alt

চিঠিপত্র

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

: শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ময়মনসিংহের অলিগলিতে দেখা যায় পথশিশুদের। মানুষের থেকে টাকা চেয়ে, আবর্জনা স্তূপ থেকে বোতল কুড়িয়ে কিংবা পানি, পপকর্ন বিক্রি করে দিন কাটে এ সমস্ত পথশিশুদের। তবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বেশিরভাগ শিশুই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৮০% পথশিশুই নেশায় আসক্ত। জয়নুল আবেদীন পার্ক, টাউন হল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রকাশ্যে নেশা করতে দেখা যায়। খেয়াল করলে দেখা যায়, পলিথিনের ভিতরে থাকা এক ধরনের তরল দ্রব্যের ঘ্রাণ নিচ্ছে পথশিশুরা। এটি এক ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য, যা ড্যান্ডি নামে পরিচিত। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ডি নামক বস্তুটি আঠা জাতীয় এবং ঘ্রানযুক্ত। এটি পথশিশুরা অল্প দামে জুতার, কাঠের কিংবা গ্যারেজের দোকান থেকে কিনে সেবন করে। প্রতিনিয়ত ড্যান্ডি সেবনের ফলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, দেহের কোষ নষ্ট হওয়া কিংবা শরীরে ঘা সহ মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি শিশুরই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পথশিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সমাজের এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য। সামাজিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে নেশার জগত থেকে পথশিশুদের ফিরিয়ে আনা যায়। কাদের কাছ থেকে শিশুরা নেশা জাতীয় দ্রব্য কিনে থাকে তা কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নেশাদ্রব্যটি কিনতে না পারে। এ সমস্ত শিশুদের পথশিশু হিসেবে না দেখে শিশু হিসেবে দেখতে হবে এবং রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলে সুন্দর সমাজ এবং দেশ তৈরি করতে হবে।

রিকমা আক্তার

শিক্ষার্থী, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

পুরান ঢাকায় মশার উৎপাত

গুইমারায় স্বাস্থ্যসেবা সংকট : অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন

মশার উপদ্রব : জনস্বাস্থ্য ও নগর ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : একটি জাতীয় সংকট

নাম পাল্টে গেলে কত কী যে হয়

অনুপ্রেরণা হোক তুলনাহীন

দূষণ রোধে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা হ্রাস জরুরি

পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বাড়ান

গণরুম প্রথার বিলুপ্তি কবে?

রেলসেবার মান বাড়ান

নওগাঁ সরকারি কলেজের সংকট

টিকিটের দাম আকাশচুম্বী

জকিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের দুরবস্থা

রেলে দুর্নীতি

নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই

ঢাকা-ময়মনসিংহ ননস্টপ ট্রেন ও ডাবল লাইন নির্মাণের দাবি

শিশুদের প্রতি প্রতিহিংসা বন্ধ করুন

চরবাসীর নদী পারাপারে নিরাপত্তার প্রয়োজন

জন্মনিবন্ধন সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় : ব্যবস্থা নিন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই

উন্নয়নের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান কারিগরি শিক্ষা

পোস্তগোলায় নিম্নমানের ড্রেন নির্মাণ

দিনমজুর সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত

পানাম সেতু : ঐতিহ্য রক্ষায় অবহেলা নয়

যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা থেকে ধোলাইখাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার দুরবস্থা

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে সেতু চাই

tab

চিঠিপত্র

পথশিশুদের ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য থেকে রক্ষা করুন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের অলিগলিতে দেখা যায় পথশিশুদের। মানুষের থেকে টাকা চেয়ে, আবর্জনা স্তূপ থেকে বোতল কুড়িয়ে কিংবা পানি, পপকর্ন বিক্রি করে দিন কাটে এ সমস্ত পথশিশুদের। তবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বেশিরভাগ শিশুই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৮০% পথশিশুই নেশায় আসক্ত। জয়নুল আবেদীন পার্ক, টাউন হল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রকাশ্যে নেশা করতে দেখা যায়। খেয়াল করলে দেখা যায়, পলিথিনের ভিতরে থাকা এক ধরনের তরল দ্রব্যের ঘ্রাণ নিচ্ছে পথশিশুরা। এটি এক ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য, যা ড্যান্ডি নামে পরিচিত। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ডি নামক বস্তুটি আঠা জাতীয় এবং ঘ্রানযুক্ত। এটি পথশিশুরা অল্প দামে জুতার, কাঠের কিংবা গ্যারেজের দোকান থেকে কিনে সেবন করে। প্রতিনিয়ত ড্যান্ডি সেবনের ফলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, দেহের কোষ নষ্ট হওয়া কিংবা শরীরে ঘা সহ মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি শিশুরই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পথশিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সমাজের এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য। সামাজিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে নেশার জগত থেকে পথশিশুদের ফিরিয়ে আনা যায়। কাদের কাছ থেকে শিশুরা নেশা জাতীয় দ্রব্য কিনে থাকে তা কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নেশাদ্রব্যটি কিনতে না পারে। এ সমস্ত শিশুদের পথশিশু হিসেবে না দেখে শিশু হিসেবে দেখতে হবে এবং রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলে সুন্দর সমাজ এবং দেশ তৈরি করতে হবে।

রিকমা আক্তার

শিক্ষার্থী, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।

back to top