alt

উপ-সম্পাদকীয়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে বুয়েট উত্তাল হয়ে উঠলে বুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি এবং হত্যাকাণ্ডের মামলার রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এই বন্ধ রাজনীতি আবার চালু হলো গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মীর বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বৈঠক করার কারণে। এই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। সিট বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয় ছাত্রলীগের পাল্টা কর্মসূচি, ইমতিয়াজ উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার ওপর বুয়েট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে দেয়। ফলে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে আর কোন আইনগত বাধা থাকল না।

ছাত্র রাজনীতির ওপর বুয়েট কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আদালত কর্তৃক স্থগিত হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক মতামত ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অভিভাবকরাও তাদের মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। যারা রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত তারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে সংগঠন করার অধিকার সবার রয়েছে, ছাত্র রাজনীতিতে কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধান করতে হবে, মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার যুক্তি গ্রাহ্য হতে পারে না। তাদের আরও বড় যুক্তি হচ্ছে, দেশ পরিচালনার জন্য নেতা ও নেতৃত্ব গড়ার প্রশিক্ষণ নিতে হয় ছাত্র রাজনীতি থেকে। তাদের আরও যুক্তি হচ্ছে, ছাত্র রাজনীতি আছে বলেই ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে, স্বৈরশাসনের অবসান সম্ভব হয়েছে।

পাকিস্তান আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধী পক্ষকে ঠেঙ্গিয়েছে মোনায়েম খানের জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন বা এনএসএফ। এই সংগঠনের শীর্ষ ক্যাডার পাচপাত্তু, জমির আলী ও খোকার কোমরে থাকত পিস্তল বা চাইনিজ কুড়াল, এরা গলায় সাপ ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াত। তবে এরা ছিল সংখ্যায় অল্প, এনএসএফ বহির্ভূত ছাত্র সমাজে নেতৃত্বের জন্য বেছে নেয়া হতো মেধাবী, সৎ, নম্র, ভদ্র ছাত্র বা ছাত্রীকে। মুক্তিযুদ্ধের পর ছাত্র রাজনীতির অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করে, প্রায় সবার হাতে অস্ত্র। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে নিহত সাতজনের দণ্ডপ্রাপ্ত হত্যাকারীকে জিয়াউর রহমানের মুক্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী ছাত্ররা খুন করার লাইসেন্স পেয়ে যায়। এখন ছাত্র নেতাদের লোভ আর ভয় লাগানোর রাজত্ব চলছে। এখন হলে হলে টর্চার-সেল থাকে, থাকে অপহরণ বাণিজ্য। চাঁদা তোলা আর টেন্ডারবাজির অবাধ লাইসেন্স বহু ছাত্রনেতাকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হলে হলে বোমা তৈরি হতে লাগল, অনেকে নিজের বোমায় নিজেই মরল।

মরুক তারা, মরুক তারা এনএসএফ-এর পাচপাত্তুর বা খোকার মতো, জনগণ একটুও আপসোস করবে না। ১৯৬৮ সালে সলিমুল্লাহ হলে মদ্যপ অবস্থায় পাচপাত্তুরের বুক ও তলপেট ড্যাগার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল আরেকজন, অন্যদিকে একাত্তরের বিজয় দিবসে নারায়ণগঞ্জের পতিতালয় থেকে ধরে আনা খোকার কবর হয়নি, গুলিবিদ্ধ মরদেহটি রেসকোর্স ময়দানের মাঝখানে পশুপাখির খাদ্য হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে রাজনৈতিক দলবিধি জারির মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিকে মূল রাজনৈতিক দলের আওতাভুক্ত করার পর ছাত্র রাজনীতির আসল লক্ষ্য হলো মূল দলের আজ্ঞাবহ থাকা। মূল দলের আশ্রয়-প্রশ্রয় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে সমীহ করতে থাকে। এই সমীহই শাসকদলের অঙ্গসংঠনের ছাত্রনেতাদের প্রতি সাধারণ ছাত্রদের আতঙ্কের মেসেজ। শাসকদলের অঙ্গসংঠনের ছাত্রনেতাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অক্ষুণ্ন রাখতে অকর্মণ্য, রোবট ব্যক্তিদের ভিসি, প্রাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ, প্রভোস্ট, হাউস টিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া রেওয়াজে পরিণত হলো। ভিসি, প্রক্টর, প্রভোস্ট, হাউস টিউটর সব দলীয় আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় এরা মেরুদণ্ডহীন, তারা নীতিনিষ্ঠ কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী নন।

ছাত্রনেতাদের অবাধ প্রভাব-প্রতিপত্তি আর অঢেল সম্পদ করায়াত্ত থাকায় লেখাপড়ার পরিবেশ হয়েছে কলুষিত, লেখাপড়া ও গবেষণায় সমৃদ্ধ হওয়ার বাসনা হয়েছে তিরোহিত, ১৯৭৭ সাল থেকে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের ধ্যান-জ্ঞান সব বিনিয়োজিত হতে থাকল নিজ স্বার্থ উদ্ধার এবং মূল রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে। শ্রমবিহীন টাকার সহজ আগমনে নৈরাজ্যে ভরে গেল ছাত্র রাজনীতি। বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে নীতি-আদর্শের চেয়ে নেতা বড়; নেতার নেতা হওয়ার অহমিকা আরও বেশি বড় হয়ে প্রতিভাত হতে থাকল। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র রাজনীতির বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে কলেজ বা হল কর্তৃপক্ষ থাকে নীরব ও নির্বিকার; গদি অক্ষুণ্ন রাখার এই ভূমিকাই যথাযথ। তাই সব সরকারের আমলেই সরকারের মদতপুষ্ট ছাত্রদের হাতে প্রতিপক্ষের ছাত্র খুন হয়। সরকারি দলের ছাত্ররা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব আবাসিক হলের দখলদারিত্ব সূত্রে মালিকানা স্বত্ত্ব পেয়ে যায়। সব সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারা কেন থাকে এই প্রশ্নের উত্তর সবার জানা; ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগেই আছে।

জাতীয় রাজনীতির অঙ্গসংঠন বলেই মূল দলের ডাকা হরতাল সফল করতে বোমা বানাতে গিয়ে ছাত্রনেতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। যাদের সন্তান কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদের সর্বদা সন্তানদের দুঃসংবাদ শোনার ভয়ে দিন কাটে; তাদের ধারণা, জাতীয় রাজনীতি ছাত্র রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। তাই বোধহয় ছাত্র রাজনীতির প্রতি সমাজে একটা অমোচনীয় অশ্রদ্ধা তৈরি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রদল বা শিবির একেবারেই নিশ্চুপ, তাদের কোন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়, এখন বিরোধী কোন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিনেও সমবেত হতে পারছে না; অথচ বিএনপি এবং জামায়াত জোট সরকারের আমলে শুধু শিবিরের দাপটে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না, কেউ একটু মাথাচাড়া দিতে চাইলে ধরে ধরে রগ কেটে দেয়া হতো।

প্রথমে মূল রাজনৈতিক দলের পরিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মূল রাজনৈতিক দলের নেতারা শুদ্ধ হলে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হওয়ার সুযোগই থাকবে না। কলুষমুক্ত ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হলে, ছাত্র রাজনীতির পচন ঠেকানো সম্ভব হবে না

বিএনপির ছাত্রদলও তখন এত বেশি বেপরোয়া ছিল যে, আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর জন্য বিএনপির ছাত্রদলই যথেষ্ট বলে বেগম খালেদা জিয়া একবার হুমকি দিয়েছিলেন। আসলে স্বাধীন বা লেজুড়বৃত্তি যেভাবেই থাকুক না কেন সরকার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে ছাত্র সংগঠনের ফ্যাসিজম বন্ধ হবে না। হাজার হাজার মোটরসাইকেলের সংবর্ধনায় এরা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করে, নামিদামি গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে, জাঁকজমকপূর্ণ ফ্ল্যাটে এদের বসবাস। আমার মেয়ে সানজানা ফারিয়াল ঐশী কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন নির্বাচনে একটি প্যানেলভুক্ত প্রার্থী, শীঘ্রই ভোট হবে। সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বিগত ছয় মাস ধরে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্টের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠার জন্য ছয় মাস খুব বেশি সময় নয়। আমি বাধা দিইনি, অবশ্য সে আমার অনুমতিও চায়নি, শুধু অবহিত করেছে। অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ প্রভৃতি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়েও স্টুডেন্টস ইউনিয়ন আছে, সেখানে নির্বাচন হয়, নির্বাচনে যারা জয়লাভ করে তারা কর্মজীবনেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানিত হয়, তাদের কোন ছাত্র কর্মজীবনে বিশ্বপর্যায়ে কোন কৃতিত্ব অর্জন করলে তাকে ডেকে নিয়ে পিএইচডি দেয়া হয়।

বেনজির ভুট্টো প্রথম এশীয় নারী যিনি ১৯৭৬ সালে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন। শুধু ব্রিটিশ নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিখ্যাত বিখ্যাত লোকজনের পদচারণা ছিল এই ক্লাবে। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিতে যাদের উচ্চাভিলাষ রয়েছে তাদের এই ক্লাবে যোগ দেয়া সমীচীন বলে বিবেচনা করা হয়। আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বুয়েটে শুধু আবরার হত্যা হয়নি, হত্যা হয়েছে ২০০২ সালে, যখন ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাবেকুন নাহার সনি এবং এই সংঘর্ষ ছিল টেন্ডার দখল নিয়ে। ২০১৩ সালে ধর্মীয় উগ্রপন্থী এক ধর্মীয় ছাত্রের হাতে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ রায়হান দীপ। বিভিন্ন অপরাধে ছাত্র নেতাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকায় ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে, অনেকে ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে শুধু নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে না, ছাত্র রাজনীতি বন্ধেরও দাবি তুলছে, অনেকে সংস্কারের আবশ্যকতার কথা জানাচ্ছে। তাই প্রথমে মূল রাজনৈতিক দলের পরিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মূল রাজনৈতিক দলের নেতারা শুদ্ধ হলে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হওয়ার সুযোগই থাকবে না। কলুষমুক্ত ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হলে, ছাত্র রাজনীতির পচন ঠেকানো সম্ভব হবে না।

[লেখক : সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সাবেক এমডি, টাকশাল]

ভোজবাজি ও ভানুমতির খেলা

সড়কে কিশোর মোটরবাইকার : নিয়ন্ত্রণ জরুরি

মব জাস্টিস আইনের শাসনের পরিপন্থি

ছবি

গভীর সংকট আর বড় সম্ভাবনা পাশাপাশি হাঁটছে

জ্ঞানদায়িনী মা সরস্বতী দেবী

‘সংখ্যাস্বল্প’ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী

বিকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা কেন প্রয়োজন?

সব ক্ষেত্রে বাংলাকে প্রাধান্য দিন

গুজব : মানবসৃষ্ট দুর্যোগ

অন্তর্বর্তী সরকার: নাগরিকদের প্রত্যাশা কি পূরণ হবে?

পাঠ্যবই সংকটে থমকে গেছে শিক্ষার চাকা

আরজি কর : শাসক রোষে ভিকটিমের পরিবার

চাই কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়ন

একটি দেয়ালচিত্র ও কিছু কথা

শুল্ক বনাম উদ্ভাবন যুদ্ধ

রম্যগদ্য : “ডক্টর.জ্বী-ভাগো...”

বায়ুদূষণ মনিটরিংয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার

ছবি

যোগেন ম-লের ‘বহুজনবাদী’ রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা

একটি দেয়ালচিত্র ও কিছু কথা

আলো, অন্ধকার ও চরিত্রবান জীবন

শিক্ষকরা কেন বারবার মার খাবে?

মনোবিশ্লেষক নাট্যক্রিয়া অনুশীলনের ক্ষেত্র হোক সহজতর

প্রসঙ্গ জেনারেশন জেড

বাড়ছে বেকারত্ব : প্রতিকারে জরুরি পদক্ষেপ নিন

প্রকৃতির প্রতি সদয় হতে হবে

ছবি

আভিজাত্যের বাঁধ এবং প্রান্তিক মানুষ

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস

অর্থনীতি কোনদিকে যাচ্ছে?

বৈষম্যবিরোধী সংস্কার দরকার

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পোস্টমর্টেম প্রসঙ্গে

রাজনীতির লালসালু ও ময়না দ্বীপ : জনগণের আস্থার সংকট

প্রদেশ গঠনের প্রস্তাব কি বাস্তবসম্মত

‘ভিলেজ পলিটিক্স’ ও সাধারণ গ্রামবাসী

রম্যগদ্য : ‘ধেয়ে আসছে বুলেট’

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পেনশন ও গ্র্যাচুইটি সময়ের দাবি

ফসলের দাম ও কৃষক

tab

উপ-সম্পাদকীয়

ছাত্র রাজনীতি : পক্ষে-বিপক্ষে

জিয়াউদ্দীন আহমেদ

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে বুয়েট উত্তাল হয়ে উঠলে বুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি এবং হত্যাকাণ্ডের মামলার রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এই বন্ধ রাজনীতি আবার চালু হলো গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মীর বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বৈঠক করার কারণে। এই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না থাকায় পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়। সিট বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হয় ছাত্রলীগের পাল্টা কর্মসূচি, ইমতিয়াজ উচ্চ আদালতে রিট করলে হাইকোর্ট বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি করার ওপর বুয়েট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে দেয়। ফলে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে আর কোন আইনগত বাধা থাকল না।

ছাত্র রাজনীতির ওপর বুয়েট কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আদালত কর্তৃক স্থগিত হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক মতামত ও প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অভিভাবকরাও তাদের মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। যারা রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত তারা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে নানা যুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে সংগঠন করার অধিকার সবার রয়েছে, ছাত্র রাজনীতিতে কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধান করতে হবে, মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার যুক্তি গ্রাহ্য হতে পারে না। তাদের আরও বড় যুক্তি হচ্ছে, দেশ পরিচালনার জন্য নেতা ও নেতৃত্ব গড়ার প্রশিক্ষণ নিতে হয় ছাত্র রাজনীতি থেকে। তাদের আরও যুক্তি হচ্ছে, ছাত্র রাজনীতি আছে বলেই ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সফল হয়েছে, স্বৈরশাসনের অবসান সম্ভব হয়েছে।

পাকিস্তান আমলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরোধী পক্ষকে ঠেঙ্গিয়েছে মোনায়েম খানের জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন বা এনএসএফ। এই সংগঠনের শীর্ষ ক্যাডার পাচপাত্তু, জমির আলী ও খোকার কোমরে থাকত পিস্তল বা চাইনিজ কুড়াল, এরা গলায় সাপ ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াত। তবে এরা ছিল সংখ্যায় অল্প, এনএসএফ বহির্ভূত ছাত্র সমাজে নেতৃত্বের জন্য বেছে নেয়া হতো মেধাবী, সৎ, নম্র, ভদ্র ছাত্র বা ছাত্রীকে। মুক্তিযুদ্ধের পর ছাত্র রাজনীতির অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করে, প্রায় সবার হাতে অস্ত্র। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে নিহত সাতজনের দণ্ডপ্রাপ্ত হত্যাকারীকে জিয়াউর রহমানের মুক্তি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী ছাত্ররা খুন করার লাইসেন্স পেয়ে যায়। এখন ছাত্র নেতাদের লোভ আর ভয় লাগানোর রাজত্ব চলছে। এখন হলে হলে টর্চার-সেল থাকে, থাকে অপহরণ বাণিজ্য। চাঁদা তোলা আর টেন্ডারবাজির অবাধ লাইসেন্স বহু ছাত্রনেতাকে কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছে। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য হলে হলে বোমা তৈরি হতে লাগল, অনেকে নিজের বোমায় নিজেই মরল।

মরুক তারা, মরুক তারা এনএসএফ-এর পাচপাত্তুর বা খোকার মতো, জনগণ একটুও আপসোস করবে না। ১৯৬৮ সালে সলিমুল্লাহ হলে মদ্যপ অবস্থায় পাচপাত্তুরের বুক ও তলপেট ড্যাগার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল আরেকজন, অন্যদিকে একাত্তরের বিজয় দিবসে নারায়ণগঞ্জের পতিতালয় থেকে ধরে আনা খোকার কবর হয়নি, গুলিবিদ্ধ মরদেহটি রেসকোর্স ময়দানের মাঝখানে পশুপাখির খাদ্য হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে রাজনৈতিক দলবিধি জারির মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিকে মূল রাজনৈতিক দলের আওতাভুক্ত করার পর ছাত্র রাজনীতির আসল লক্ষ্য হলো মূল দলের আজ্ঞাবহ থাকা। মূল দলের আশ্রয়-প্রশ্রয় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনকে সমীহ করতে থাকে। এই সমীহই শাসকদলের অঙ্গসংঠনের ছাত্রনেতাদের প্রতি সাধারণ ছাত্রদের আতঙ্কের মেসেজ। শাসকদলের অঙ্গসংঠনের ছাত্রনেতাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি অক্ষুণ্ন রাখতে অকর্মণ্য, রোবট ব্যক্তিদের ভিসি, প্রাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ, প্রভোস্ট, হাউস টিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া রেওয়াজে পরিণত হলো। ভিসি, প্রক্টর, প্রভোস্ট, হাউস টিউটর সব দলীয় আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় এরা মেরুদণ্ডহীন, তারা নীতিনিষ্ঠ কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী নন।

ছাত্রনেতাদের অবাধ প্রভাব-প্রতিপত্তি আর অঢেল সম্পদ করায়াত্ত থাকায় লেখাপড়ার পরিবেশ হয়েছে কলুষিত, লেখাপড়া ও গবেষণায় সমৃদ্ধ হওয়ার বাসনা হয়েছে তিরোহিত, ১৯৭৭ সাল থেকে ছাত্রনেতা ও কর্মীদের ধ্যান-জ্ঞান সব বিনিয়োজিত হতে থাকল নিজ স্বার্থ উদ্ধার এবং মূল রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে। শ্রমবিহীন টাকার সহজ আগমনে নৈরাজ্যে ভরে গেল ছাত্র রাজনীতি। বর্তমান ছাত্র রাজনীতিতে নীতি-আদর্শের চেয়ে নেতা বড়; নেতার নেতা হওয়ার অহমিকা আরও বেশি বড় হয়ে প্রতিভাত হতে থাকল। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র রাজনীতির বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে কলেজ বা হল কর্তৃপক্ষ থাকে নীরব ও নির্বিকার; গদি অক্ষুণ্ন রাখার এই ভূমিকাই যথাযথ। তাই সব সরকারের আমলেই সরকারের মদতপুষ্ট ছাত্রদের হাতে প্রতিপক্ষের ছাত্র খুন হয়। সরকারি দলের ছাত্ররা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব আবাসিক হলের দখলদারিত্ব সূত্রে মালিকানা স্বত্ত্ব পেয়ে যায়। সব সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পাহারা কেন থাকে এই প্রশ্নের উত্তর সবার জানা; ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগেই আছে।

জাতীয় রাজনীতির অঙ্গসংঠন বলেই মূল দলের ডাকা হরতাল সফল করতে বোমা বানাতে গিয়ে ছাত্রনেতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, প্রতিপক্ষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। যাদের সন্তান কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তাদের সর্বদা সন্তানদের দুঃসংবাদ শোনার ভয়ে দিন কাটে; তাদের ধারণা, জাতীয় রাজনীতি ছাত্র রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। তাই বোধহয় ছাত্র রাজনীতির প্রতি সমাজে একটা অমোচনীয় অশ্রদ্ধা তৈরি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ছাত্রদল বা শিবির একেবারেই নিশ্চুপ, তাদের কোন কর্মকাণ্ড দৃশ্যমান নয়, এখন বিরোধী কোন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর কেন্টিনেও সমবেত হতে পারছে না; অথচ বিএনপি এবং জামায়াত জোট সরকারের আমলে শুধু শিবিরের দাপটে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না, কেউ একটু মাথাচাড়া দিতে চাইলে ধরে ধরে রগ কেটে দেয়া হতো।

প্রথমে মূল রাজনৈতিক দলের পরিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মূল রাজনৈতিক দলের নেতারা শুদ্ধ হলে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হওয়ার সুযোগই থাকবে না। কলুষমুক্ত ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হলে, ছাত্র রাজনীতির পচন ঠেকানো সম্ভব হবে না

বিএনপির ছাত্রদলও তখন এত বেশি বেপরোয়া ছিল যে, আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর জন্য বিএনপির ছাত্রদলই যথেষ্ট বলে বেগম খালেদা জিয়া একবার হুমকি দিয়েছিলেন। আসলে স্বাধীন বা লেজুড়বৃত্তি যেভাবেই থাকুক না কেন সরকার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে ছাত্র সংগঠনের ফ্যাসিজম বন্ধ হবে না। হাজার হাজার মোটরসাইকেলের সংবর্ধনায় এরা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করে, নামিদামি গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করে, জাঁকজমকপূর্ণ ফ্ল্যাটে এদের বসবাস। আমার মেয়ে সানজানা ফারিয়াল ঐশী কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন নির্বাচনে একটি প্যানেলভুক্ত প্রার্থী, শীঘ্রই ভোট হবে। সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বিগত ছয় মাস ধরে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্টের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠার জন্য ছয় মাস খুব বেশি সময় নয়। আমি বাধা দিইনি, অবশ্য সে আমার অনুমতিও চায়নি, শুধু অবহিত করেছে। অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ প্রভৃতি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়েও স্টুডেন্টস ইউনিয়ন আছে, সেখানে নির্বাচন হয়, নির্বাচনে যারা জয়লাভ করে তারা কর্মজীবনেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানিত হয়, তাদের কোন ছাত্র কর্মজীবনে বিশ্বপর্যায়ে কোন কৃতিত্ব অর্জন করলে তাকে ডেকে নিয়ে পিএইচডি দেয়া হয়।

বেনজির ভুট্টো প্রথম এশীয় নারী যিনি ১৯৭৬ সালে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন। শুধু ব্রিটিশ নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিখ্যাত বিখ্যাত লোকজনের পদচারণা ছিল এই ক্লাবে। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিতে যাদের উচ্চাভিলাষ রয়েছে তাদের এই ক্লাবে যোগ দেয়া সমীচীন বলে বিবেচনা করা হয়। আমাদের দেশে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বুয়েটে শুধু আবরার হত্যা হয়নি, হত্যা হয়েছে ২০০২ সালে, যখন ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাবেকুন নাহার সনি এবং এই সংঘর্ষ ছিল টেন্ডার দখল নিয়ে। ২০১৩ সালে ধর্মীয় উগ্রপন্থী এক ধর্মীয় ছাত্রের হাতে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ রায়হান দীপ। বিভিন্ন অপরাধে ছাত্র নেতাদের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকায় ছাত্র রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছে, অনেকে ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে শুধু নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে না, ছাত্র রাজনীতি বন্ধেরও দাবি তুলছে, অনেকে সংস্কারের আবশ্যকতার কথা জানাচ্ছে। তাই প্রথমে মূল রাজনৈতিক দলের পরিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মূল রাজনৈতিক দলের নেতারা শুদ্ধ হলে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হওয়ার সুযোগই থাকবে না। কলুষমুক্ত ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত না হলে, ছাত্র রাজনীতির পচন ঠেকানো সম্ভব হবে না।

[লেখক : সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সাবেক এমডি, টাকশাল]

back to top