গত তিন বছর থেকে চলা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মানুষের ঘাঁড়ে নাভিশ্বাস ফেলছে। দেশে বিদ্যমান নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। এটা সম্পূর্ণভাবে আইএমএফের শর্তের কাছে নতি স্বীকার এবং জনগণের সাথে অবিচার। সরকার চাইলে আইএমএফের কাছে আরো সময় নিতে পারতো। কিন্তু সরকার বেছে নিল ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত যা সাধারণ মানুষকে অধিক চাপের মধ্যে ফেলবে এবং সামনে তা তাদের অসহিষ্ণুতাকেও বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। সার্বিকভাবে বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থনের ওপরেও এই কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিগত সরকারের আমলের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ধনী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ কর আদায় জোরদার করার বদলে আরও বেশি পরোক্ষ কর আদায়ের দিকে হাটছে। সরকার কর ফাঁকি রোধ ও বিদেশে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে জোর দেয়ার বদলে অগণতান্ত্রিকভাবে আইএমএফের শর্ত মেনে ভ্যাট বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে। যা মোটেও যৌক্তিক সমাধান নয় বরং এটি মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যাকে আরো দীর্ঘায়িত করবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলবে। আন্তর্জাতিক পুঁজির স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান আইএমএফের প্রেসক্রিপশন মেনে পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মতো বৈষম্য সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কাজেই সরকারকে ভ্যাটের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সহজ রাস্তা থেকে সরে আসতে হবে। ভ্যাট ও শুল্কের মতো পরোক্ষ করের বদলে ধনিক গোষ্ঠীর আয় ও সম্পদ থেকে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে। যদিও এ পদ্ধতি বেশ জটিল কিন্তু জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে।
সংগীত কুমার
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
গত তিন বছর থেকে চলা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মানুষের ঘাঁড়ে নাভিশ্বাস ফেলছে। দেশে বিদ্যমান নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। এটা সম্পূর্ণভাবে আইএমএফের শর্তের কাছে নতি স্বীকার এবং জনগণের সাথে অবিচার। সরকার চাইলে আইএমএফের কাছে আরো সময় নিতে পারতো। কিন্তু সরকার বেছে নিল ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত যা সাধারণ মানুষকে অধিক চাপের মধ্যে ফেলবে এবং সামনে তা তাদের অসহিষ্ণুতাকেও বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। সার্বিকভাবে বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থনের ওপরেও এই কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিগত সরকারের আমলের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ধনী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ কর আদায় জোরদার করার বদলে আরও বেশি পরোক্ষ কর আদায়ের দিকে হাটছে। সরকার কর ফাঁকি রোধ ও বিদেশে পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে জোর দেয়ার বদলে অগণতান্ত্রিকভাবে আইএমএফের শর্ত মেনে ভ্যাট বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়িয়ে তুলছে। যা মোটেও যৌক্তিক সমাধান নয় বরং এটি মুদ্রাস্ফীতির মতো সমস্যাকে আরো দীর্ঘায়িত করবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের চরম দুর্দশার মধ্যে ফেলবে। আন্তর্জাতিক পুঁজির স্বার্থরক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান আইএমএফের প্রেসক্রিপশন মেনে পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মতো বৈষম্য সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। কাজেই সরকারকে ভ্যাটের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সহজ রাস্তা থেকে সরে আসতে হবে। ভ্যাট ও শুল্কের মতো পরোক্ষ করের বদলে ধনিক গোষ্ঠীর আয় ও সম্পদ থেকে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে। যদিও এ পদ্ধতি বেশ জটিল কিন্তু জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারকে এ চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে।
সংগীত কুমার
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়