পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলের প্রতিযোগিতা সব সরকারের আমলেই ছিল।গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ যেভাবে হল দখলে রেখেছিল সেটা ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত অবস্থায় ছিল। শুধু ছাত্রলীগের আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিপীঙীত হয়েছে সেটাও কিন্তু না, ছাত্রদল বা অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিছিয়ে ছিলেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল দখল বা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে কেন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। সেটা গত পনেরো বছর দেখে আন্দাজ করতে পারছি কিছুটা, প্রতিদিন মিছিল-মিটিং, আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতাদের সন্তুষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প থেকে চাঁদাবাজি-লুটপাট, দল ভারি করা, শিক্ষক রাজনীতির সুবিধা, দখলদারী, মাদকের বিস্তার ঘটানো, আবাসিক হল থেকে ফ্রি খাবার খাওয়া আর পাগলের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের প্রভুত্ব মনোভাব।
যাই হোক, আমাদের মূল কথা ছিল হল দখলের প্রতিযোগিতা নিয়ে, তাহলে ছাত্রলীগের আমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো যেভাবে দখলদারি চলছিল এখন কেন সেই একই অবস্থা, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে দখল নিলেন শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। ৬ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলে নিয়ে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আমাদের প্রত্যাশা সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক, শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনা আগ্রহ গড়ে উঠুক। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে, গবেষণার পরিবেশ তৈরি হবে, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটবে, ধর্মীয় চেতনা বুকে ধারণ করবে তখন হয়তো এই হল দখলের মতো নোংরা কাজগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ হাছান
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখলের প্রতিযোগিতা সব সরকারের আমলেই ছিল।গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ যেভাবে হল দখলে রেখেছিল সেটা ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণিত অবস্থায় ছিল। শুধু ছাত্রলীগের আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিপীঙীত হয়েছে সেটাও কিন্তু না, ছাত্রদল বা অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিছিয়ে ছিলেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল দখল বা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে কেন রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। সেটা গত পনেরো বছর দেখে আন্দাজ করতে পারছি কিছুটা, প্রতিদিন মিছিল-মিটিং, আঞ্চলিক রাজনৈতিক নেতাদের সন্তুষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প থেকে চাঁদাবাজি-লুটপাট, দল ভারি করা, শিক্ষক রাজনীতির সুবিধা, দখলদারী, মাদকের বিস্তার ঘটানো, আবাসিক হল থেকে ফ্রি খাবার খাওয়া আর পাগলের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিজেদের প্রভুত্ব মনোভাব।
যাই হোক, আমাদের মূল কথা ছিল হল দখলের প্রতিযোগিতা নিয়ে, তাহলে ছাত্রলীগের আমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো যেভাবে দখলদারি চলছিল এখন কেন সেই একই অবস্থা, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে দখল নিলেন শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। ৬ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ নজরুল ইসলাম আবাসিক হলের একটি কক্ষ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখলে নিয়ে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আমাদের প্রত্যাশা সারাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় লেজুড়বৃত্তি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হোক, শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনা আগ্রহ গড়ে উঠুক। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে, গবেষণার পরিবেশ তৈরি হবে, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটবে, ধর্মীয় চেতনা বুকে ধারণ করবে তখন হয়তো এই হল দখলের মতো নোংরা কাজগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
মোহাম্মদ হাছান