alt

মতামত » চিঠিপত্র

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

: রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা ২০১৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) অনুমোদন লাভ করলেও, দীর্ঘ এক দশকেও সেখানে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠেনি। এর ফলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারি হাসপাতালের অনুপস্থিতিতে আধুনিক মানসম্পন্ন বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারও গড়ে ওঠেনি, ফলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।

এই সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন গুইমারার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। সংকটাপন্ন রোগীদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা জেলা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত নিতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার প্রসূতিদের জন্য এটি এক চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গুইমারার মানুষ বাধ্য হয়ে হাতুড়ে ডাক্তার ও অপ্রশিক্ষিত চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে জটিলতা বাড়িয়ে তুলছে। আধুনিক চিকিৎসাসেবার অভাবে অপুষ্টি, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা নিতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা জেলা শহরে যেতে হলে ভোগান্তির পাশাপাশি সময় ও অর্থের অপচয়ও ঘটছে।

নীতিনির্ধারকরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু গুইমারা উপজেলার বাস্তব চিত্র সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যদিও খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জনের মতে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়।

গুইমারার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। দ্রুততম সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু করা এবং চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম চালু করে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এই উপজেলার ৮০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে এখনই প্রয়োজন কার্যকর ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, গুইমারার স্বাস্থ্যসেবা সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা ২০১৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) অনুমোদন লাভ করলেও, দীর্ঘ এক দশকেও সেখানে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গড়ে ওঠেনি। এর ফলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারি হাসপাতালের অনুপস্থিতিতে আধুনিক মানসম্পন্ন বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারও গড়ে ওঠেনি, ফলে সঠিক চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।

এই সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন গুইমারার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। সংকটাপন্ন রোগীদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা জেলা সদর হাসপাতাল পর্যন্ত নিতে গিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার প্রসূতিদের জন্য এটি এক চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গুইমারার মানুষ বাধ্য হয়ে হাতুড়ে ডাক্তার ও অপ্রশিক্ষিত চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে জটিলতা বাড়িয়ে তুলছে। আধুনিক চিকিৎসাসেবার অভাবে অপুষ্টি, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা নিতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বা জেলা শহরে যেতে হলে ভোগান্তির পাশাপাশি সময় ও অর্থের অপচয়ও ঘটছে।

নীতিনির্ধারকরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু গুইমারা উপজেলার বাস্তব চিত্র সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যদিও খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জনের মতে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান নয়।

গুইমারার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। দ্রুততম সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু করা এবং চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম চালু করে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যেতে পারে। স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এই উপজেলার ৮০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে এখনই প্রয়োজন কার্যকর ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, গুইমারার স্বাস্থ্যসেবা সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক।

back to top