alt

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

জাঁ-নেসার ওসমান

: শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

‘এ কিয়ের আলামত ভাই হাসি-নিষেধ! মানে কী? হুনছি সারা পিরথীবিতে একমাত্র জানোয়ার, মানুষই কেবল হাসতে পারে আর কোনো জন্তুর বাচ্চা হাসতে পারে না! সেই আশ্রাফুল মাখলুকাতের মুখের হাসিও আপনে কাইড়া নিবেন? এ্যাতো দিন হুনছি ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়। অহনতো দেহী জেন-জি আমার মুখের হাসি কাইড়া নিতে চায়!’

‘ক্যেনো সারা দেশ আজ হাসার জন্য শোকে মাতম করছে, তা কি তোমার চোখে পড়ছে না?’ ‘কী বলেন মিয়া ভাই! হাসি মানে তো আনন্দ, উৎফুল্লতা, হর্ষ, আন্নে কিয়া কন সেই হর্ষে-বিষাদ!’

‘আরে গাড়ল তুই কি কোনো খোঁজ রাখিস না? হাসির আফটার ইফেক্ট, গাইবান্ধা থেকে কলিম গ্রেফতার, বারো আউলিয়ার দেশ, হালিশহর থেকে সলিম আটক, ভুরুঙ্গামারী থেকে তালিম অ্যারে’, ভেড়ামারা থেকে, গোয়াল ঘরের ব্যেড়া ভেঙে হালিমের কোমোরে দড়ি! এসবের কি তুই কিছুই জানিস না?’

‘না! কিন্তু ভাই এই যে কয়দিন আগে বারলক্ষ টাকা দিয়া ছাগোল কিননের পর, হুনছি ওই ছাগোলের মালকিন লাকী মাথা ন্যেড়া কোইরা দালালরে ট্যাকা দিয়া বিদেশ পলাইছে। আর হ্যের দীঘল কালো চুল কাইট্টা যখন বেল মুন্ডা হোইলো হেইডা দ্যেইক্ক্যা আমি তো কি যে হাসি হাঁসছি। হ্যেইডা আপনেরে কোইতে পারুম না। বেডি দেখতে যেন, হলিউডের অভিনেতা, ইয়ুল ব্রেইনারের মহিলা ভার্সন। হা হা হা। কোই তহনতো কেউ আমারে গ্রেফতার করে নাই। কিন্তু এ্যহোন কি হোইলো যে হাসির লাই¹া এ্যারে!’ ‘কি বলবো তোকে দুঃখের কথা, প্রাইমেশিয়ার কোন বোনকে দেখে নাকি কে হেসেছে, ব্যাস তাকে ছুরি মেরে হত্যা!’

‘এই সামান্য ব্যাপারে বাঙালি হয়ে বাঙালি ভাইরে ছুরি মেইরে মার্ডার! নাহ্ আমারতো বিশ্বাস হয় না, নিশ্চয় কোনো গন্ডগোল হোইছে। দুই দিন আগে কোন ব্যাডা জানি বার্ন ইউনিটের ডাক্তার সীমান্ত গান্ধী নাকি পোড়ার কপাল সামন্ত কালার নামে মার্ডার কেস দিছে, আরে ভাই হ্যেইডা তো পলিটিক্যাল কেস, রাজনৈতিক মামলা, উল্টাপাল্টা হোইতেই পারে। অসুস্থ প্রতিহিংসার রাজনীতি, কিন্তু প্রাইমেশিয়ার পোলাপান বয়স বিশ-বাইশ হোইবো হ্যেরা কেমনে চাক্কু মাইরা মানুষ খুন করবো! না না আপনের কোনো খানে কোনো ভুল হোইতাছে। একই কলেজের ছাত্র ক্যেমনে তার সহপাঠীরে চাক্কু মারে!’

‘কাকে কি বলবো, যে মায়ের বিশ-বাইশ বছরের ছেলেটা লাশ হয়ে বাবার কাঁধে চেপে গোরস্তানে যায় সে ছেলের লাশ যে কতো ভারি তা কেবল ওই বাবা আর আমাদের বুয়েটের ছাত্র আবরারের বাবা বুঝেছেন। রাজনীতি করতে যেয়ে মিছিলে পুলিশের গুলি খেয়ে মরেছে, পানি লাগবে পানি, ঘরের ভেতরে খোলা জানালা দিয়ে গুলি এসে শিশুর মাথা ভেদ করে দেয়ালে বুলেটের কলঙ্কিত দাগ মেনে নেয়া যায় নারে মেনে নেয়া যায় না। এই সব আবু সাঈদের বাবাদের হাহাকারের কান্না এখনো শুকায়নি। অথচ তোরা সব আবার কী শুরু করলি বাঙালি হয়ে বাঙালি হত্যা! তাও সামান্য একটু খানি হাসির জন্য! স্বৈরাচার তার গদির জন্য উন্মাদ হয়ে এসব হত্যাকা- ঘটিয়েছে। জানিস তো কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসে তৎকালীন স্বৈরাচার আয়ুব খানকে উদ্দেশ্য করে লেখক লিখেছিলেন যে, ক্ষমতার লোভের আগুনের কাছে জাহান্নামের আগুন মোমবাতির আগুনের মতো মনে হয়। ক্ষমতার লোভের আগুন, জাহান্নামের আগুনের চেয়ে হাজার গুণ তীব্র তাই যুগে যুগে স্বৈরাচাররা তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের কালরাত্রির মতো নিরস্ত্র মানুষের ওপর দানবীয় কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলাফল ওই স্বৈরাচারের পৈশাচিক পতন। আর এবারের স্বৈরাচার তো একা পড়েনি সাথে তার বাপ দাদা চ্যালা চামুন্ডা, পোলা মাইয়া আত্মীয়স্বজন সব নিয়ে বুলডোজারের আঘাতে নিশ্চিহ্ন। তাই বলছিলাম বাঙালী বাঙালি খুনাখুনি বন্ধ কর প্লিজ।’

‘কিন্তু ভাইজান, মনে পড়ে যখন মরহুম আবুল মাল স্যার কোইলেন, আরে ভাই হলমার্কের চারহাজার কোটি টাকা চুরি, কিছুই না, তখন আমারা কতো হাসছি। কিছুদিন আগে আপনেরা কোইলেন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় কোনো অপরাধী পাওয়া যায় নাই, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার ১৬ বছরেও কোনো চার্জশিট হয় নাই, তনু হত্যার বিচার নাই, নারায়ণগঞ্জের ত্বকি হত্যার আওয়াজ নাই, এই

সব বালখিল্যতা দেইখা আমি কতো হাঁসছি কিন্তু কোই কেউতো আমারে এ্যারে’ও করে নাই চাক্কু দিয়া পাড়ও দ্যেয় নাই! কিন্তু অহন কি শুরু হোইলো, কেউ হাসলেই তারে চাক্কুদিয়া পাড়? এই বাংলাদেশ চেয়ে ছিলেন বুঝি!’

‘কাকে কি বলবো বল, বাংলাদেশের সোনাও নাকি এখন তার উজ্বলতা হারিয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে সোনায় রুপ নিয়েছে। বর্তমানে স্বর্ণের ভরি প্রায় দুই লাখ টাকা অথচ সোনায় কোনো চকচকে ভাব নাই। কি করবি বল?’

‘এ্যতোক্ষনে বুজছি, আপনে পারভেজ ভায়ের হত্যাকা-ের কথা বলছিলেন। কারে কি কমু কন...’। ‘বড় বেদনার মতো বেজেছো আমার প্রাণ... তোর জেনারেশন-জি’রাও এখন জিরাচ্ছে, জানি না আবার কবে জেন-জি চাঙ্গা হবে; তবেই বাংলাদেশে আবার সবাই প্রাণ খুলে হাসবে কাউকে আর হাসির জন্য হত্যা করা হবে না!’

‘চুয়ান্ন বছর যখন অপেক্ষা করছেন, তখন আর একটু ধৈর্য ধরেন, আরো কিছু বছর পর এসব পোলারা পোক্ত হোইবো নির্বাচিত সরকার আইবো, তখন সোনার বাংলা হীরার বাংলায় পরিণত হোইবো।’

‘ও কে ওয়েটিং ফর নির্বাচিত সরকার। ততদিন মুখ গোমরা করে কবি সুকুমার রায়ের কবিতার মতো বলবোÑ ‘রাম গরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,/ হাসির কথা শুনলে বলে/ ‘হাসবো না-না, না-না!’ ‘... হাসলে চাক্কু মারে...।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

অতীতের ছায়ায় নতুন বাংলাদেশ : দুর্নীতি, উগ্রপন্থা ও সরকারের দায়

সাইবার নিরাপত্তা : অদৃশ্য যুদ্ধের সামনে আমাদের প্রস্তুতি

ছবি

বাহান্নর গর্ভে জন্ম নেয়া এক ঝড়ের পাখি

প্রবাসী শ্রমিক : অর্থের যন্ত্র নয়, রাষ্ট্রের সহযোদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ

ভোগবাদের বিরুদ্ধে পোপ ফ্রান্সিসের জলবায়ু বার্তা

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন : দাবি ও সমাধানের পথ

সিরিয়ার পতন কিভাবে আমেরিকার স্বার্থকে হুমকিতে ফেলছে

পরিবারতত্ত্ব ও পরিবারতন্ত্র : বিকল্প রাষ্ট্রচিন্তার সন্ধানে

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

স্নায়ুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি

জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব ও করণীয়

শাসনব্যবস্থা : জনগণের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার দ্বন্দ্ব

বয়নামা দলিল কখন স্বত্বের দলিল হিসেবে পরিগণিত হয়?

বর্ষার আগেই নদীভাঙনের আতঙ্কে উপকূলবাসী

ছবি

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে দেশ : মোকাবিলায় প্রস্তুতি প্রয়োজন

‘রিসেটের’ পরাকৌশল কী হওয়া প্রয়োজন

প্রসঙ্গ : জাতীয় বাজেট

ব্রুনোর শ্মশান মঞ্চ

দুর্নীতির অবিশ্বাস্য খতিয়ান

সাম্য, ন্যায়বিচার, সুশাসন, বহুত্ববাদ : সবকা সাথ্ সবকা বিকাশ!

পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ সংকটে ধর্মনিরপেক্ষতা

পেশাগত দায় ও নৈতিকতা

বিনোদনের রূপান্তর : সংস্কৃতির সংকোচন ও নতুন পথ

রম্যগদ্য : ‘চোর চাই, চোর...’

শুভ-অশুভ বলে কিছু কি আছে

পহেলা বৈশাখের সঙ্গে মিশে আছে কৃষি ও কৃষক

বাংলাদেশে ঘটনা অঘটন: প্রায় সবক্ষেত্রেই ইস্যু নির্বাচন

ছবি

নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও বহুত্ববাদ

বৈসাবি : সম্মিলনের জাতীয় উৎসব

সংকট ও সংক্রান্তির শক্তি

ছবি

গাজার অশ্রু : ইসরায়েলের বর্বরতা ও বিশ্বের নীরবতা

দেশের কৃষি অর্থনীতির নীরব নায়িকারা

বহুমাত্রিক দ্বন্দ্বের ফেরে বিএনপি ও এনসিপি

ফৌজদারি মামলায় অপরাধের আলামত উদ্ধারে আইন মানতে বাধা কোথায়?

জলবায়ুর নতুন ছকে বদলে যাচ্ছে কৃষির ভবিষ্যৎ

tab

উপ-সম্পাদকীয়

রম্যগদ্য : হাসি নিষেধ...

জাঁ-নেসার ওসমান

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

‘এ কিয়ের আলামত ভাই হাসি-নিষেধ! মানে কী? হুনছি সারা পিরথীবিতে একমাত্র জানোয়ার, মানুষই কেবল হাসতে পারে আর কোনো জন্তুর বাচ্চা হাসতে পারে না! সেই আশ্রাফুল মাখলুকাতের মুখের হাসিও আপনে কাইড়া নিবেন? এ্যাতো দিন হুনছি ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়। অহনতো দেহী জেন-জি আমার মুখের হাসি কাইড়া নিতে চায়!’

‘ক্যেনো সারা দেশ আজ হাসার জন্য শোকে মাতম করছে, তা কি তোমার চোখে পড়ছে না?’ ‘কী বলেন মিয়া ভাই! হাসি মানে তো আনন্দ, উৎফুল্লতা, হর্ষ, আন্নে কিয়া কন সেই হর্ষে-বিষাদ!’

‘আরে গাড়ল তুই কি কোনো খোঁজ রাখিস না? হাসির আফটার ইফেক্ট, গাইবান্ধা থেকে কলিম গ্রেফতার, বারো আউলিয়ার দেশ, হালিশহর থেকে সলিম আটক, ভুরুঙ্গামারী থেকে তালিম অ্যারে’, ভেড়ামারা থেকে, গোয়াল ঘরের ব্যেড়া ভেঙে হালিমের কোমোরে দড়ি! এসবের কি তুই কিছুই জানিস না?’

‘না! কিন্তু ভাই এই যে কয়দিন আগে বারলক্ষ টাকা দিয়া ছাগোল কিননের পর, হুনছি ওই ছাগোলের মালকিন লাকী মাথা ন্যেড়া কোইরা দালালরে ট্যাকা দিয়া বিদেশ পলাইছে। আর হ্যের দীঘল কালো চুল কাইট্টা যখন বেল মুন্ডা হোইলো হেইডা দ্যেইক্ক্যা আমি তো কি যে হাসি হাঁসছি। হ্যেইডা আপনেরে কোইতে পারুম না। বেডি দেখতে যেন, হলিউডের অভিনেতা, ইয়ুল ব্রেইনারের মহিলা ভার্সন। হা হা হা। কোই তহনতো কেউ আমারে গ্রেফতার করে নাই। কিন্তু এ্যহোন কি হোইলো যে হাসির লাই¹া এ্যারে!’ ‘কি বলবো তোকে দুঃখের কথা, প্রাইমেশিয়ার কোন বোনকে দেখে নাকি কে হেসেছে, ব্যাস তাকে ছুরি মেরে হত্যা!’

‘এই সামান্য ব্যাপারে বাঙালি হয়ে বাঙালি ভাইরে ছুরি মেইরে মার্ডার! নাহ্ আমারতো বিশ্বাস হয় না, নিশ্চয় কোনো গন্ডগোল হোইছে। দুই দিন আগে কোন ব্যাডা জানি বার্ন ইউনিটের ডাক্তার সীমান্ত গান্ধী নাকি পোড়ার কপাল সামন্ত কালার নামে মার্ডার কেস দিছে, আরে ভাই হ্যেইডা তো পলিটিক্যাল কেস, রাজনৈতিক মামলা, উল্টাপাল্টা হোইতেই পারে। অসুস্থ প্রতিহিংসার রাজনীতি, কিন্তু প্রাইমেশিয়ার পোলাপান বয়স বিশ-বাইশ হোইবো হ্যেরা কেমনে চাক্কু মাইরা মানুষ খুন করবো! না না আপনের কোনো খানে কোনো ভুল হোইতাছে। একই কলেজের ছাত্র ক্যেমনে তার সহপাঠীরে চাক্কু মারে!’

‘কাকে কি বলবো, যে মায়ের বিশ-বাইশ বছরের ছেলেটা লাশ হয়ে বাবার কাঁধে চেপে গোরস্তানে যায় সে ছেলের লাশ যে কতো ভারি তা কেবল ওই বাবা আর আমাদের বুয়েটের ছাত্র আবরারের বাবা বুঝেছেন। রাজনীতি করতে যেয়ে মিছিলে পুলিশের গুলি খেয়ে মরেছে, পানি লাগবে পানি, ঘরের ভেতরে খোলা জানালা দিয়ে গুলি এসে শিশুর মাথা ভেদ করে দেয়ালে বুলেটের কলঙ্কিত দাগ মেনে নেয়া যায় নারে মেনে নেয়া যায় না। এই সব আবু সাঈদের বাবাদের হাহাকারের কান্না এখনো শুকায়নি। অথচ তোরা সব আবার কী শুরু করলি বাঙালি হয়ে বাঙালি হত্যা! তাও সামান্য একটু খানি হাসির জন্য! স্বৈরাচার তার গদির জন্য উন্মাদ হয়ে এসব হত্যাকা- ঘটিয়েছে। জানিস তো কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসে তৎকালীন স্বৈরাচার আয়ুব খানকে উদ্দেশ্য করে লেখক লিখেছিলেন যে, ক্ষমতার লোভের আগুনের কাছে জাহান্নামের আগুন মোমবাতির আগুনের মতো মনে হয়। ক্ষমতার লোভের আগুন, জাহান্নামের আগুনের চেয়ে হাজার গুণ তীব্র তাই যুগে যুগে স্বৈরাচাররা তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের কালরাত্রির মতো নিরস্ত্র মানুষের ওপর দানবীয় কায়দায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলাফল ওই স্বৈরাচারের পৈশাচিক পতন। আর এবারের স্বৈরাচার তো একা পড়েনি সাথে তার বাপ দাদা চ্যালা চামুন্ডা, পোলা মাইয়া আত্মীয়স্বজন সব নিয়ে বুলডোজারের আঘাতে নিশ্চিহ্ন। তাই বলছিলাম বাঙালী বাঙালি খুনাখুনি বন্ধ কর প্লিজ।’

‘কিন্তু ভাইজান, মনে পড়ে যখন মরহুম আবুল মাল স্যার কোইলেন, আরে ভাই হলমার্কের চারহাজার কোটি টাকা চুরি, কিছুই না, তখন আমারা কতো হাসছি। কিছুদিন আগে আপনেরা কোইলেন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় কোনো অপরাধী পাওয়া যায় নাই, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার ১৬ বছরেও কোনো চার্জশিট হয় নাই, তনু হত্যার বিচার নাই, নারায়ণগঞ্জের ত্বকি হত্যার আওয়াজ নাই, এই

সব বালখিল্যতা দেইখা আমি কতো হাঁসছি কিন্তু কোই কেউতো আমারে এ্যারে’ও করে নাই চাক্কু দিয়া পাড়ও দ্যেয় নাই! কিন্তু অহন কি শুরু হোইলো, কেউ হাসলেই তারে চাক্কুদিয়া পাড়? এই বাংলাদেশ চেয়ে ছিলেন বুঝি!’

‘কাকে কি বলবো বল, বাংলাদেশের সোনাও নাকি এখন তার উজ্বলতা হারিয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে সোনায় রুপ নিয়েছে। বর্তমানে স্বর্ণের ভরি প্রায় দুই লাখ টাকা অথচ সোনায় কোনো চকচকে ভাব নাই। কি করবি বল?’

‘এ্যতোক্ষনে বুজছি, আপনে পারভেজ ভায়ের হত্যাকা-ের কথা বলছিলেন। কারে কি কমু কন...’। ‘বড় বেদনার মতো বেজেছো আমার প্রাণ... তোর জেনারেশন-জি’রাও এখন জিরাচ্ছে, জানি না আবার কবে জেন-জি চাঙ্গা হবে; তবেই বাংলাদেশে আবার সবাই প্রাণ খুলে হাসবে কাউকে আর হাসির জন্য হত্যা করা হবে না!’

‘চুয়ান্ন বছর যখন অপেক্ষা করছেন, তখন আর একটু ধৈর্য ধরেন, আরো কিছু বছর পর এসব পোলারা পোক্ত হোইবো নির্বাচিত সরকার আইবো, তখন সোনার বাংলা হীরার বাংলায় পরিণত হোইবো।’

‘ও কে ওয়েটিং ফর নির্বাচিত সরকার। ততদিন মুখ গোমরা করে কবি সুকুমার রায়ের কবিতার মতো বলবোÑ ‘রাম গরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,/ হাসির কথা শুনলে বলে/ ‘হাসবো না-না, না-না!’ ‘... হাসলে চাক্কু মারে...।’

[লেখক : চলচ্চিত্রকার]

back to top