জাটকা নিধন ঠেকাতে নদীপথে নৌপুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে জাটকা ধরার অভিযোগে ৮ হাজার জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি বছরে অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে ১৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯ মিটার। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নৌপুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নৌপুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে বলা হয়েছে, নৌপুলিশ গত বছর ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের গত ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধন প্রতিরোধে নদীপথে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। আর ২০২৩ সালে তা ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৭ কেজি।
অভিযানকালে চলতি বছর নৌযান আটক করা হয়েছে ১ হাজার ৬৮২টি। গত বছর তা ছিল ৫৬২টি। অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধনের অভিযোগে চলতি বছর ৮৮০টি মামলা হয়েছে। গেল বছর মামলার সংখ্যা ছিল ৫০৮টি।
চলতি বছর মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়েছে এক হাজার ১২টি। গত বছর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৫৯৩টি। জাটকা ধরা ঠেকাতে এইভাবে নৌপুলিশ দায়িত্ব পালন করেছিল।
অভিযান চলাকালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলে জাটকা ধরার অভিযোগে চলতি বছর নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজার ১৭২ জন জেলে। গত বছর তা ছিল এক হাজার ১৭১ জন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চলতি বছর আটক এক হাজার ৮০১ জন। গত বছর তা ছিল ৯৬৫ জন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর সংখ্যা এক হাজার ৭৭৯ জন। মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ৭৫২ জন। গত বছর তা ছিল ২ হাজার ৭০৪ জন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীপথে ইলিশ অভয়াশ্রমে জাটকা নিধন করতে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
নৌপুলিশের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার নদীপথে নৌপুলিশ কাজ করছেন। এব নদী পথের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ কাজ করছেন। নিরাপত্তা ছাড়াও তারা তারা জাটকা ধরা ঠেকাতে পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছেন। তাদের তৎপরতার কারণে জাটকা নিধন কিছুটা কমলেও অসাধু জেলেরা গোপনে মাছ ধরে বিক্রি করছে।
দেশে পেশাদার জেলের সংখ্যা অনেক হলেও অনুমোদিত জেলের সংখ্যা ১৭ লাখ। আর কিছু জেলে আছে তারা নানা কৌশলে নদীতে জাটকা ধরতে যায়। গোপনে খবর পাওয়া গেলে সেখানে ছুটে যান নৌপুলিশের টিম। নৌপুলিশের ক্রাইম এন্ড অপারেশন শাখার পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ সংবাদকে জানান, জাটকা প্রতিরোধে নদীপথে একের পর এক নৌপুলিশের অভিযানের কারণে জাটকা নিধন অনেকটা কমছে। এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
নৌপুলিশ প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলিম মাহমুদ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, নদী পথের নিরাপত্তায় কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪
জাটকা নিধন ঠেকাতে নদীপথে নৌপুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে জাটকা ধরার অভিযোগে ৮ হাজার জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ কেজি জাটকা উদ্ধার করা হয়েছে। চলতি বছরে অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে ১৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯ মিটার। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নৌপুলিশের ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নৌপুলিশের হেডকোয়ার্টার্স থেকে বলা হয়েছে, নৌপুলিশ গত বছর ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের গত ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা নিধন প্রতিরোধে নদীপথে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়েছে। আর ২০২৩ সালে তা ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৭ কেজি।
অভিযানকালে চলতি বছর নৌযান আটক করা হয়েছে ১ হাজার ৬৮২টি। গত বছর তা ছিল ৫৬২টি। অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধনের অভিযোগে চলতি বছর ৮৮০টি মামলা হয়েছে। গেল বছর মামলার সংখ্যা ছিল ৫০৮টি।
চলতি বছর মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়েছে এক হাজার ১২টি। গত বছর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৫৯৩টি। জাটকা ধরা ঠেকাতে এইভাবে নৌপুলিশ দায়িত্ব পালন করেছিল।
অভিযান চলাকালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে জাল ফেলে জাটকা ধরার অভিযোগে চলতি বছর নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২ হাজার ১৭২ জন জেলে। গত বছর তা ছিল এক হাজার ১৭১ জন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চলতি বছর আটক এক হাজার ৮০১ জন। গত বছর তা ছিল ৯৬৫ জন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর সংখ্যা এক হাজার ৭৭৯ জন। মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছর মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ৫ হাজার ৭৫২ জন। গত বছর তা ছিল ২ হাজার ৭০৪ জন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীপথে ইলিশ অভয়াশ্রমে জাটকা নিধন করতে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
নৌপুলিশের একজন কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কিলোমিটার নদীপথে নৌপুলিশ কাজ করছেন। এব নদী পথের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ কাজ করছেন। নিরাপত্তা ছাড়াও তারা তারা জাটকা ধরা ঠেকাতে পোশাকে ও সাদা পোশাকে কাজ করছেন। তাদের তৎপরতার কারণে জাটকা নিধন কিছুটা কমলেও অসাধু জেলেরা গোপনে মাছ ধরে বিক্রি করছে।
দেশে পেশাদার জেলের সংখ্যা অনেক হলেও অনুমোদিত জেলের সংখ্যা ১৭ লাখ। আর কিছু জেলে আছে তারা নানা কৌশলে নদীতে জাটকা ধরতে যায়। গোপনে খবর পাওয়া গেলে সেখানে ছুটে যান নৌপুলিশের টিম। নৌপুলিশের ক্রাইম এন্ড অপারেশন শাখার পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ সংবাদকে জানান, জাটকা প্রতিরোধে নদীপথে একের পর এক নৌপুলিশের অভিযানের কারণে জাটকা নিধন অনেকটা কমছে। এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
নৌপুলিশ প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলিম মাহমুদ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সংবাদকে জানান, নদী পথের নিরাপত্তায় কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।