আধুনিকতা আর প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষের চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে সমাজের কিছু পুরোনো অভিশাপ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তার মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হচ্ছে যৌতুক প্রথা, যা এখনও শত শত নারীর জীবনে প্রতিদিনই দুর্বিষহ যন্ত্রণা ও নির্যাতন বয়ে আনছে।
একটি বিয়ের আগে এবং পরেও যৌতুক নিয়ে তিক্ততা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বারবার শোনা যায়। আমাদের সমাজে মেয়েদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করে, মেয়েদের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এটি শুধু নারীর অধিকারের ওপর আঘাতই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যৌতুক প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিবাহের সময়, আগে বা পরে কোনো অর্থ, সম্পদ, বা অন্য কিছু দাবি করে, সেটি যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও, এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে যৌতুকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারেনি।
এখন সময় এসেছে, এই সামাজিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসার। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে শুধু আইন নয়; প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। পরিবারে শিক্ষার মাধ্যমে, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে, এবং মিডিয়া ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যৌতুকবিরোধী একটি পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত রাখা যেতে পারে।
ইসরাত জাহান ইশা
মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, রাজশাহী কলেজ।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
আধুনিকতা আর প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষের চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে সমাজের কিছু পুরোনো অভিশাপ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তার মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হচ্ছে যৌতুক প্রথা, যা এখনও শত শত নারীর জীবনে প্রতিদিনই দুর্বিষহ যন্ত্রণা ও নির্যাতন বয়ে আনছে।
একটি বিয়ের আগে এবং পরেও যৌতুক নিয়ে তিক্ততা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বারবার শোনা যায়। আমাদের সমাজে মেয়েদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করে, মেয়েদের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এটি শুধু নারীর অধিকারের ওপর আঘাতই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যৌতুক প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিবাহের সময়, আগে বা পরে কোনো অর্থ, সম্পদ, বা অন্য কিছু দাবি করে, সেটি যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও, এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে যৌতুকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারেনি।
এখন সময় এসেছে, এই সামাজিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসার। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে শুধু আইন নয়; প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। পরিবারে শিক্ষার মাধ্যমে, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে, এবং মিডিয়া ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যৌতুকবিরোধী একটি পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত রাখা যেতে পারে।
ইসরাত জাহান ইশা
মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, রাজশাহী কলেজ।