alt

সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

: শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

বাল্যবিয়ে এখনো দেশের বড় একটি সমস্যা। একটি মেয়েশিশুর লেখাপড়া থেকে অকালে ঝরে পড়ার কারণ এটা। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যাটি ঘনীভূত হচ্ছে, বাল্যবিয়ে বেড়েই চলছে। বাল্যবিয়ে কেন কমানো যাচ্ছে না?

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি অনেক জটিল, তাই বাল্যবিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না। গত বুধবার রাজধানীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও সংবাদ আয়োজিত ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ : আমরা কী করছি, সমাজ ও রাষ্ট্র কী ভাবছে?’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচকরা বলেছেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা বলতে চাই, ব্যধি থাকলে তার নিরাময়ও রয়েছে। দেশে আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। আইন বাস্তবায়নে রয়েছে শিথিলতা। যেসব অংশীজনের সহায়তায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব তাদের অনেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, বাল্যবিয়ে হওয়ার পেছনে কাজিদের ‘দায়’ রয়েছে।

কাজি বা বিয়ে নিবন্ধকদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন।

দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজিরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্রকেও বাল্যবিয়ে বন্ধে তৎপর হতে হবে। যারা আইনের ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সমাজের সব অংশীজন যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই।

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

tab

সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩

বাল্যবিয়ে এখনো দেশের বড় একটি সমস্যা। একটি মেয়েশিশুর লেখাপড়া থেকে অকালে ঝরে পড়ার কারণ এটা। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যাটি ঘনীভূত হচ্ছে, বাল্যবিয়ে বেড়েই চলছে। বাল্যবিয়ে কেন কমানো যাচ্ছে না?

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, আমাদের সামাজিক পরিস্থিতি অনেক জটিল, তাই বাল্যবিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না। গত বুধবার রাজধানীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও সংবাদ আয়োজিত ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ : আমরা কী করছি, সমাজ ও রাষ্ট্র কী ভাবছে?’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচকরা বলেছেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা বলতে চাই, ব্যধি থাকলে তার নিরাময়ও রয়েছে। দেশে আইন আছে। সমস্যা হচ্ছে, আইনে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। আইন বাস্তবায়নে রয়েছে শিথিলতা। যেসব অংশীজনের সহায়তায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব তাদের অনেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, বাল্যবিয়ে হওয়ার পেছনে কাজিদের ‘দায়’ রয়েছে।

কাজি বা বিয়ে নিবন্ধকদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন।

দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজিরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্রকেও বাল্যবিয়ে বন্ধে তৎপর হতে হবে। যারা আইনের ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

সমাজের সব অংশীজন যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই।

back to top