alt

সম্পাদকীয়

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

: বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

ডেঙ্গু রোগ যে এবার বাড়ছে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানা গেল যে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে পাঁচগুণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৭১ জন।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা এখনো আসেনি। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টি শুরু হলে ডেঙ্গু কী রূপ ধারণ করবে সেটা ভেবে নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু বাড়ার খবরে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে সময় দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ডেঙ্গু রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তবে শুধু নাগরিকদের আহ্বান করে বা প্রচার চালিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালে হবে না। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

ডেঙ্গু রোগ যে এবার বাড়ছে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানা গেল যে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে পাঁচগুণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে ৩১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এবার একই সময়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৭১ জন।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা এখনো আসেনি। আগামী দিনগুলোতে বৃষ্টি শুরু হলে ডেঙ্গু কী রূপ ধারণ করবে সেটা ভেবে নাগরিকরা উদ্বিগ্ন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু বাড়ার খবরে যেন আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

দেশে বড় ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় ২০০০ সালে। মশা নিয়ন্ত্রণ করায় এর পরের বছরগুলোতে প্রকোপ খুব বেশি একটা দেখা না গেলেও ২০১৯ সালে ঢাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে সে সময় দেশে এক লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ও দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ডেঙ্গু রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তবে শুধু নাগরিকদের আহ্বান করে বা প্রচার চালিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালে হবে না। আমরা আশা করব, সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

back to top