alt

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলক চালু হয় এবং সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ১,১৮,৮৯০ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২,০১,০০,৯৭২ জন।

শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ‘প্রাথমিক শিক্ষা’; যা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হাতেখড়ি শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে; কিন্তু বাংলাদেশের চলাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার মান খুবই অনুন্নত। এখানে একটি ভবন পড়ে আছে, দরজা ও জানালাগুলো খোলা, বিদ্যালয়ের মাঠে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। কখনো কখনো স্থানীয়রা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে কক্ষগুলো ব্যবহার করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসছে না; যা নিয়ে অভিভাবকদের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। শিক্ষকরা হরহামেশাই ফাঁকি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসে না বলে তারা ছুটিতে চলে যাচ্ছে। আবার এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে শিক্ষকরা অধিক গুরুত্বসহকারে পড়াচ্ছেন না।

এখানে যেনো কারো কোন তত্ত্বাবধান নেই। আমরা এই প্রাথমিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন চাই; যাতে করে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার বিস্তার ঘটে। তাই স্থানীয়, স্থানীয় সরকার ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।

মিরজুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকের মানবিক অধিকার নিশ্চিতকরণ জরুরি

নিউমার্কেটে সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত করা জরুরি

সুন্দরবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন

আগুনের শিখায় ভস্মীভূত স্বপ্ন

কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা?

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি-ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধের আহ্বান

ছবি

ভবদহে জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরি টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন

গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

পোস্তগোলা থানা গঠনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যামেরিকান স্টাডিজ কোর্স চালুর প্রয়োজনীয়তা

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষক সংকট

শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বৈষম্য দূর করতে হবে

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সংবাদ প্রসঙ্গে

মাটি কেটে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

পিঠা উৎসব : ঐতিহ্যের পুনরুত্থান ও জনপ্রিয়তা

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ অর্থনীতি

পানির অপচয় রোধে সচেতনতা

নিরাপত্তায় মনোযোগ বাড়ানো জরুরি

ছবি

প্লাস্টিক দূষণ : সমাধানের পথ কী?

ছাত্রত্বহীন আদুভাইদের রাজনীতি বন্ধ হোক

অগ্নিকা- থেকে মুক্তির উপায় কী?

ছবি

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার

ছবি

টিসিবির ট্রাকে চাল নেই কেন?

মেট্রোরেলে মশা

ছবি

গণপরিবহনে নারী আসনের অপ্রতুলতা

ছবি

অভিযান যেন একতরফা না হয়

পরিবহন ভাড়া কমান

ইন্টারনেট প্রযুক্তির গুরুত্ব

ছবি

বই নির্বাচন, বন্ধু নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ

অব্যবস্থাপনার দিকে মেট্রোরেল

সাহিত্যের সঙ্গে সাংবাদিকতার সম্পর্ক : বিশ্লেষণ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সংস্কার চাই

খাল খনন করুন

ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার খাল ভরাটের কারণে বেহাল দশা

ছবি

রেলক্রসিং যেন মরণ ফাঁদ

tab

চরাঞ্চলের শিক্ষার সংস্কার চাই

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন পাস হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা পরীক্ষামূলক চালু হয় এবং সারাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয় ১৯৯৩ সালে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে ৬৫,৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ১,১৮,৮৯০ এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২,০১,০০,৯৭২ জন।

শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ‘প্রাথমিক শিক্ষা’; যা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার হাতেখড়ি শুরু হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে; কিন্তু বাংলাদেশের চলাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষার মান খুবই অনুন্নত। এখানে একটি ভবন পড়ে আছে, দরজা ও জানালাগুলো খোলা, বিদ্যালয়ের মাঠে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ঘাস খাচ্ছে। কখনো কখনো স্থানীয়রা তাদের নিজেদের প্রয়োজনে কক্ষগুলো ব্যবহার করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বিদ্যালয়ে আসছে না; যা নিয়ে অভিভাবকদের তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। শিক্ষকরা হরহামেশাই ফাঁকি দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসে না বলে তারা ছুটিতে চলে যাচ্ছে। আবার এদিকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে শিক্ষকরা অধিক গুরুত্বসহকারে পড়াচ্ছেন না।

এখানে যেনো কারো কোন তত্ত্বাবধান নেই। আমরা এই প্রাথমিক শিক্ষার আমূল পরিবর্তন চাই; যাতে করে প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার বিস্তার ঘটে। তাই স্থানীয়, স্থানীয় সরকার ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে।

মিরজুল ইসলাম

শিক্ষার্থী, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর।

back to top