alt

পাঠকের চিঠি

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবা মানবিক কাজ। সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে যারা নিজের স্বার্থ চিন্তা বাদ দিয়ে, সময় ব্যয় করে, অর্থ খরচ করে অপরের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করে। সমাজের বিভিন্ন সাহায্যমূলক সংঘে সেচ্ছাসেবীরা কাজ করে। সমাজের কল্যাণ কামনা এবং উন্নত করার লক্ষ্যয় এরা দিনরাত যেকোনো সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সমাজের মানুষের প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবীরা নিবেদিতপ্রাণ। প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবীরা

দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটি গেছে বানবাসীদের কাছে। সারাদেশ জুড়ে তাহবিল সংগ্রহ, শুকনা খাবার ক্রয়, পোশাক সংগ্রহ সহ নানা রকম তাদের দেখা গেছে। উদ্ধার কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ছিল ব্যাপক। সরকারি কোনো প্রকার সাহায্য ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ ছিল নজরকাড়া।

প্রতি বছর শীতে স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্থ মানুষের জন্য কম্বল, শীতের পোশাক বিতরণের কাজ প্রশংসনীয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা করতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। তাছাড়াও দেশে ঈদ পূজা নানারকম ধর্মীয় উৎসবে স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে ধর্মপ্রাণ মানুষের উৎসব উৎযাপন নির্বিঘœ করতে নিরলস পরিশ্রম করে যায়।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতি অবস্থায় যেখানে স্বল্প আয়ের মানুষরা দিনে এনে দিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা কমদামে পণ্য, সবজি, মাছ, মাংস বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমাজের মানুষদের জীবন নিরাপত্তা দিতে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ঈর্ষণীয়। রক্তদানের মতো মহৎ কাজটি স্বেচ্ছাসেবকরা করে। দিন রাতের যেকোনো সময়, কাজ ফেলে রেখে, নিজ অর্থ ব্যয় করে মানুষকে রক্ত দিতে ছুটে যায় হসপিটালগুলোতে। বৃক্ষরোপণ করা, বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য কমিউনিটি গড়ে তোলা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতেস্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করে কাজ করে থাকে। পথের প্রাণীদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের চিকিৎসা, খাদ্য, নিরাপদ আবাসস্থল ব্যবস্থার জন্য একদল স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সমাজের স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের পরিধি বিস্তৃত। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর হতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের ছোট করে দেখা কিংবা খারাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের কাজে এগিয়ে আসতে হবে, সাহায্য জন্য হাত বাড়াতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের প্রাণ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যেয় স্বেচ্ছাসেবকদের বিশেষ প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করা গেলে আরো ভালো হবে। কাজের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পাবো।

স্বেচ্ছাসেবকরা যত তৎপর থাকবে সমাজে সমাজের মানুষ তত শান্তি ও নির্বিঘেœ থাকতে পারবে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

শীতকালীন বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবসরের বয়সসীমা বাড়ান

রাস্তা অবরোধ নামক অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

ছবি

খেলনায় বিষাক্ত ধাতু

জিপিএ-৫ মুখ্য নয়, প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষা

রাষ্ট্রসংস্কারের পূর্বে আত্মসংস্কার প্রয়োজন

আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বেহালদশা

পরিকল্পিতভাবে উপযুক্ত স্থানে গাছ রোপণ করা উচিত

ইজিবাইক ছিনতাই

ছবি

টিসিবির পণ্য : নিম্নআয়ের মানুষের ভোগান্তি

ছবি

উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য

ছবি

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করুন

সড়ক দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণে দমবন্ধ ঢাকা

হলগুলোর খাবারের মান বাড়ান

নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হবে কবে

মোরেলগঞ্জ পৌরসভার নাগরিক সেবা উন্নয়নে পদক্ষেপ নিন

ছবি

খেজুরের রস

ট্যাগিং সংস্কৃতির অবসান ঘটুক

আবাসন সংকট দূর করুন

আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চালু হবে কি ?

উচ্চশিক্ষা ও বেকারত্ব

ছবি

অবৈধ ইটভাটা : দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক

সংঘাত বন্ধ হোক

ছবি

কবে থামবে নদী দখল?

ছবি

কেমন আছে জাতীয় পাখি দোয়েল?

অতিথি পাখি শিকার নয়

নীরব ভূমিকায় কলেজ প্রশাসন

সড়ক দুর্ঘটনা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কোথায়

ব্রহ্মপুত্রের পাড় হারাচ্ছে সৌন্দর্য

ছবি

সবজির দাম, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, কৃষকের বঞ্চনা

ছবি

ছাদ বাগান

শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন

ছবি

মেট্রোরেলের টিকেট ভোগান্তি

tab

পাঠকের চিঠি

স্বেচ্ছাসেবা : একটি জীবন বোধ

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বেচ্ছাসেবা মানবিক কাজ। সমাজের প্রতিটি স্তরে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে যারা নিজের স্বার্থ চিন্তা বাদ দিয়ে, সময় ব্যয় করে, অর্থ খরচ করে অপরের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করে। সমাজের বিভিন্ন সাহায্যমূলক সংঘে সেচ্ছাসেবীরা কাজ করে। সমাজের কল্যাণ কামনা এবং উন্নত করার লক্ষ্যয় এরা দিনরাত যেকোনো সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছাসেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সমাজের মানুষের প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবীরা নিবেদিতপ্রাণ। প্রতি বছর বন্যা পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবীরা

দেশে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটি গেছে বানবাসীদের কাছে। সারাদেশ জুড়ে তাহবিল সংগ্রহ, শুকনা খাবার ক্রয়, পোশাক সংগ্রহ সহ নানা রকম তাদের দেখা গেছে। উদ্ধার কাজে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ছিল ব্যাপক। সরকারি কোনো প্রকার সাহায্য ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ ছিল নজরকাড়া।

প্রতি বছর শীতে স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে শীতার্থ মানুষের জন্য কম্বল, শীতের পোশাক বিতরণের কাজ প্রশংসনীয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন ব্যবস্থা করতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। তাছাড়াও দেশে ঈদ পূজা নানারকম ধর্মীয় উৎসবে স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে ধর্মপ্রাণ মানুষের উৎসব উৎযাপন নির্বিঘœ করতে নিরলস পরিশ্রম করে যায়।

বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতি অবস্থায় যেখানে স্বল্প আয়ের মানুষরা দিনে এনে দিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরা কমদামে পণ্য, সবজি, মাছ, মাংস বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমাজের মানুষদের জীবন নিরাপত্তা দিতে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা ঈর্ষণীয়। রক্তদানের মতো মহৎ কাজটি স্বেচ্ছাসেবকরা করে। দিন রাতের যেকোনো সময়, কাজ ফেলে রেখে, নিজ অর্থ ব্যয় করে মানুষকে রক্ত দিতে ছুটে যায় হসপিটালগুলোতে। বৃক্ষরোপণ করা, বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য কমিউনিটি গড়ে তোলা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতেস্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করে কাজ করে থাকে। পথের প্রাণীদের নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের চিকিৎসা, খাদ্য, নিরাপদ আবাসস্থল ব্যবস্থার জন্য একদল স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সমাজের স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের পরিধি বিস্তৃত। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর হতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের ছোট করে দেখা কিংবা খারাপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাদের কাজে এগিয়ে আসতে হবে, সাহায্য জন্য হাত বাড়াতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকরা সমাজের প্রাণ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সরকার কর্তৃক বিনামূল্যেয় স্বেচ্ছাসেবকদের বিশেষ প্রশিক্ষন ব্যবস্থা করা গেলে আরো ভালো হবে। কাজের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি পাবো।

স্বেচ্ছাসেবকরা যত তৎপর থাকবে সমাজে সমাজের মানুষ তত শান্তি ও নির্বিঘেœ থাকতে পারবে।

আহাম্মদ উল্লাহ

শিক্ষার্থী, গণিত বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

back to top