মিথুশিলাক মুরমু
গত ৮ অক্টোবর ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের হোলি রোজারি চার্চ-এর সামনে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে দুজন অপরিচিত ব্যক্তি দ্রুতবেগে এসে চার্চের প্রবেশদ্বারের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরিত জায়গা থেকে কয়েক মিটার দূরে প্যাকেটে মোড়ানো অবিস্ফোরিত আরও দুটি ককটেল জব্দ করা হয়।
চার্চের নিরাপত্তাকর্মীরা নিশ্চিত করেছেনÑ দুজনকে ককটেল নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।’
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেÑ
‘উপাসনালয় ও তার প্রাঙ্গণ একটি পবিত্র স্থান, যেখানে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করা হয়। সেই স্থানে হামলা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। এটি বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের পরিপন্থী। চার্চে হামলার ঘটনা শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নয়, গোটা জাতির শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর আঘাত। ধর্মীয় স্থানে হামলা দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধাচরণ।’
ইতোপূর্বে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ আগস্ট ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ধারাবাহিকতায় জাতীয় মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় হামলার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও হোলি রোজারি চার্চ ধর্মীয় উগ্রবাদীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিল।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ আশান্বিত হয়েছিলÑ হয়তো আর আতঙ্কে দিনাতিপাত করতে হবে না। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা গুড়েবালি হয়েছে। ৫ আগস্টের পরই নওগাঁ শহরের চার্চ অব বাংলাদেশ-এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। দিনাজপুরের সৈয়দপুরে বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ ভবন নির্মাণ উগ্রবাদীদের বাধার কারণে এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বড়দিনের পূর্বে দুইজন পুরোহিতÑ পাস্টর পল কারি ও পাস্টর লাভলু সাদিক লেবিওÑ হত্যার হুমকি পান। ইতোপূর্বে নীলফামারীর চিলমারীতে চার্চের অভ্যন্তরে প্রচার করতে গিয়ে দুইজন পুরোহিত ধর্মান্ধ একদল ব্যক্তির দ্বারা চরমভাবে অপদস্ত হন। মামলা-মোকদ্দমার পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ২৭ জুন নরসিংদীর ঘোড়াশালে সামাজিক কর্মকা- পরিচালনা করতে গিয়ে পাস্টর সুভাষ বর্মন হামলার শিকার হন। স্থানীয় টিএনও ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
গত সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় বেশ কয়েকটি খ্রিষ্টান পরিবার হামলার শিকার হয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর রেভারেন্ড থিয়োফিল গাজী সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং ১২৫৩) করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেনÑ
‘আমি থিয়োফিল গাজী, পেশায় খ্রিষ্টান ধর্মযাজক। আজ ২০/০৯/২০২৫ তারিখে আমি মাছখোলা গির্জার সামনে অবস্থানকালে আমার মোবাইল নম্বরে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি থিয়োফিল গাজী? আমি “হ্যাঁ” বললে তিনি জানান, আমি প্রশাসনের লোক, আপনার নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। মামলা থেকে নাম কাটাতে চাইলে আমার নম্বরে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিন। আমি তাকে সরাসরি দেখা করতে বললে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।’
দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে প্রায়ই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী ও পুরোহিতদের শারীরিক, মানসিক এবং ধর্ম প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছেÑ যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
গত বড়দিনের আগে ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন,
‘বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ছাত্র-জনতা নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। দেশ গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে।’
দেশের ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী খ্রিষ্টানরা চিন্তা, চেতনা ও প্রার্থনায় মাতৃভূমির প্রতি যে অনুরাগ ও আকুলতা প্রদর্শন করে, তা প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।
আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশে-বিদেশে চার্চ, মসজিদ ও মন্দিরে উপাসনাকালীন নিরস্ত্র ও শান্তিপ্রিয় ভক্তরা প্রায়ই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের আক্রমণ ও হত্যার শিকার হচ্ছেন। এশিয়া, ইউরোপ কিংবা আমেরিকাতেও এরূপ ঘটনা ঘটে চলছে।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন গোপালগঞ্জের রোমান ক্যাথলিক মোস্ট হলি রিডিমার চার্চ-এ সাপ্তাহিক উপাসনাকালীন শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক খ্রিষ্টভক্ত আহত হন। প্রায় দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনো ওই হত্যাকা-ের কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
বড় চার্চ হওয়ায় এখানে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বিশ্বাসীরা উপাসনায় যোগ দেন। ফলে নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া দুর্বল থেকে যায়। সেই সুযোগেই দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক স্থাপন করতে পারে।
তেজগাঁওস্থ হোলি রোজারি চার্চ-এ প্রতিদিন শত শত খ্রিষ্টভক্ত ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের লক্ষ্যে উপস্থিত হন। এটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম চার্চ। সামনে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ ঘনিয়ে আসছে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের বড়দিনে রাজশাহীর উত্তম মেষপালক চার্চ-এ এক আগন্তুক ‘পবিত্র কোরআন’ রেখে গিয়েছিল। এতে পুরো রাজশাহী শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়; প্রশাসনের তৎপরতায় দুর্বৃত্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে উগ্রবাদী, ধর্মান্ধ কিংবা দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতাকে অবহেলা করা যাবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে চার্চগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।
প্রয়োজন সরকারের কার্যকর পরিকল্পনা ও বাস্তব পদক্ষেপÑ তাহলেই খ্রিষ্টভক্তরা নির্বিঘেœ উপাসনায় অংশ নিতে পারবেন।
[লেখক: কলামিস্ট]
মিথুশিলাক মুরমু
শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
গত ৮ অক্টোবর ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁওয়ের হোলি রোজারি চার্চ-এর সামনে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে দুজন অপরিচিত ব্যক্তি দ্রুতবেগে এসে চার্চের প্রবেশদ্বারের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরিত জায়গা থেকে কয়েক মিটার দূরে প্যাকেটে মোড়ানো অবিস্ফোরিত আরও দুটি ককটেল জব্দ করা হয়।
চার্চের নিরাপত্তাকর্মীরা নিশ্চিত করেছেনÑ দুজনকে ককটেল নিক্ষেপ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।’
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেÑ
‘উপাসনালয় ও তার প্রাঙ্গণ একটি পবিত্র স্থান, যেখানে সৃষ্টিকর্তার আরাধনা করা হয়। সেই স্থানে হামলা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। এটি বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের পরিপন্থী। চার্চে হামলার ঘটনা শুধু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নয়, গোটা জাতির শান্তি ও সম্প্রীতির ওপর আঘাত। ধর্মীয় স্থানে হামলা দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধাচরণ।’
ইতোপূর্বে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ আগস্ট ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ধারাবাহিকতায় জাতীয় মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় হামলার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও হোলি রোজারি চার্চ ধর্মীয় উগ্রবাদীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিল।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সমাজ আশান্বিত হয়েছিলÑ হয়তো আর আতঙ্কে দিনাতিপাত করতে হবে না। কিন্তু আমাদের সেই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষা গুড়েবালি হয়েছে। ৫ আগস্টের পরই নওগাঁ শহরের চার্চ অব বাংলাদেশ-এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। দিনাজপুরের সৈয়দপুরে বাংলাদেশ অ্যাসেম্বলি অব গড চার্চ ভবন নির্মাণ উগ্রবাদীদের বাধার কারণে এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বড়দিনের পূর্বে দুইজন পুরোহিতÑ পাস্টর পল কারি ও পাস্টর লাভলু সাদিক লেবিওÑ হত্যার হুমকি পান। ইতোপূর্বে নীলফামারীর চিলমারীতে চার্চের অভ্যন্তরে প্রচার করতে গিয়ে দুইজন পুরোহিত ধর্মান্ধ একদল ব্যক্তির দ্বারা চরমভাবে অপদস্ত হন। মামলা-মোকদ্দমার পর নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ২৭ জুন নরসিংদীর ঘোড়াশালে সামাজিক কর্মকা- পরিচালনা করতে গিয়ে পাস্টর সুভাষ বর্মন হামলার শিকার হন। স্থানীয় টিএনও ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
গত সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় বেশ কয়েকটি খ্রিষ্টান পরিবার হামলার শিকার হয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর রেভারেন্ড থিয়োফিল গাজী সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং ১২৫৩) করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেনÑ
‘আমি থিয়োফিল গাজী, পেশায় খ্রিষ্টান ধর্মযাজক। আজ ২০/০৯/২০২৫ তারিখে আমি মাছখোলা গির্জার সামনে অবস্থানকালে আমার মোবাইল নম্বরে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি থিয়োফিল গাজী? আমি “হ্যাঁ” বললে তিনি জানান, আমি প্রশাসনের লোক, আপনার নামে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। মামলা থেকে নাম কাটাতে চাইলে আমার নম্বরে এক লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিন। আমি তাকে সরাসরি দেখা করতে বললে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।’
দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে প্রায়ই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী ও পুরোহিতদের শারীরিক, মানসিক এবং ধর্ম প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছেÑ যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।
গত বড়দিনের আগে ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুজ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন,
‘বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। ছাত্র-জনতা নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। দেশ গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে।’
দেশের ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী খ্রিষ্টানরা চিন্তা, চেতনা ও প্রার্থনায় মাতৃভূমির প্রতি যে অনুরাগ ও আকুলতা প্রদর্শন করে, তা প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয়।
আমরা লক্ষ্য করেছি, দেশে-বিদেশে চার্চ, মসজিদ ও মন্দিরে উপাসনাকালীন নিরস্ত্র ও শান্তিপ্রিয় ভক্তরা প্রায়ই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের আক্রমণ ও হত্যার শিকার হচ্ছেন। এশিয়া, ইউরোপ কিংবা আমেরিকাতেও এরূপ ঘটনা ঘটে চলছে।
২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন গোপালগঞ্জের রোমান ক্যাথলিক মোস্ট হলি রিডিমার চার্চ-এ সাপ্তাহিক উপাসনাকালীন শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক খ্রিষ্টভক্ত আহত হন। প্রায় দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখনো ওই হত্যাকা-ের কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
বড় চার্চ হওয়ায় এখানে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত বিশ্বাসীরা উপাসনায় যোগ দেন। ফলে নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়া দুর্বল থেকে যায়। সেই সুযোগেই দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরক স্থাপন করতে পারে।
তেজগাঁওস্থ হোলি রোজারি চার্চ-এ প্রতিদিন শত শত খ্রিষ্টভক্ত ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের লক্ষ্যে উপস্থিত হন। এটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম চার্চ। সামনে খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ ঘনিয়ে আসছে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের বড়দিনে রাজশাহীর উত্তম মেষপালক চার্চ-এ এক আগন্তুক ‘পবিত্র কোরআন’ রেখে গিয়েছিল। এতে পুরো রাজশাহী শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়; প্রশাসনের তৎপরতায় দুর্বৃত্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে উগ্রবাদী, ধর্মান্ধ কিংবা দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতাকে অবহেলা করা যাবে না। রাজধানীসহ সারাদেশে চার্চগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।
প্রয়োজন সরকারের কার্যকর পরিকল্পনা ও বাস্তব পদক্ষেপÑ তাহলেই খ্রিষ্টভক্তরা নির্বিঘেœ উপাসনায় অংশ নিতে পারবেন।
[লেখক: কলামিস্ট]