প্রভাবশালীদের দখলে থাকা দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কাজ করছে সরকার। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনেক খাল-বিল প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছে। এসব খাল-বিল রক্ষায় সরকারিভাবে পুনর্খননের ব্যবস্থা নেয়া হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার মুখে ঠিকাদাররা বন্ধ করে দিয়েছেন খনন কাজ।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালগুলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছেন। তাদের জমিতে খাল কাটা হচ্ছে- এ দাবিতে ঠিকাদারদের খাল খননে বাধা দিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, জনগণের সুবিধার জন্যই খালগুলো পুনর্খনন করা হচ্ছে। আর সরকারি খাসজমি নির্ধারণ করেই খননের কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের দাপটে যদি খাল খনন বন্ধ হয়ে যায়; তাহলে কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারবেন না। বর্ষার বন্যায় বাড়িঘরও তলিয়ে যাবে। পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
খালগুলো খনন করা হলে ভৈরবে কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি জেলেরাও মাছ চাষ করতে পারবেন। এটা ভালো খবর যে সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। খালের যেটুকু পুনর্খনন করা হয়েছে তার সুফল মানুষ পেতেও শুরু করেছে।
আমরা আশা করব খাল নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কোনো কারণে আটকে থাকবে না খালগুলোর খনন কাজ। প্রভাবশালীরা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করবে তা হতে দেয়া যায় না। নদী খাল-বিলের নাব্য রক্ষা, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য খালগুলো প্রাণ ফিরে পাবে- এটাই আমাদের কাম্য।
শুধু ভৈরবেই প্রভাবশালীরা খালবিল দখল করেছেন তা নয়। দেশের অনেক নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসন অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে চাইলেও দখলদাররা প্রভাবশালী বলে আর এগোতে পারে না। যত বাধাই আসুক খাল-বিল পুনর্খনন যেন বন্ধ না হয় সেটা আমরা আশা করব।
কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল খননে বাধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা খাল-বিল ও নদী-নালা দখল করে নেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা জাল কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানাও দাবি করে। এই অন্যায়ের অবসান হওয়া জরুরি।
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩
প্রভাবশালীদের দখলে থাকা দেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কাজ করছে সরকার। কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অনেক খাল-বিল প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছে। এসব খাল-বিল রক্ষায় সরকারিভাবে পুনর্খননের ব্যবস্থা নেয়া হলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের বাধার মুখে ঠিকাদাররা বন্ধ করে দিয়েছেন খনন কাজ।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালগুলো তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে দাবি করছেন। তাদের জমিতে খাল কাটা হচ্ছে- এ দাবিতে ঠিকাদারদের খাল খননে বাধা দিচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, জনগণের সুবিধার জন্যই খালগুলো পুনর্খনন করা হচ্ছে। আর সরকারি খাসজমি নির্ধারণ করেই খননের কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের দাপটে যদি খাল খনন বন্ধ হয়ে যায়; তাহলে কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারবেন না। বর্ষার বন্যায় বাড়িঘরও তলিয়ে যাবে। পয়ঃনিষ্কাশনের অভাবে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
খালগুলো খনন করা হলে ভৈরবে কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। পাশাপাশি জেলেরাও মাছ চাষ করতে পারবেন। এটা ভালো খবর যে সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। খালের যেটুকু পুনর্খনন করা হয়েছে তার সুফল মানুষ পেতেও শুরু করেছে।
আমরা আশা করব খাল নিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালীলের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কোনো কারণে আটকে থাকবে না খালগুলোর খনন কাজ। প্রভাবশালীরা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করবে তা হতে দেয়া যায় না। নদী খাল-বিলের নাব্য রক্ষা, সেচ সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য খালগুলো প্রাণ ফিরে পাবে- এটাই আমাদের কাম্য।
শুধু ভৈরবেই প্রভাবশালীরা খালবিল দখল করেছেন তা নয়। দেশের অনেক নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসন অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে চাইলেও দখলদাররা প্রভাবশালী বলে আর এগোতে পারে না। যত বাধাই আসুক খাল-বিল পুনর্খনন যেন বন্ধ না হয় সেটা আমরা আশা করব।
কেউ যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল খননে বাধা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে প্রভাবশালীরা খাল-বিল ও নদী-নালা দখল করে নেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা জাল কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানাও দাবি করে। এই অন্যায়ের অবসান হওয়া জরুরি।