গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আখাউড়া ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মধ্যে রেল সার্ভিস চালু হবার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। ইতিমধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। ১৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের এই রেল লাইনের মধ্যে বাংলাদেশের অংশের ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ রেলপথ স্থাপনে সম্পূর্ণ টাকা ভারত সরকার বহন করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দীর্ঘদিনের দাবি ঢাকা হতে সরাসরি আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু করা হউক। ইতিমধ্যে ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। উভয় দেশের সরকার আখাউড়া আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের উদ্ধোধন করেছিলেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্ভবত: আখাউড়াÑআগরতলা রেল সার্ভিস দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে কিনা বলা দুস্কর। রেল মন্ত্রণালয়ের ঢিলামী ও ঠিকাদারের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য বার বার এ প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ করা যায়নি। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল সার্ভিস চালু হওয়ার মাধ্যমে উভয় দেশের যাত্রী সাধারণের যাত্রা বা চলাচল হবে নিরাপদ ও আরামদায়ক এবং মালামাল পরিবহন ক্ষেত্রে অনেক সময় কম লাগবে। এ রুটে ট্রেন চালু হলে আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলিকাতার দূরত্ব ৫১৪ কিলোমিটার কমে আসবে। বর্তমানে আগরতলা কলিকাতা রুটের দুরত্ব ১৬১৫ কিলোমিটার। এ-ছাড়াও এ রেলপথ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও চাঙ্গা হবে। বাডুজ্যিক বিস্তারের পথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিকাশ যেমন ঘটবে পাশাপাশি উভয় দেশের উন্নয়নে নূতন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। দু’দেশের মানুষ আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবে। মৈত্রীর নূতন দুয়ার খুলবে আখাউড়া-আগরতলা রেল ষ্টেশন।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আখাউড়া ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মধ্যে রেল সার্ভিস চালু হবার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। ইতিমধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। ১৫ কিলোমিটার দৈঘ্যের এই রেল লাইনের মধ্যে বাংলাদেশের অংশের ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তবে এ রেলপথ স্থাপনে সম্পূর্ণ টাকা ভারত সরকার বহন করছে। বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দীর্ঘদিনের দাবি ঢাকা হতে সরাসরি আগরতলা পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু করা হউক। ইতিমধ্যে ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। উভয় দেশের সরকার আখাউড়া আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের উদ্ধোধন করেছিলেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সম্ভবত: আখাউড়াÑআগরতলা রেল সার্ভিস দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে কিনা বলা দুস্কর। রেল মন্ত্রণালয়ের ঢিলামী ও ঠিকাদারের অবহেলা ও উদাসীনতার জন্য বার বার এ প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ করা যায়নি। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল সার্ভিস চালু হওয়ার মাধ্যমে উভয় দেশের যাত্রী সাধারণের যাত্রা বা চলাচল হবে নিরাপদ ও আরামদায়ক এবং মালামাল পরিবহন ক্ষেত্রে অনেক সময় কম লাগবে। এ রুটে ট্রেন চালু হলে আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলিকাতার দূরত্ব ৫১৪ কিলোমিটার কমে আসবে। বর্তমানে আগরতলা কলিকাতা রুটের দুরত্ব ১৬১৫ কিলোমিটার। এ-ছাড়াও এ রেলপথ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড় ও চাঙ্গা হবে। বাডুজ্যিক বিস্তারের পথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক বিকাশ যেমন ঘটবে পাশাপাশি উভয় দেশের উন্নয়নে নূতন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। দু’দেশের মানুষ আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পাবে। মৈত্রীর নূতন দুয়ার খুলবে আখাউড়া-আগরতলা রেল ষ্টেশন।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া