এই সেদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্টে নরওয়ে প্রবাসী এক রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে বিমান বাহিনীর নিরাপত্তাকর্মী কুইক রেসপন্স ফোর্স ও আনসাররা সংঘবদ্ধ হয়ে শুধু মারধর করেনি তার বিরুদ্ধে আদালত বসিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার ওপর এ ধরনের হামলা, আচরণ ও নির্যাতন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, যা ছিল অমানবিক। অথচ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়াতে দেশবাসী হতবাক। অস্ত্র এবং সরকারি পোশাকধারীরা যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহলে বিষয়টি কোন ভাবেই নেওয়া সম্ভব নয়।
সম্প্রতি আমার ছেলে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে আসার সময় ঠিক শাহজালাল বিমান বন্দরে গাড়ি নিয়ে ঢোকার মুহূর্তে বিমানবাহিনীর কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা আমার ওপর চড়াও হয়ে খুবই দুর্বব্যহার করে যা আমার ছেলে ও পুত্রবধূ তা অবলোকন করে নিরাপত্তাকর্মীদের ধিক্কার জানায়। অথচ সে সময় আমার সাথে বিমানবন্দরে অভ্যন্তরে ঢোকার পাশ ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীদের আচার-ব্যবহার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারপর আনসার, এরাতো পুলিশের থেকেও আরো খারাপ।
জুলাই আন্দোলনের পরও এ সকল বাহিনীর চরিত্র এখনও বদলায় নাই। যাত্রীদেরকে বিমানবন্দরে এভাবে আর কতকাল নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে নিগৃহীত হতে হবে? দেশের সকল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল এবং নাজুক। তবে হা কোন যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে আটক করা যেতে পারে। তাই বলে এই নয় যে, তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা এবং সেখানে তৎক্ষনাৎ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করায় শুধু রেমিট্যান্স যোদ্ধারা নয়, দেশবাসীও ভীষণভাবে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।
আশাকরি, ভবিষ্যতে দেশের কোন বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা কোন বিমান যাত্রীদের আর কোন প্রকার হেনস্তা হতে না হয় বা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে দিকে কর্তৃপক্ষকে আরো সচেষ্ট হতে হবে এবং বিমানবন্দরে ভদ্র ও অমায়িক এবং যাত্রীদের সাথে কি ধরনের আচারণ করতে হবে এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অনুরোধ জানাই।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া,
ঢাকা-১২০৪।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
এই সেদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্টে নরওয়ে প্রবাসী এক রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে বিমান বাহিনীর নিরাপত্তাকর্মী কুইক রেসপন্স ফোর্স ও আনসাররা সংঘবদ্ধ হয়ে শুধু মারধর করেনি তার বিরুদ্ধে আদালত বসিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার ওপর এ ধরনের হামলা, আচরণ ও নির্যাতন কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, যা ছিল অমানবিক। অথচ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়াতে দেশবাসী হতবাক। অস্ত্র এবং সরকারি পোশাকধারীরা যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহলে বিষয়টি কোন ভাবেই নেওয়া সম্ভব নয়।
সম্প্রতি আমার ছেলে নিউজিল্যান্ড থেকে দেশে আসার সময় ঠিক শাহজালাল বিমান বন্দরে গাড়ি নিয়ে ঢোকার মুহূর্তে বিমানবাহিনীর কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা আমার ওপর চড়াও হয়ে খুবই দুর্বব্যহার করে যা আমার ছেলে ও পুত্রবধূ তা অবলোকন করে নিরাপত্তাকর্মীদের ধিক্কার জানায়। অথচ সে সময় আমার সাথে বিমানবন্দরে অভ্যন্তরে ঢোকার পাশ ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মীদের আচার-ব্যবহার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারপর আনসার, এরাতো পুলিশের থেকেও আরো খারাপ।
জুলাই আন্দোলনের পরও এ সকল বাহিনীর চরিত্র এখনও বদলায় নাই। যাত্রীদেরকে বিমানবন্দরে এভাবে আর কতকাল নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে নিগৃহীত হতে হবে? দেশের সকল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল এবং নাজুক। তবে হা কোন যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে আটক করা যেতে পারে। তাই বলে এই নয় যে, তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা এবং সেখানে তৎক্ষনাৎ আদালত বসিয়ে জরিমানা আদায় করায় শুধু রেমিট্যান্স যোদ্ধারা নয়, দেশবাসীও ভীষণভাবে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ।
আশাকরি, ভবিষ্যতে দেশের কোন বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীদের দ্বারা কোন বিমান যাত্রীদের আর কোন প্রকার হেনস্তা হতে না হয় বা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে দিকে কর্তৃপক্ষকে আরো সচেষ্ট হতে হবে এবং বিমানবন্দরে ভদ্র ও অমায়িক এবং যাত্রীদের সাথে কি ধরনের আচারণ করতে হবে এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অনুরোধ জানাই।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া,
ঢাকা-১২০৪।