুষের আর কষ্টের শেষ থাকে না। আর এ কারণে তখন নানারকম দুর্ঘটনাও ঘটে।

খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন নেয়া হয়। প্রকল্পে ১৪২টি ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও মাত্র ৫১টি ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। ৯১টি ড্রেন নির্মাণের কাজ এখনো বাকি। রাষ্ট্রের অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে এরই মধ্যে; কিন্তু নগরের জলাবদ্ধতার সমাধান হয়নি আজও। সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরের নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য শহরে বা নগরে কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সেই প্রকল্পের কাজ কোনোটা শেষ হয়েছে, কোনোটি বাকি আবার কোনোটা চলমান। কিন্তু কোনো কিছুতেই নগরের জলাবদ্ধতা দূর করা যাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান কেন মিলছে না- সেই প্রশ্ন এসে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল পেতে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আগে সঠিক পরিকল্পনা জরুরি। অপরিকল্পিতভাবে কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলে তা থেকে কোনো সুফল মেলে না। প্রকল্পের কাজে শুধু টাকা খরচ হয়। মানুষ কোনো উপকার ভোগ করতে পারে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ লাইনের পরিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর তদারকিও করতে হবে। বর্ষা শুরুর আগেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

নগরায়ণ হবে ভালো কথা কিন্তু সেটি হতে হবে পরিকল্পনামাফিক। নাগরিকদের সব ধরনের নাগরিক সেবা সহজেই দেয়া যায়; সেই চিন্তাটা মাথায় রাখতে হবে। নগর বা শহরের আশপাশের সব নদী-নালা, খালগুলোকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা অনেকাংশে কমে আসবে।

back to top