alt

পাঠকের চিঠি

অভিশপ্ত যৌতুক প্রথা

: বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

আধুনিকতা আর প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষের চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে সমাজের কিছু পুরোনো অভিশাপ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তার মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হচ্ছে যৌতুক প্রথা, যা এখনও শত শত নারীর জীবনে প্রতিদিনই দুর্বিষহ যন্ত্রণা ও নির্যাতন বয়ে আনছে।

একটি বিয়ের আগে এবং পরেও যৌতুক নিয়ে তিক্ততা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বারবার শোনা যায়। আমাদের সমাজে মেয়েদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করে, মেয়েদের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এটি শুধু নারীর অধিকারের ওপর আঘাতই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যৌতুক প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিবাহের সময়, আগে বা পরে কোনো অর্থ, সম্পদ, বা অন্য কিছু দাবি করে, সেটি যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও, এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে যৌতুকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারেনি।

এখন সময় এসেছে, এই সামাজিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসার। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে শুধু আইন নয়; প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। পরিবারে শিক্ষার মাধ্যমে, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে, এবং মিডিয়া ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যৌতুকবিরোধী একটি পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত রাখা যেতে পারে।

ইসরাত জাহান ইশা

মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, রাজশাহী কলেজ।

জাল নোট

ছবি

এইচএমপিভি সংক্রমণ : আতঙ্ক নয়, সচেতনতার প্রয়োজন

ছবি

অপরিকল্পিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

মুন্সীগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম

ছবি

এনসিটিবির হাতে ‘গাছের পাতা’ ছেঁড়া হলো

কঠিন অধ্যবসায়, সাবলীল জীবন

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে ভ্যাটের বোঝা

বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের বাড়াবাড়ি

যমজ সন্তান ভর্তিতে ভোগান্তি

পাবলিক লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করুন

ছবি

গ্যাসের সংকট কী কাটবে না?

সভ্যতার সঙ্গে প্রযুক্তির সম্পর্ক

পশুদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসুন

দূষিত বায়ুতে জর্জরিত ঢাকা শহর

খাদ্যে উচ্চ মাত্রার লবণ গ্রহণ সম্পর্কে সতর্কতা

ছবি

রিও ভাইরাস : আতঙ্ক নয়, সচেতন হোন

ছবি

তীব্র গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ছবি

হলুদ চাদরে জড়ানো বাংলার প্রান্তর

বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় উদ্যোগ নিন

ঢাবির আবাসন সংকটের নিরসন কোথায়?

ভিক্ষার চালের দামও বেড়েছে

ছবি

দেওয়ালে পোস্টার লাগানো বন্ধ করুন

শিক্ষকদের সম্মান প্রসঙ্গে

নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক নিরাপদ সড়ক

সংকটে ঘিওর স্বাস্থ্যকেন্দ্র

ছবি

সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

রক্তদানে সম্পৃক্ত হোন

নিজের স্বপ্ন অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না

ছবি

বুড়িগঙ্গা নদীর বেহাল অবস্থা

ছবি

বৃক্ষের দেহে পেরেক ঠোকা কেন

মাদককে না, ক্রীড়াকে হ্যাঁ বলুন

বায়ুদূষণ

শিক্ষকদের পেনশন প্রাপ্তিতে দুর্ভোগ

ছবি

রাজধানীতে ফিটনেসবিহীন বাস

শৃঙ্খলা ও শান্তির জন্য জননিরাপত্তা

tab

পাঠকের চিঠি

অভিশপ্ত যৌতুক প্রথা

বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

আধুনিকতা আর প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষের চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, তবে সমাজের কিছু পুরোনো অভিশাপ আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তার মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি হচ্ছে যৌতুক প্রথা, যা এখনও শত শত নারীর জীবনে প্রতিদিনই দুর্বিষহ যন্ত্রণা ও নির্যাতন বয়ে আনছে।

একটি বিয়ের আগে এবং পরেও যৌতুক নিয়ে তিক্ততা, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা বারবার শোনা যায়। আমাদের সমাজে মেয়েদের পরিবারের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করে, মেয়েদের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এটি শুধু নারীর অধিকারের ওপর আঘাতই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।

যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যৌতুক প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বিবাহের সময়, আগে বা পরে কোনো অর্থ, সম্পদ, বা অন্য কিছু দাবি করে, সেটি যৌতুক হিসেবে বিবেচিত হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু আইন থাকা সত্ত্বেও, এর যথাযথ প্রয়োগের অভাবে যৌতুকের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে উঠতে পারেনি।

এখন সময় এসেছে, এই সামাজিক ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসাথে এগিয়ে আসার। যৌতুক প্রথা বন্ধ করতে শুধু আইন নয়; প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। পরিবারে শিক্ষার মাধ্যমে, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌতুকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে, এবং মিডিয়া ও সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে যৌতুকবিরোধী একটি পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও এ বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে যৌতুক প্রথা থেকে মুক্ত রাখা যেতে পারে।

ইসরাত জাহান ইশা

মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট, রাজশাহী কলেজ।

back to top