জাঁ-নেসার ওসমান
‘উঁ ঢং দ্যেইক্কা বাঁচি না! চাঁদাবাজি চলছে, চলবে’ ওই মিয়া আপনেগো ছুট ব্যালায় তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো না? ঢং মারার যায়গা পান না মিয়া, চাঁদাবাজি অতীতে আছিলো, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবো! এতে এ্যাত অবাক হওয়ার কিছু নাই। আমরা সামান্য একটু চান্দাবাজি করি তো আপনের বিশেষ জায়গা জ্বলে ক্যা!’
‘আরে ভাই তুমি এ্যাতো উত্তেজিত হচ্ছো ক্যানো? আমি তো তোমার বা তোমার পার্টির চাঁদাবাজির কথা বলিনি! আমি বলছিলাম...’। ‘থাক আপনারে আর বলতে হইবো না, আপনের সময় তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো না?’ ‘তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানেও চাঁদা সংগ্রহ ছিলো...।’
‘তো! মর্নিং শোওস দ্যা ডে...সক্কাল ব্যেলায় বুঝা যায় দিনডা ক্যেমুন যাইবো, বুঝছেন! তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো, সেই পূর্ব-পাকিস্তান বদলায়া হোইলো বাংলাদেশ, আমাগো খালি নামডাই বদলাইছে খাইসলত তো বদলাই নাই।’
‘কিন্তু ভাইরে, পূর্ব-পাকিস্তান চাঁদা সংগ্রহ ছিলো যে পাড়ার গুটি কয়েক কিশোর সাবই মিলে খোলা মাঠে খেলাধুলা করবে তাই খেলার সরাঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য নিজ পাড়ার বসবাসকারি গোটা দশেক পরিবার থেকে কেউ এক রুপি, কেউ যারা একটু স্বচ্ছল তারা দিতো দুই রুপি আর বেশির ভাগ চারআনা, দু’আনা, আটআনা এই ছিলো চাঁদার পরিমাণ। আরা যেসব কিশোররা অগ্রভাগে থাকতো তাদের বাবা, চাচা বা মামারা দিতো চাঁদা ওঠার পর প্রয়োজনীয় বাকি টাকাটা।’
‘বাকি টাকা মানে! চান্দা আবার বাকি হয় নাকি?’ ‘ওরে বুড়বক বাকি টাকা মানে চাঁদা বাকি না, মনে কর খেলার সরঞ্জামাদি কেনার জন্য মোট দরকার ৪০/-(চল্লিশ) রুপি, দ্যেখা গেলো সর্বমোট চাঁদা উঠেছে ২৫/-(পঁচিশ) রুপি, বাকি থাকছে ১৫/-(পনেরো) রুপি, তখন ওই পনেরো রুপিটা ওই কিশোরদের আত্মীয়স্বজনরা দিয়ে দিতো।’
‘চল্লিশ টাকায় খেলার সরঞ্জাম, হেঁঃ হেঁঃ হালারা তো চল্লিশ টাকায় একটা ফুটবলও পাইবো না!’ ‘না জেনে হেঁঃ হেঁঃ করলে তো চলবে না! শোন ব্যাটা ১৯৬৭ সাল, নবাবপুরের রথখোলার মাথায় ‘ওকে স্পোর্টস’ ওই খেলার সামগ্রীর দোকান থেকে, তিন জোড়া প্যাড, দুটো, শিয়াল কোটের তৈরি ‘এ’ গ্রেড ব্যাট, দু’জোড়া ব্যাটিং গ্লাভস, এক জোড়া উইকেট কিপিং গ্লাভস, চারটা উইকেট, একজোড়া বেল, দুইটা ব্যাটিং র্গাডস, দুইটা ডিউক বল সব মিলে বিল হলো ৩৭/-(সাঁইত্রিশ) রুপি; আর মেজো ভাই আশফাক ওসমানের কাছে আছে মাত্র ত্রিশ রুপি। আমরা সবাই যারা জিনিস কিনতে সঙ্গে গেছি সবাই দুই-চারাআনা করে হলো বত্রিশ রুপি, মেজো ভাই সব টাকা বিক্রেতাকে দিয়ে বললেন বাকি পাঁচ টাকা আমি পরে দিয়ে যাবো। বিক্রেতা ভদ্রলোক আমাদের অবস্থা দেখে, মুচকি হেসে বললেন, ‘যাও বাবারা তোমাদের ক্লাবে আমার তরফ থেকে ৭/-(সাত) রুপি চাঁদা দিলাম, তোমরা ত্রিশ রুপিই দাও’। আমরা সবাই খুশিতে গদ গদ; পারলে ব্রিক্রেতার পায়ে ধরে সালাম করি।’
‘হ চাপা মারনের আর জায়গা পান না, ত্রিশ রুপিতে, তিন জোড়া প্যাড, দুটো শিয়াল কোটের তৈরি ‘এ’ গ্রেড ব্যাট, দু’জোড়া ব্যাটিং গ্লাভস, এক জোড়া উইকেট কিপিং গ্লাভস;, চারটা উইকেট, এক জোড়া বেল, দুইটা ব্যাটিং র্গাডস, দুইটা ডিউক বল, গাঞ্জা খাইয়াও তো আমি এ্যতো বড় চাপা মারার পারুম না!’
‘আরে চাপা নয় সত্যি। জানিস পরে আমাদের এই পাড়ার ক্লাব থেকে সাত কোটি সন্তানের মাঝ থেকে নিজাম ভাই, খোকা ভাই তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের একাদশে খেলার চান্স পেয়েছিলেন। বুঝলি তখনকার চাঁদাবাজি সমাজের উপকারেই আসতো।’
‘উঁহু উঁহু সমাজের উপকারে চান্দাবাজি হাসায়েন না মিয়া, আপনের কথা শুইন্না ঘোড়াভী হাঁসবো। চান্দাবাজি সর্বকালে সর্বসমাজে ব্যক্তির এবং পার্টির উপকারেই ব্যবহৃত।’
‘শুরুতে বন্যা দুর্গতদের, টর্নেডোর আঘাতে দুস্থদের জন্য, চাঁদাবাজি সর্বকালে সর্বসময় মানুষের উপকারেই এসেছে, কিন্তু যখন থেকে তোদের সম্মানিত নেতা জনাব মোনায়েম খান স্যার এনএসএফ মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট গঠন করলেন তখন থেকেই সরকারি সহায়তায় শুরু হলো নীলক্ষেতের লেপ-তোশকের দোকান থেকে ব্যক্তিস্বার্থে বামা ও মদ্যপানের জন্য খোকা-পাসপাত্তুর অভিযান।’
‘এই মদ মাদীরে, বামা-মামা কন ক্যা? বিশ্বের আদি থেকে মদ ও ইয়ের চাহিদা আজীবন আছিলো আজীবন আছে আজীবন থাকবো, এমন কি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানও ক্রিশ্চান কিলারের লগে... হেঁঃ হেঁঃ।’
‘তখন তোর এই চাঁদাবাজি কেবল মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছিলো। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তোরা স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে তোদের চাঁদাবাজিও স্বাধীনতা পেলো। ব্যাস সারা দেশে প্লেগের মতো ছড়িয়ে পড়লো চাঁদাবাজি। আজ এই ব্যবসায়ীকে হলে ধরে এনে মুক্তিপণ, কাল টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার জন্য ফাটাফাট গোলাগুলি আনন্দের আর সীমা নাই।’
‘তয় পোরশাষণ! হ্যারা কুনো কাম করবো না!’ ‘হেঁঃ হেঁঃ প্রশাসনও তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর বীর মোনায়েম খানের প্রদর্শিত পথে চাঁদাবাজদের সাথে হাত হাত মিলিয়ে খাওয়া শুরু।’ ‘ঠিকই কইছেন অহন রাস্তার হকার, টেম্পোস্ট্যান্ড, বাস ডিপো, ফুটপাথের ফুড স্টল, টানবাজারের ভসমান বরনারী, হিজড়া, পথের লুলা ভিক্ষুক, হক্কলের কাছ থ্যেইক্কা খালি মাল কামাও আর মাল।’
‘সব চেয়ে মজা কি জানিস, বিগত স্বৈরাচারের পতনের পর প্রায় মাসখানেক চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। আমি ভাবলাম ‘জেন-জি’ সোনারবাংলা গড়লো বলে; কিন্তু কারে কবো দুষ্কের কথা, যেই লংকায় যায়, হ্যেয়ই রাবণ বইন্না যায়।’
‘খামাখা মন খারাপ কইরেন না, বি রোমান ইন রোম। আপনেও পারলে লাইনে আয়া পড়েন কারণ আপনের হেড লাইনের মতোই কেয়ামত থেকে কেয়ামত পর্যন্ত চাঁন্দাবাজি ছিলো, আছে, থাকবে। ইয়ে...ইয়ে...ইয়ে...।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
‘উঁ ঢং দ্যেইক্কা বাঁচি না! চাঁদাবাজি চলছে, চলবে’ ওই মিয়া আপনেগো ছুট ব্যালায় তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো না? ঢং মারার যায়গা পান না মিয়া, চাঁদাবাজি অতীতে আছিলো, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবো! এতে এ্যাত অবাক হওয়ার কিছু নাই। আমরা সামান্য একটু চান্দাবাজি করি তো আপনের বিশেষ জায়গা জ্বলে ক্যা!’
‘আরে ভাই তুমি এ্যাতো উত্তেজিত হচ্ছো ক্যানো? আমি তো তোমার বা তোমার পার্টির চাঁদাবাজির কথা বলিনি! আমি বলছিলাম...’। ‘থাক আপনারে আর বলতে হইবো না, আপনের সময় তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো না?’ ‘তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানেও চাঁদা সংগ্রহ ছিলো...।’
‘তো! মর্নিং শোওস দ্যা ডে...সক্কাল ব্যেলায় বুঝা যায় দিনডা ক্যেমুন যাইবো, বুঝছেন! তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানে চাঁদাবাজি আছিলো, সেই পূর্ব-পাকিস্তান বদলায়া হোইলো বাংলাদেশ, আমাগো খালি নামডাই বদলাইছে খাইসলত তো বদলাই নাই।’
‘কিন্তু ভাইরে, পূর্ব-পাকিস্তান চাঁদা সংগ্রহ ছিলো যে পাড়ার গুটি কয়েক কিশোর সাবই মিলে খোলা মাঠে খেলাধুলা করবে তাই খেলার সরাঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য নিজ পাড়ার বসবাসকারি গোটা দশেক পরিবার থেকে কেউ এক রুপি, কেউ যারা একটু স্বচ্ছল তারা দিতো দুই রুপি আর বেশির ভাগ চারআনা, দু’আনা, আটআনা এই ছিলো চাঁদার পরিমাণ। আরা যেসব কিশোররা অগ্রভাগে থাকতো তাদের বাবা, চাচা বা মামারা দিতো চাঁদা ওঠার পর প্রয়োজনীয় বাকি টাকাটা।’
‘বাকি টাকা মানে! চান্দা আবার বাকি হয় নাকি?’ ‘ওরে বুড়বক বাকি টাকা মানে চাঁদা বাকি না, মনে কর খেলার সরঞ্জামাদি কেনার জন্য মোট দরকার ৪০/-(চল্লিশ) রুপি, দ্যেখা গেলো সর্বমোট চাঁদা উঠেছে ২৫/-(পঁচিশ) রুপি, বাকি থাকছে ১৫/-(পনেরো) রুপি, তখন ওই পনেরো রুপিটা ওই কিশোরদের আত্মীয়স্বজনরা দিয়ে দিতো।’
‘চল্লিশ টাকায় খেলার সরঞ্জাম, হেঁঃ হেঁঃ হালারা তো চল্লিশ টাকায় একটা ফুটবলও পাইবো না!’ ‘না জেনে হেঁঃ হেঁঃ করলে তো চলবে না! শোন ব্যাটা ১৯৬৭ সাল, নবাবপুরের রথখোলার মাথায় ‘ওকে স্পোর্টস’ ওই খেলার সামগ্রীর দোকান থেকে, তিন জোড়া প্যাড, দুটো, শিয়াল কোটের তৈরি ‘এ’ গ্রেড ব্যাট, দু’জোড়া ব্যাটিং গ্লাভস, এক জোড়া উইকেট কিপিং গ্লাভস, চারটা উইকেট, একজোড়া বেল, দুইটা ব্যাটিং র্গাডস, দুইটা ডিউক বল সব মিলে বিল হলো ৩৭/-(সাঁইত্রিশ) রুপি; আর মেজো ভাই আশফাক ওসমানের কাছে আছে মাত্র ত্রিশ রুপি। আমরা সবাই যারা জিনিস কিনতে সঙ্গে গেছি সবাই দুই-চারাআনা করে হলো বত্রিশ রুপি, মেজো ভাই সব টাকা বিক্রেতাকে দিয়ে বললেন বাকি পাঁচ টাকা আমি পরে দিয়ে যাবো। বিক্রেতা ভদ্রলোক আমাদের অবস্থা দেখে, মুচকি হেসে বললেন, ‘যাও বাবারা তোমাদের ক্লাবে আমার তরফ থেকে ৭/-(সাত) রুপি চাঁদা দিলাম, তোমরা ত্রিশ রুপিই দাও’। আমরা সবাই খুশিতে গদ গদ; পারলে ব্রিক্রেতার পায়ে ধরে সালাম করি।’
‘হ চাপা মারনের আর জায়গা পান না, ত্রিশ রুপিতে, তিন জোড়া প্যাড, দুটো শিয়াল কোটের তৈরি ‘এ’ গ্রেড ব্যাট, দু’জোড়া ব্যাটিং গ্লাভস, এক জোড়া উইকেট কিপিং গ্লাভস;, চারটা উইকেট, এক জোড়া বেল, দুইটা ব্যাটিং র্গাডস, দুইটা ডিউক বল, গাঞ্জা খাইয়াও তো আমি এ্যতো বড় চাপা মারার পারুম না!’
‘আরে চাপা নয় সত্যি। জানিস পরে আমাদের এই পাড়ার ক্লাব থেকে সাত কোটি সন্তানের মাঝ থেকে নিজাম ভাই, খোকা ভাই তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের একাদশে খেলার চান্স পেয়েছিলেন। বুঝলি তখনকার চাঁদাবাজি সমাজের উপকারেই আসতো।’
‘উঁহু উঁহু সমাজের উপকারে চান্দাবাজি হাসায়েন না মিয়া, আপনের কথা শুইন্না ঘোড়াভী হাঁসবো। চান্দাবাজি সর্বকালে সর্বসমাজে ব্যক্তির এবং পার্টির উপকারেই ব্যবহৃত।’
‘শুরুতে বন্যা দুর্গতদের, টর্নেডোর আঘাতে দুস্থদের জন্য, চাঁদাবাজি সর্বকালে সর্বসময় মানুষের উপকারেই এসেছে, কিন্তু যখন থেকে তোদের সম্মানিত নেতা জনাব মোনায়েম খান স্যার এনএসএফ মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট গঠন করলেন তখন থেকেই সরকারি সহায়তায় শুরু হলো নীলক্ষেতের লেপ-তোশকের দোকান থেকে ব্যক্তিস্বার্থে বামা ও মদ্যপানের জন্য খোকা-পাসপাত্তুর অভিযান।’
‘এই মদ মাদীরে, বামা-মামা কন ক্যা? বিশ্বের আদি থেকে মদ ও ইয়ের চাহিদা আজীবন আছিলো আজীবন আছে আজীবন থাকবো, এমন কি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানও ক্রিশ্চান কিলারের লগে... হেঁঃ হেঁঃ।’
‘তখন তোর এই চাঁদাবাজি কেবল মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছিলো। আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তোরা স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে তোদের চাঁদাবাজিও স্বাধীনতা পেলো। ব্যাস সারা দেশে প্লেগের মতো ছড়িয়ে পড়লো চাঁদাবাজি। আজ এই ব্যবসায়ীকে হলে ধরে এনে মুক্তিপণ, কাল টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার জন্য ফাটাফাট গোলাগুলি আনন্দের আর সীমা নাই।’
‘তয় পোরশাষণ! হ্যারা কুনো কাম করবো না!’ ‘হেঁঃ হেঁঃ প্রশাসনও তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের গভর্নর বীর মোনায়েম খানের প্রদর্শিত পথে চাঁদাবাজদের সাথে হাত হাত মিলিয়ে খাওয়া শুরু।’ ‘ঠিকই কইছেন অহন রাস্তার হকার, টেম্পোস্ট্যান্ড, বাস ডিপো, ফুটপাথের ফুড স্টল, টানবাজারের ভসমান বরনারী, হিজড়া, পথের লুলা ভিক্ষুক, হক্কলের কাছ থ্যেইক্কা খালি মাল কামাও আর মাল।’
‘সব চেয়ে মজা কি জানিস, বিগত স্বৈরাচারের পতনের পর প্রায় মাসখানেক চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। আমি ভাবলাম ‘জেন-জি’ সোনারবাংলা গড়লো বলে; কিন্তু কারে কবো দুষ্কের কথা, যেই লংকায় যায়, হ্যেয়ই রাবণ বইন্না যায়।’
‘খামাখা মন খারাপ কইরেন না, বি রোমান ইন রোম। আপনেও পারলে লাইনে আয়া পড়েন কারণ আপনের হেড লাইনের মতোই কেয়ামত থেকে কেয়ামত পর্যন্ত চাঁন্দাবাজি ছিলো, আছে, থাকবে। ইয়ে...ইয়ে...ইয়ে...।
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]