alt

সম্পাদকীয়

চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

দেশে মাছ ধরার জালের ফাঁসের অনুমোদিত পরিমাপ সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার। কোনো জালের ‘ফাঁস’-এর চেয়ে কম হলে তা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। দেশে নিষিদ্ধ জালের তালিকায় চায়না দুয়ারির নাম উল্লেখ না থাকলেও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এটি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বাস্তবে এই জাল বেচাকেনা হচ্ছে, এটা দিয়ে জেলেরা মাছও ধরছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে জেলেরা চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরছেন।

প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস করে। দিন কয়েক আগে বরিশালের গৌরনদীতে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কখনো কখনো নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের জন্য অভিযুক্তদের জেল-জরিমানাও করা হয়। তারপরও থেমে নেই এই জালের ব্যবহার। শুধু কুষ্টিয়া বা বরিশাল নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।

নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জেলেরা কেন এই জাল ব্যবহার করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জালের চেয়েও বিপজ্জনক এই জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয়। চায়না দুয়ারি মূলত মাছ ধরার এক ধরনের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না।

অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনছে চায়না দুয়ারি জাল। এই জালে একবার ধরা পড়লে আর বের হতে পারে না, তাই অনেক বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী মারা পড়ে। সেগুলো বংশবৃদ্ধিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।

নিয়মিত অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস করতে হবে। এতেও কাজ না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জালের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ করা জরুরি। নইলে এ জালের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না ।

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে। মৎস সম্পদ বিপন্ন হলে তারাই প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩

দেশে মাছ ধরার জালের ফাঁসের অনুমোদিত পরিমাপ সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার। কোনো জালের ‘ফাঁস’-এর চেয়ে কম হলে তা আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। দেশে নিষিদ্ধ জালের তালিকায় চায়না দুয়ারির নাম উল্লেখ না থাকলেও বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এটি ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। বাস্তবে এই জাল বেচাকেনা হচ্ছে, এটা দিয়ে জেলেরা মাছও ধরছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে জেলেরা চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ ধরছেন।

প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস করে। দিন কয়েক আগে বরিশালের গৌরনদীতে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কখনো কখনো নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের জন্য অভিযুক্তদের জেল-জরিমানাও করা হয়। তারপরও থেমে নেই এই জালের ব্যবহার। শুধু কুষ্টিয়া বা বরিশাল নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।

নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও জেলেরা কেন এই জাল ব্যবহার করছেন সেটা একটা প্রশ্ন। কম পরিশ্রমে বেশি মাছ ধরতে পারায় কারেন্ট জালের চেয়েও বিপজ্জনক এই জাল জেলেদের কাছে জনপ্রিয়। চায়না দুয়ারি মূলত মাছ ধরার এক ধরনের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিঁঠ থেকে আরেকটি গিঁঠের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না।

অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপক ক্ষতি ডেকে আনছে চায়না দুয়ারি জাল। এই জালে একবার ধরা পড়লে আর বের হতে পারে না, তাই অনেক বিপন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী মারা পড়ে। সেগুলো বংশবৃদ্ধিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।

নিয়মিত অভিযান চালিয়ে চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস করতে হবে। এতেও কাজ না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। জালের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধ করা জরুরি। নইলে এ জালের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না ।

চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো জেলেদের বোঝাতে হবে। মৎস সম্পদ বিপন্ন হলে তারাই প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

back to top