মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ফেব্রুয়ারি এলেই ঢাকার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক ভিন্ন আবহে সেজে ওঠে। সারাদেশের পাঠক, লেখক, প্রকাশক এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে প্রাণের মেলাÑ অমর একুশে বইমেলা। একদিকে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মাস, অন্যদিকে নতুন বইয়ের ঘ্রাণÑএই দুইয়ের সমন্বয়ে একুশে বইমেলা হয়ে ওঠে বাঙালির আবেগের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু বই কেনাবেচার মেলা নয়, বরং এটি আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির এক বিশাল উৎসব, যেখানে কেবল পাঠক-লেখকদের মিলনই ঘটে না, বরং একটি জাতির সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রতিফলন ঘটে।
বইমেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত মেলা নয়, বরং একটি আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করেই এই মেলা গড়ে উঠেছে, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়। এখানে নানা ধরনের বই প্রকাশিত হয়Ñ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষ সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে বই পাওয়া যায়। ফলে পাঠকের চাহিদা ও রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলাটিও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।
একুশে বইমেলা কেবল একটি বা দুইটি প্রজন্মের জন্য নয়, এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এটি শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, বরং এটি একটি চেতনার নাম, যা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাংলা ভাষার বিকাশ, নতুন লেখকদের উত্থান, পাঠকদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসাÑ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা হয়ে উঠেছে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা যুগ যুগ ধরে আমাদের সাহিত্যের পথচলা সমৃদ্ধ করে চলেছে।
নবাব শাহজাদা
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ফেব্রুয়ারি এলেই ঢাকার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এক ভিন্ন আবহে সেজে ওঠে। সারাদেশের পাঠক, লেখক, প্রকাশক এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে প্রাণের মেলাÑ অমর একুশে বইমেলা। একদিকে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী মাস, অন্যদিকে নতুন বইয়ের ঘ্রাণÑএই দুইয়ের সমন্বয়ে একুশে বইমেলা হয়ে ওঠে বাঙালির আবেগের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি শুধু বই কেনাবেচার মেলা নয়, বরং এটি আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির এক বিশাল উৎসব, যেখানে কেবল পাঠক-লেখকদের মিলনই ঘটে না, বরং একটি জাতির সৃজনশীলতা ও মননশীলতার প্রতিফলন ঘটে।
বইমেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আয়োজিত মেলা নয়, বরং একটি আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। একুশে ফেব্রুয়ারির আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করেই এই মেলা গড়ে উঠেছে, যেখানে ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি মানুষের ভালোবাসা গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়। এখানে নানা ধরনের বই প্রকাশিত হয়Ñ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, গবেষণা, শিশুতোষ সাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে বই পাওয়া যায়। ফলে পাঠকের চাহিদা ও রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলাটিও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে।
একুশে বইমেলা কেবল একটি বা দুইটি প্রজন্মের জন্য নয়, এটি বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এটি শুধু বই কেনাবেচার স্থান নয়, বরং এটি একটি চেতনার নাম, যা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাংলা ভাষার বিকাশ, নতুন লেখকদের উত্থান, পাঠকদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসাÑ সবকিছু মিলিয়ে এই মেলা হয়ে উঠেছে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন, যা যুগ যুগ ধরে আমাদের সাহিত্যের পথচলা সমৃদ্ধ করে চলেছে।
নবাব শাহজাদা
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।