জাঁ-নেসার ওসমান
‘ওই মিয়া হরছেন কী ? ম্যাড ডগ কি বাইট ইয়ু?’ ‘কি রে, বাবা, আমি আবার কি করলাম! বাংলা-ইংরেজী মিলিয়ে কি ভাষায় ভাব প্রকাশ করছিস, ম্যাড ডগ কী বাইট ইয়ু?’ ‘না কই, আপনেরে কিপাগলা কুত্তা কামড়াইছে নি? ম্যাড ডগ কী বাইট ইয়ু?’
‘সারমেয়র মানে কুত্তার কামড়ের সাথে আমার কি সম্পর্ক, কিছুই তো, বুঝতে পারছিনা!!’ ‘বুইড়া ভাম হালায় আপনেতো বাহাত্তরের বুইড়ইড়ার থাইক্কাও বুইড়া, আপনে বুঝেন না, আমি কি কোইতে চাই?’
‘না রে ভাই তোর এই ম্যাড ডগ বাইট ইয়ুর মাজেজা বোঝার মতো, আমার বয়স হয় নাই, আর কেনোইবা পাগলা কুকুর সব বড় বড় আঁতেলেকচুয়ালকে ছেড়ে কেবল আমাকেই কামড়াবে তাও বুঝতে পারছিনা!’
‘বুঝবেন ক্যেমনে, তিনকুল যায়াতো আর মাত্র এককুল বাকী, যে কোনোদিন পটল তুলবেন, তাই কেউরে আর গোনায় ধরেননা! আমি কোই কী, এই মুহুর্তে এমন সেন্সেটিভ ইস্যু গোপালগঞ্জ নিয়া লিখতে যান ক্যা?’ ‘মানে কী? তুই না বলছিস বিগত স্বৈরাচারের চেয়ে এখন পূর্ণবাক স্বাধীনতা বিরাজ করছে। তাহলে তুই আমার লেখায় সেন্সর কোরতে বলছিস ক্যানো? ক্যানো?’
‘হালায় বুইড়া বুঝে ভুল! আমিতো লেখার কোনো সেন্সর করতাছিনা, আমি কোই গোপালগঞ্জ, বাংলার গোপালগঞ্জ বিষয়টা জটিল। পক্ষে লিখলে বাইন্ধা নিবে আবার বিপক্ষে লিখলে বুলডোজার দিয়া ঘরবাড়ী ভাঙপে।
অহন যাইবেন কোই?’ ‘ওই জঙ্গল, আমি কি মন্ত্রী মিনিস্টার না এমপি না আমলা যে আমার খাটের নিচে বস্তা বস্তা টাকা তাই পাবলিক এসে আমার বাড়ী ভেঙে আমার দরজা জানালার চৌকাঠ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।’
‘বুঝেন না মিয়া, আপনের নামের পিছনে তো আবার শওকত ওসমানের, ওসমান আছে, আপনেরে নারায়ণগঞ্জের ওসমান মনে কোইরা ফাটায়া ফ্যালাইতে পারে?’
‘তুই কি বলতে চাস যে পুলিশ যেমন একই নামের আসল আসামী না ধরে ভুলটাকে ধরে! নামে নামে যমে টানে...।’
‘আরে রাখেন আপনের চাপাবাজী আপনের স্যাটায়ারের হেডিং বদলান।’ ‘দ্যেখ এই যে তুইই তো বললি, আপনের স্যাটায়ারের হেডিং বদলান, তুই কি জানিস স্যাটায়ার কি? স্যাটায়ার হোচ্ছে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধরণ বা স্টাইল, যা বাড়িয়ে কথাবলে, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি, সমাজের বালখিল্যতা, অনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, সমাজের অবক্ষয় নিয়ে হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে বিদ্র্রূপ করিয়া রচিত সহিত্যকর্মকে স্যাটায়ার কহে। সাধারণতঃ সমাজের চলতি ঘটনা প্রবাহকে নিয়ে, সমাজের ভুল শোধরানোর জন্য স্যাটায়ার ইঙ্গিত দেয়। যা অনেক সময় সমাজপতিরা গ্রহণ করিয়া তাহাদিগের ভুল শোধরান।’
‘হেঃ হেঃ এ দেশের সমাজপতিরা তাগো ভুল শোধরাইবো। হেঃ হেঃ হেঃ।’ ‘তুই হাসছিস ক্যেনো? তুই দেখিসনি টেলিভিশনে কতো খবর প্রকাশের সাথে সাথে প্রশাষণ তার অ্যাকশন শুরু করে!! ইভেন ফেসবুকে লেখা ভাইরাল হলে চারজনকে ক্লোজ করে!’ ‘হ, হ, দেখলামতো আমরা ষুল্ল বছর চান্দা খাই নাই, এইবার খামু। আরে ভাই ষুল্ল বছর চান্দা খাস নাই তো আর একটা বছর চান্দা না খাইতি, তায়লে তো তোরা বাংলাদেশে একশ বছর প্রশাসণের সুযোগ পায়া কলকারখানা গইড়া তোগো ক্যাডারগো চাকরী দিতি। কিন্তু সহ্য হোইলো না, লগে লগে চান্দা খাওয়া শুরু করলি।
একটা মাস ধৈর্য ধরলি না! কিন্তু ভাই এই স্যাটায়ার দিয়া সমাজের উপকার করেন ক্যেমনে?’ ‘শোন একবার এক লোক দোতলা বিল্ডিংয়ের, দোতলা থেকে নামতে যেয়ে পা-পিছলে হুড়মুড় করে নিচে পড়ে গেলেন। তখন নিচে থাকা ব্যাক্তিটি বললেন,‘উহুরে, দুইতলা থ্যেইক্কা পইড়া দুঃখু পাইছেন ঠিকোই, কিন্তু নামছেন হালায় জব্বর তাড়াতাড়ি। পতিত লোকটি উনার কথা শুনে শত ব্যাথার মাঝেও ফিক করে হেসে উঠলেন। বুঝেছিস এই হলো তোর স্যাটায়ার। জীবনের শত অসংগতির মাঝেও জীবন তো থেমে থাকবেনা। জীবন চলছে চলবে। তাই জীবনের চলতি পথে হাস্যরসের প্রয়োজন ছিল, আছে, থাকবে।’
‘আসলেই ভাই আমি কুনোদিন এমনি কোইরা ভাইব্বাও দেহিনাই, কেউ আমারে এমনে সহজ কোইরা বুঝায়াও দ্যেয়নাই, আমি আজীবন ভাবছি স্যাটায়ার মানে এর গোয়ায়লে আঙুল দাও, হ্যের, আপনের ভাষায় শরীরের বিশেষ যায়গায় অঙুলি প্রবিস্ট করিয়া ঈষৎ সঞ্চালন করেন, কিন্তুক স্যাটায়ার যে সমাজের ভুল শোধরানোর জন্য সাহায্য করে এইডা বুঝিনাই।’
‘তাহলে আমি কি আমার লেখার শিরোনাম ঠিক রাখবো না বদলাবো?’ ‘থাক আর লজ্জা দিয়েন না, আপনে সমাজের ভালার লাই¹া যা ইচ্ছা লিখেন যা ইচ্ছা শিরোনাম দেন, কুনোই চিন্তা কোইরেন না আমি আছি আপনের সাথে।’
‘শুধু তুই থাকলে তো হবে না, আপামর জনগণকেও সাথে থাকতে হবে।’ ‘ধুর এই হালায় জনগনের কথা ভুইল্লা যান। এই হালারা অশিক্ষিত কুশিক্ষিত জনগন আখেরাতের চিন্তায় দ্বীন-দুনিয়া ভুইল্লা বয়া আছে, মরিচের কেজি চারশ টাকা হালারা মাতেনা, আর খালি আখেরাত লয়া কিছু কন না, লগে লগে বুইজ্ঝা না বুইজ্ঝা হালারা ফাল দিয়া পাড়বো। ফেসবুকের ’্যাটাস নিয়া ঘরবাড়ী ভাংচুর, দখল করবো। মাগার দুনিয়ার হাজার জামিন বাণিজ্য লয়া, চান্দাবাজী লয়া চুপ। হালারা চোখ থাকিতে অন্ধ।’
‘না না ভাই মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ। সারা পৃথিবীতে, রাশিয়ায়, ফ্রান্সে, জাপানে, ভিয়েতনামে, তোদের কিউবায়, আফ্রিকায় এই সব, সাধারণ জনগণই সমাজের অসংগতির বিরুদ্ধে লড়াই কোরে সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোরেছে।’ ‘তয় দ্যেহেন আপনের পাবলিক কবে চ্যেতে, হেইদিন সমাজের অসংগতি দূর হোইপে।’ ‘তবে তুই যাই বল, মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’
‘আপনের বাপে যেমন প্রায় সউত্তোর বছর আগে, চট্টগ্রামের, কাগমারী সম্মেলন থ্যেইক্কা মানুষে বিশ্বাস করছিলো জনগন লড়াই কোইরা সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোরবে, আপনের বাপের দ্যেখানো পথে বয়া থকেন, দ্যেখেন কবে সাধারণ জনগন এক হয়া লড়াই কোরে, সমাজের অসংগতি দূর কোরবে!’
‘তুই ঠিকই বলেছিস বাপের দ্যেখানো পথে কাগমারী সন্মেলনের মতো পথ চেয়ে বসে থাকি, দেখি কবে সাধারণ জনগণ এক হোয়ে লড়াই কোরে সমাজের অসংগতি দূর করে!’ ‘হ আপনে মিয়া জনগনের জন্য বয়া থাকেন, আমি যাই জনগণ থ্যেইক্কা চান্দা তুলতে যাই, বাই।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]
জাঁ-নেসার ওসমান
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
‘ওই মিয়া হরছেন কী ? ম্যাড ডগ কি বাইট ইয়ু?’ ‘কি রে, বাবা, আমি আবার কি করলাম! বাংলা-ইংরেজী মিলিয়ে কি ভাষায় ভাব প্রকাশ করছিস, ম্যাড ডগ কী বাইট ইয়ু?’ ‘না কই, আপনেরে কিপাগলা কুত্তা কামড়াইছে নি? ম্যাড ডগ কী বাইট ইয়ু?’
‘সারমেয়র মানে কুত্তার কামড়ের সাথে আমার কি সম্পর্ক, কিছুই তো, বুঝতে পারছিনা!!’ ‘বুইড়া ভাম হালায় আপনেতো বাহাত্তরের বুইড়ইড়ার থাইক্কাও বুইড়া, আপনে বুঝেন না, আমি কি কোইতে চাই?’
‘না রে ভাই তোর এই ম্যাড ডগ বাইট ইয়ুর মাজেজা বোঝার মতো, আমার বয়স হয় নাই, আর কেনোইবা পাগলা কুকুর সব বড় বড় আঁতেলেকচুয়ালকে ছেড়ে কেবল আমাকেই কামড়াবে তাও বুঝতে পারছিনা!’
‘বুঝবেন ক্যেমনে, তিনকুল যায়াতো আর মাত্র এককুল বাকী, যে কোনোদিন পটল তুলবেন, তাই কেউরে আর গোনায় ধরেননা! আমি কোই কী, এই মুহুর্তে এমন সেন্সেটিভ ইস্যু গোপালগঞ্জ নিয়া লিখতে যান ক্যা?’ ‘মানে কী? তুই না বলছিস বিগত স্বৈরাচারের চেয়ে এখন পূর্ণবাক স্বাধীনতা বিরাজ করছে। তাহলে তুই আমার লেখায় সেন্সর কোরতে বলছিস ক্যানো? ক্যানো?’
‘হালায় বুইড়া বুঝে ভুল! আমিতো লেখার কোনো সেন্সর করতাছিনা, আমি কোই গোপালগঞ্জ, বাংলার গোপালগঞ্জ বিষয়টা জটিল। পক্ষে লিখলে বাইন্ধা নিবে আবার বিপক্ষে লিখলে বুলডোজার দিয়া ঘরবাড়ী ভাঙপে।
অহন যাইবেন কোই?’ ‘ওই জঙ্গল, আমি কি মন্ত্রী মিনিস্টার না এমপি না আমলা যে আমার খাটের নিচে বস্তা বস্তা টাকা তাই পাবলিক এসে আমার বাড়ী ভেঙে আমার দরজা জানালার চৌকাঠ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।’
‘বুঝেন না মিয়া, আপনের নামের পিছনে তো আবার শওকত ওসমানের, ওসমান আছে, আপনেরে নারায়ণগঞ্জের ওসমান মনে কোইরা ফাটায়া ফ্যালাইতে পারে?’
‘তুই কি বলতে চাস যে পুলিশ যেমন একই নামের আসল আসামী না ধরে ভুলটাকে ধরে! নামে নামে যমে টানে...।’
‘আরে রাখেন আপনের চাপাবাজী আপনের স্যাটায়ারের হেডিং বদলান।’ ‘দ্যেখ এই যে তুইই তো বললি, আপনের স্যাটায়ারের হেডিং বদলান, তুই কি জানিস স্যাটায়ার কি? স্যাটায়ার হোচ্ছে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধরণ বা স্টাইল, যা বাড়িয়ে কথাবলে, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি, সমাজের বালখিল্যতা, অনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, সমাজের অবক্ষয় নিয়ে হাস্য কৌতুকের মাধ্যমে বিদ্র্রূপ করিয়া রচিত সহিত্যকর্মকে স্যাটায়ার কহে। সাধারণতঃ সমাজের চলতি ঘটনা প্রবাহকে নিয়ে, সমাজের ভুল শোধরানোর জন্য স্যাটায়ার ইঙ্গিত দেয়। যা অনেক সময় সমাজপতিরা গ্রহণ করিয়া তাহাদিগের ভুল শোধরান।’
‘হেঃ হেঃ এ দেশের সমাজপতিরা তাগো ভুল শোধরাইবো। হেঃ হেঃ হেঃ।’ ‘তুই হাসছিস ক্যেনো? তুই দেখিসনি টেলিভিশনে কতো খবর প্রকাশের সাথে সাথে প্রশাষণ তার অ্যাকশন শুরু করে!! ইভেন ফেসবুকে লেখা ভাইরাল হলে চারজনকে ক্লোজ করে!’ ‘হ, হ, দেখলামতো আমরা ষুল্ল বছর চান্দা খাই নাই, এইবার খামু। আরে ভাই ষুল্ল বছর চান্দা খাস নাই তো আর একটা বছর চান্দা না খাইতি, তায়লে তো তোরা বাংলাদেশে একশ বছর প্রশাসণের সুযোগ পায়া কলকারখানা গইড়া তোগো ক্যাডারগো চাকরী দিতি। কিন্তু সহ্য হোইলো না, লগে লগে চান্দা খাওয়া শুরু করলি।
একটা মাস ধৈর্য ধরলি না! কিন্তু ভাই এই স্যাটায়ার দিয়া সমাজের উপকার করেন ক্যেমনে?’ ‘শোন একবার এক লোক দোতলা বিল্ডিংয়ের, দোতলা থেকে নামতে যেয়ে পা-পিছলে হুড়মুড় করে নিচে পড়ে গেলেন। তখন নিচে থাকা ব্যাক্তিটি বললেন,‘উহুরে, দুইতলা থ্যেইক্কা পইড়া দুঃখু পাইছেন ঠিকোই, কিন্তু নামছেন হালায় জব্বর তাড়াতাড়ি। পতিত লোকটি উনার কথা শুনে শত ব্যাথার মাঝেও ফিক করে হেসে উঠলেন। বুঝেছিস এই হলো তোর স্যাটায়ার। জীবনের শত অসংগতির মাঝেও জীবন তো থেমে থাকবেনা। জীবন চলছে চলবে। তাই জীবনের চলতি পথে হাস্যরসের প্রয়োজন ছিল, আছে, থাকবে।’
‘আসলেই ভাই আমি কুনোদিন এমনি কোইরা ভাইব্বাও দেহিনাই, কেউ আমারে এমনে সহজ কোইরা বুঝায়াও দ্যেয়নাই, আমি আজীবন ভাবছি স্যাটায়ার মানে এর গোয়ায়লে আঙুল দাও, হ্যের, আপনের ভাষায় শরীরের বিশেষ যায়গায় অঙুলি প্রবিস্ট করিয়া ঈষৎ সঞ্চালন করেন, কিন্তুক স্যাটায়ার যে সমাজের ভুল শোধরানোর জন্য সাহায্য করে এইডা বুঝিনাই।’
‘তাহলে আমি কি আমার লেখার শিরোনাম ঠিক রাখবো না বদলাবো?’ ‘থাক আর লজ্জা দিয়েন না, আপনে সমাজের ভালার লাই¹া যা ইচ্ছা লিখেন যা ইচ্ছা শিরোনাম দেন, কুনোই চিন্তা কোইরেন না আমি আছি আপনের সাথে।’
‘শুধু তুই থাকলে তো হবে না, আপামর জনগণকেও সাথে থাকতে হবে।’ ‘ধুর এই হালায় জনগনের কথা ভুইল্লা যান। এই হালারা অশিক্ষিত কুশিক্ষিত জনগন আখেরাতের চিন্তায় দ্বীন-দুনিয়া ভুইল্লা বয়া আছে, মরিচের কেজি চারশ টাকা হালারা মাতেনা, আর খালি আখেরাত লয়া কিছু কন না, লগে লগে বুইজ্ঝা না বুইজ্ঝা হালারা ফাল দিয়া পাড়বো। ফেসবুকের ’্যাটাস নিয়া ঘরবাড়ী ভাংচুর, দখল করবো। মাগার দুনিয়ার হাজার জামিন বাণিজ্য লয়া, চান্দাবাজী লয়া চুপ। হালারা চোখ থাকিতে অন্ধ।’
‘না না ভাই মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ। সারা পৃথিবীতে, রাশিয়ায়, ফ্রান্সে, জাপানে, ভিয়েতনামে, তোদের কিউবায়, আফ্রিকায় এই সব, সাধারণ জনগণই সমাজের অসংগতির বিরুদ্ধে লড়াই কোরে সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোরেছে।’ ‘তয় দ্যেহেন আপনের পাবলিক কবে চ্যেতে, হেইদিন সমাজের অসংগতি দূর হোইপে।’ ‘তবে তুই যাই বল, মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ।’
‘আপনের বাপে যেমন প্রায় সউত্তোর বছর আগে, চট্টগ্রামের, কাগমারী সম্মেলন থ্যেইক্কা মানুষে বিশ্বাস করছিলো জনগন লড়াই কোইরা সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোরবে, আপনের বাপের দ্যেখানো পথে বয়া থকেন, দ্যেখেন কবে সাধারণ জনগন এক হয়া লড়াই কোরে, সমাজের অসংগতি দূর কোরবে!’
‘তুই ঠিকই বলেছিস বাপের দ্যেখানো পথে কাগমারী সন্মেলনের মতো পথ চেয়ে বসে থাকি, দেখি কবে সাধারণ জনগণ এক হোয়ে লড়াই কোরে সমাজের অসংগতি দূর করে!’ ‘হ আপনে মিয়া জনগনের জন্য বয়া থাকেন, আমি যাই জনগণ থ্যেইক্কা চান্দা তুলতে যাই, বাই।’
[লেখক : চলচ্চিত্রকার]