বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলক চালু হয় এবং সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ১,১৮,৮৯০ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২,০১,০০,৯৭২ জন।
শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ‘প্রাথমিক শিক্ষা’; যা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হাতেখড়ি শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে; কিন্তু বাংলাদেশের চলাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার মান খুবই অনুন্নত। এখানে একটি ভবন পড়ে আছে, দরজা ও জানালাগুলো খোলা, বিদ্যালয়ের মাঠে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। কখনো কখনো স্থানীয়রা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে কক্ষগুলো ব্যবহার করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসছে না; যা নিয়ে অভিভাবকদের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। শিক্ষকরা হরহামেশাই ফাঁকি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসে না বলে তারা ছুটিতে চলে যাচ্ছে। আবার এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে শিক্ষকরা অধিক গুরুত্বসহকারে পড়াচ্ছেন না।
এখানে যেনো কারো কোন তত্ত্বাবধান নেই। আমরা এই প্রাথমিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন চাই; যাতে করে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার বিস্তার ঘটে। তাই স্থানীয়, স্থানীয় সরকার ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।
মিরজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলক চালু হয় এবং সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ১,১৮,৮৯০ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২,০১,০০,৯৭২ জন।
শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ‘প্রাথমিক শিক্ষা’; যা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হাতেখড়ি শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে; কিন্তু বাংলাদেশের চলাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার মান খুবই অনুন্নত। এখানে একটি ভবন পড়ে আছে, দরজা ও জানালাগুলো খোলা, বিদ্যালয়ের মাঠে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। কখনো কখনো স্থানীয়রা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে কক্ষগুলো ব্যবহার করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসছে না; যা নিয়ে অভিভাবকদের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। শিক্ষকরা হরহামেশাই ফাঁকি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসে না বলে তারা ছুটিতে চলে যাচ্ছে। আবার এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে শিক্ষকরা অধিক গুরুত্বসহকারে পড়াচ্ছেন না।
এখানে যেনো কারো কোন তত্ত্বাবধান নেই। আমরা এই প্রাথমিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন চাই; যাতে করে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার বিস্তার ঘটে। তাই স্থানীয়, স্থানীয় সরকার ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।
মিরজুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।