alt

উপ-সম্পাদকীয়

দূর হোক মনের পশুত্ব

আর কে চৌধুরী

: শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। বিশ্বাসীদের আদিপিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার ছেলে ইসমাইল (আ.)-এর পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত কোরবানি প্রথার সঙ্গে। ঈদুল আজহা এমন এক উৎসব ও ইবাদত যা সংঘাতময় বিশ্বে মানব জাতিকে শান্তির পথ দেখাতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে তার প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আল্লাহর প্রতি সংশয়াতীত আনুগত্যে ইবরাহিম (আ.) প্রিয় ছেলে ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। ঐশী নির্দেশ পালনে অপত্যস্নেহ বাধা হয়ে যাতে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করতে নিজের চোখ বেঁধে প্রিয় ছেলেকে কোরবানির সময় আল্লাহর ইচ্ছায় ইসমাইল (আ.)-এর বদলে একটি মেষ বা দুম্বা কোরবানি হয়। ফেরেশতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে জানান, আল্লাহ তার আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের এ মহিমান্বিত ঘটনার অনুসরণে মহানবী (সা.)-এর অনুসারীদের মধ্যে ১৪০০ বছর ধরে পালিত হচ্ছে কোরবানির প্রথা। কোরবানি নিছক পশু জবাই নয়; মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকে যে পশুত্ব ও অহংবোধ তা বিসর্জন দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হওয়াই কোরবানির শিক্ষা। এ বিষয়ে আল্লাহর ঘোষণা, পশুর রক্ত বা মাংস নয়, তার কাছে পৌঁছে বান্দার তাকওয়া। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের উৎস মহান আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী জীবন গড়ার মধ্যেই রয়েছে কোরবানির মাহাত্ম্য। তা উপেক্ষা করে কোরবানির নামে অহংবোধের কোনো সুযোগ নেই। সারা দেশে এখন চলছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। কোরবানিতে পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অনুষঙ্গ। কোরবানির ক্ষেত্রে পরিবেশ যাতে নোংরা না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। মুসলমানের পাশাপাশি খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছেও হজরত ইবরাহিম পরম শ্রদ্ধার পাত্র। হানাহানিমুক্ত বিশ্ব গড়তে মিল্লাতে ইবরাহিম (আ.)-এর মধ্যে শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ গড়ে উঠলে তা হবে মানব জাতির জন্য এক বড় অর্জন।

কোরবানি ঈদে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ পশু জবাইয়ের পর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কার। যদিও প্রতিবছর এ কাজ নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। তাই বলে নিজের দায়িত্ব অবহেলা করলে চলবে না। সবারই উচিত ময়লা-আবর্জনা সঠিক স্থানে ফেলা ও নিজ বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা। অনেকে আছেন যারা কোরবানির পরে পশুর বর্জ্য যত্রেতত্র ফেলে রাখেন। ফলে ওই স্থান ও এর আশপাশে দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু ছড়ায়। তাই সবারই উচিত যৌথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশ নেয়া। কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে যে বর্জ্যগুলো তৈরি হবে সেগুলোতে সঙ্গে সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করে পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে রাখা উচিত বর্জ্যগুলো।

কোরবানির পর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কারের সহজ উপায় হচ্ছে, যারা নিজ বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদেরকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। এককভাবে কোরবানি না করে, মহল্লা ভিত্তিক একটি নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করা যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট এক স্থান থেকেই সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণও সহজ হয়। কোরবানির পর একই ভবনের বেশ কয়েকটি পরিবার একসঙ্গে মিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এতে বর্জ্য অপসারণ দ্রুততর হয় বলে পরিবেশের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে কোনো পলিথিনে মুখবন্ধ অবস্থায় রাখুন। কখনো এগুলো খোলা রাখবেন না, তাহলে দ্রুত রোগজীবাণু ছড়াবে।

পশু জবাইয়ের স্থানে কোরবানির পর পশুর রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে ব্লিচিং ছিটিয়ে দিন। এতে দুর্গন্ধ বা জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পাড়তে পারবে না। কোরবানির পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে। না হলে গন্ধ ছড়াবে। কোরবানির আগেই নিকটবর্তী মাঠ কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখা উচিত। পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে।

দেশে কোরবানির ঈদে নতুন করে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। ঈদুল আজহা এলেই তারা সব ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে যায়। নিজেদের আনন্দে অন্যদের শরিক করা ঈদুল আজহার শিক্ষা। কোরবানিকৃত পশুর গোশত তিন অংশে ভাগ করে এক অংশ নিজের জন্য সংরক্ষণ, দ্বিতীয় অংশ আত্মীয়-স্বজনকে প্রদান এবং তৃতীয় অংশ সমাজের অভাবগ্রস্ত ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া ইসলামের বিধান। আল্লাহতায়ালা কোরবানির পশুর গোশতের একটি অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষকে দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রিয় বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা কোরবানির তাৎপর্য।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক ]

পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থকে কি জলাঞ্জলি দিয়েছে মোদি প্রশাসন

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ : আইন কী বলে

হাজার টাকার বাগান খাইল পাঁচ সিকার ছাগলে

বাংলাদেশের উন্নতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা

মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রয়োজন প্রতিরোধ কার্যক্রম

রম্যগদ্য : ‘ন্যায়-অন্যায় জানি নে, জানি নে...’

ছবি

কুরবানির ছাগল তাকে চিনতে পেরেছে

ছবি

সুইডিশ মিডসামার : এক আনন্দময় দিনের সূচনা

ছবি

আধুনিক রূপকথা এবং আমাদের রাজাদের গল্প

গাছে গাছে সবুজ হোক দেশ

কত বিষে আমাদের বসবাস

ছবি

তিস্তার দুই নয়নে দুই অশ্রুধারা

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান

আদিবাসীরা বৈষম্যের শিকার

ছবি

নারীর অগ্রযাত্রা

ছবি

সিলেট-সুনামগঞ্জের ‘জলাবদ্ধ বন্যার’ দায় কার?

ছবি

বুড়িতিস্তা রিজার্ভার খনন : কৃষক কি উপকৃত হবে?

সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে কী হচ্ছে?

উচ্ছেদকৃত দলিতদের পুনর্বাসন করুন

রম্যগদ্য : অভিযোগ ‘অভিযোগ’ নয়

কেন হেরে গেলেন সেলিম

নীরবে-নিভৃতে কাজ করা এক কৃষিবিজ্ঞানীর কথা

অর্থনীতি কী অবস্থায় আছে?

কোরবানির চামড়ার হকদার

যোগাযোগ অধ্যয়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ

এমপি আনারকে নিয়ে যত আইনি জটিলতা

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন

মনের পশুত্বের প্রতীকী ত্যাগের আরেক নাম কোরবানি

ঈদে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস

এমআইটি : প্রযুক্তির সৃষ্টি রহস্যের খোঁজ

কবিগুরুর বাণী ‘প্রমাণিত মিথ্যা’

কিশোর গ্যাং কালচার বন্ধ হবে কিভাবে

কানিহাটি সিরিজ এবং পঞ্চব্রীহি নিয়ে আরও কিছু কথা

কলকাতায় হিজাব বিতর্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক

হাতের শক্তি ও মহিমা

tab

উপ-সম্পাদকীয়

দূর হোক মনের পশুত্ব

আর কে চৌধুরী

শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। বিশ্বাসীদের আদিপিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তার ছেলে ইসমাইল (আ.)-এর পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত কোরবানি প্রথার সঙ্গে। ঈদুল আজহা এমন এক উৎসব ও ইবাদত যা সংঘাতময় বিশ্বে মানব জাতিকে শান্তির পথ দেখাতে পারে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে তার প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আল্লাহর প্রতি সংশয়াতীত আনুগত্যে ইবরাহিম (আ.) প্রিয় ছেলে ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। ঐশী নির্দেশ পালনে অপত্যস্নেহ বাধা হয়ে যাতে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করতে নিজের চোখ বেঁধে প্রিয় ছেলেকে কোরবানির সময় আল্লাহর ইচ্ছায় ইসমাইল (আ.)-এর বদলে একটি মেষ বা দুম্বা কোরবানি হয়। ফেরেশতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে জানান, আল্লাহ তার আনুগত্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যের এ মহিমান্বিত ঘটনার অনুসরণে মহানবী (সা.)-এর অনুসারীদের মধ্যে ১৪০০ বছর ধরে পালিত হচ্ছে কোরবানির প্রথা। কোরবানি নিছক পশু জবাই নয়; মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকে যে পশুত্ব ও অহংবোধ তা বিসর্জন দিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হওয়াই কোরবানির শিক্ষা। এ বিষয়ে আল্লাহর ঘোষণা, পশুর রক্ত বা মাংস নয়, তার কাছে পৌঁছে বান্দার তাকওয়া। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের উৎস মহান আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী জীবন গড়ার মধ্যেই রয়েছে কোরবানির মাহাত্ম্য। তা উপেক্ষা করে কোরবানির নামে অহংবোধের কোনো সুযোগ নেই। সারা দেশে এখন চলছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। কোরবানিতে পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অনুষঙ্গ। কোরবানির ক্ষেত্রে পরিবেশ যাতে নোংরা না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। মুসলমানের পাশাপাশি খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছেও হজরত ইবরাহিম পরম শ্রদ্ধার পাত্র। হানাহানিমুক্ত বিশ্ব গড়তে মিল্লাতে ইবরাহিম (আ.)-এর মধ্যে শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ গড়ে উঠলে তা হবে মানব জাতির জন্য এক বড় অর্জন।

কোরবানি ঈদে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ পশু জবাইয়ের পর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কার। যদিও প্রতিবছর এ কাজ নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। তাই বলে নিজের দায়িত্ব অবহেলা করলে চলবে না। সবারই উচিত ময়লা-আবর্জনা সঠিক স্থানে ফেলা ও নিজ বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা। অনেকে আছেন যারা কোরবানির পরে পশুর বর্জ্য যত্রেতত্র ফেলে রাখেন। ফলে ওই স্থান ও এর আশপাশে দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু ছড়ায়। তাই সবারই উচিত যৌথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশ নেয়া। কোরবানি হয়ে যাওয়ার পরে যে বর্জ্যগুলো তৈরি হবে সেগুলোতে সঙ্গে সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য পরিষ্কারক দ্রব্য ব্যবহার করে পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে রাখা উচিত বর্জ্যগুলো।

কোরবানির পর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কারের সহজ উপায় হচ্ছে, যারা নিজ বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদেরকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। এককভাবে কোরবানি না করে, মহল্লা ভিত্তিক একটি নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করা যেতে পারে। এতে নির্দিষ্ট এক স্থান থেকেই সম্মিলিতভাবে বর্জ্য অপসারণও সহজ হয়। কোরবানির পর একই ভবনের বেশ কয়েকটি পরিবার একসঙ্গে মিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এতে বর্জ্য অপসারণ দ্রুততর হয় বলে পরিবেশের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। জবাইকৃত পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে কোনো পলিথিনে মুখবন্ধ অবস্থায় রাখুন। কখনো এগুলো খোলা রাখবেন না, তাহলে দ্রুত রোগজীবাণু ছড়াবে।

পশু জবাইয়ের স্থানে কোরবানির পর পশুর রক্ত জীবাণুনাশক পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে ব্লিচিং ছিটিয়ে দিন। এতে দুর্গন্ধ বা জমে থাকা পানিতে মশা ডিম পাড়তে পারবে না। কোরবানির পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে। না হলে গন্ধ ছড়াবে। কোরবানির আগেই নিকটবর্তী মাঠ কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখা উচিত। পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে।

দেশে কোরবানির ঈদে নতুন করে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। ঈদুল আজহা এলেই তারা সব ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে যায়। নিজেদের আনন্দে অন্যদের শরিক করা ঈদুল আজহার শিক্ষা। কোরবানিকৃত পশুর গোশত তিন অংশে ভাগ করে এক অংশ নিজের জন্য সংরক্ষণ, দ্বিতীয় অংশ আত্মীয়-স্বজনকে প্রদান এবং তৃতীয় অংশ সমাজের অভাবগ্রস্ত ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া ইসলামের বিধান। আল্লাহতায়ালা কোরবানির পশুর গোশতের একটি অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষকে দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্যাগ, তিতিক্ষা ও প্রিয় বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা কোরবানির তাৎপর্য।

[লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, রাজউক ]

back to top