alt

সম্পাদকীয়

নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা

: রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

নিমতলী ট্র্যাজেডির পর ১৩ বছর পেরিয়েছে। ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন মারা যায়। তবে সেই ঘটনায় কোনো মামলা আজ অবধি হয়নি। একটি জিডি হয়েছে শুধু। সংশ্লিষ্ট ভবন মালিককে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা হয়নি জিজ্ঞাসাবাদও।

গত ১৩ বছরে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি কতটা কমেছে সেই প্রশ্নও রয়েছে। পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদামগুলো এখনো সরানো যায়নি।

রাসায়নিকের বা প্লাস্টিকের গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা এর পরেও ঘটেছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে। এরপরও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় মারা যায় ৭৭ জন।

নিমতলীর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার হয়নি কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অগ্নিকান্ডে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পরও মামলা হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিকান্ডের জন্য কারো কি কোন দায় ছিল না। নিমতলীর ঘটনার বিচার হলে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের পুনরাবৃত্তি হয়তো রোধ করা যেত, রাসায়নিকের গুদামগুলোও অন্যত্র সরানোর কাজ সহজ হতো।

পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের কোনো ঘটনা ঘটলে যথারীতি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেসব কমিটি বিভিন্ন সময় গঁৎবাধা যে সুপারিশ করেছে তাতে রাসায়নিকের কারখানা বা গুদাম পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা।

রাসায়নিকের গুদামগুলো সরিয়ে নেয়ার কথা বলে সরকারও। গুদাম না সরানোর ঘটনাকে এর আগে সরকারপ্রধানও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এরপরও সেখান থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানো যাচ্ছে না, এর ব্যবসাও বন্ধ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে রাসায়নিকের গুদাম বা কারখানায় অভিযান চালানো হলেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন ঘটেনি।

শিল্প মন্ত্রণালয় রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে বাস্তব রূপ পাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সমস্যা হচ্ছে, রাসায়নিক কারখানার মালিক বা ব্যবসায়ীরা পুরান ঢাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ আছে।

আমরা বলতে চাই, যে কোন মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সরকার যে অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, জানমালের চেয়ে আর্থিক লাভ বড় নয়।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা

রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

নিমতলী ট্র্যাজেডির পর ১৩ বছর পেরিয়েছে। ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকান্ডে ১২৪ জন মারা যায়। তবে সেই ঘটনায় কোনো মামলা আজ অবধি হয়নি। একটি জিডি হয়েছে শুধু। সংশ্লিষ্ট ভবন মালিককে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা হয়নি জিজ্ঞাসাবাদও।

গত ১৩ বছরে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি কতটা কমেছে সেই প্রশ্নও রয়েছে। পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদামগুলো এখনো সরানো যায়নি।

রাসায়নিকের বা প্লাস্টিকের গুদামের কারণে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা এর পরেও ঘটেছে, জানমালের ক্ষতি হয়েছে। এরপরও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সে সময় মারা যায় ৭৭ জন।

নিমতলীর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার হয়নি কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অগ্নিকান্ডে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পরও মামলা হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিকান্ডের জন্য কারো কি কোন দায় ছিল না। নিমতলীর ঘটনার বিচার হলে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের পুনরাবৃত্তি হয়তো রোধ করা যেত, রাসায়নিকের গুদামগুলোও অন্যত্র সরানোর কাজ সহজ হতো।

পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডের কোনো ঘটনা ঘটলে যথারীতি তদন্ত কমিটি করা হয়। সেসব কমিটি বিভিন্ন সময় গঁৎবাধা যে সুপারিশ করেছে তাতে রাসায়নিকের কারখানা বা গুদাম পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা।

রাসায়নিকের গুদামগুলো সরিয়ে নেয়ার কথা বলে সরকারও। গুদাম না সরানোর ঘটনাকে এর আগে সরকারপ্রধানও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এরপরও সেখান থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানো যাচ্ছে না, এর ব্যবসাও বন্ধ হচ্ছে না। মাঝে মাঝে রাসায়নিকের গুদাম বা কারখানায় অভিযান চালানো হলেও অবস্থার তেমন পরিবর্তন ঘটেনি।

শিল্প মন্ত্রণালয় রাসায়নিক পল্লী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে বাস্তব রূপ পাবে সেটা একটা প্রশ্ন। সমস্যা হচ্ছে, রাসায়নিক কারখানার মালিক বা ব্যবসায়ীরা পুরান ঢাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ আছে।

আমরা বলতে চাই, যে কোন মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে সরকার যে অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, জানমালের চেয়ে আর্থিক লাভ বড় নয়।

back to top