সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে দেখা মিললো একদল শিক্ষার্থীর সবার গলায় ফুলের মালা। সবার মুখে স্লোগান, "ভুলে গিয়ে কোভিড দুঃখ, দেখা হবে প্রিয় মুখ"। একটু পর একসাথে মিলিত হয়ে কেক কাটলেন তারা।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় বন্ধু ও শিক্ষকদের সান্নিধ্যে ক্লাস করতে পারবো আমরা। করোনাকালীন দুঃসময় ভুলে যেতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
গত বছর ১৮ মার্চ ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাবার পর দীর্ঘ দেড় বছরের অধিক সময় পর আজ সোমবার থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে পরীক্ষা শরু করার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে। তবে কর্তপক্ষ জানায়, বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস চলমান থাকায় ক্লাসের সংখ্যা কিছুটা সীমিত। তবে ক্লাস শুরু হওয়ায় আনন্দিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ প্রশাসক ও ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য একটি ভালো লাগার বিষয়। যেটি অনলাইনে পাওয়া সম্ভব হয় না। আমার মনে হয় আমার মতো অন্যান্য শিক্ষরাও সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ায় আনন্দিত।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর, ফ্রেন্ডশিপ চত্বর, ঝাল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে শিক্ষার্থীদের জমায়েত লক্ষ করা যায়। দীর্ঘদিন পর মিলিত হতে পারায় তারা একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময়ে ব্যস্ত। কেউবা বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছেন আবার কেউবা গানের আসর বসিয়েছেন টঙ দোকানে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা জানান, "অনেকদিন পর সবাই ক্যাম্পাসে একত্রিত হলাম। করোনার ভয়াবহতা শেষে এমনদিন ফিরে পাবো ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, আমি নিজে ক্লাস নিয়েছি ও বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেছি। আসলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূর্ণতা পায় না। আজ থেকে ক্লাস শুরু হলো। আমরা চেষ্টা করবো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো পূরণ করতে।
সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে দেখা মিললো একদল শিক্ষার্থীর সবার গলায় ফুলের মালা। সবার মুখে স্লোগান, "ভুলে গিয়ে কোভিড দুঃখ, দেখা হবে প্রিয় মুখ"। একটু পর একসাথে মিলিত হয়ে কেক কাটলেন তারা।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় বন্ধু ও শিক্ষকদের সান্নিধ্যে ক্লাস করতে পারবো আমরা। করোনাকালীন দুঃসময় ভুলে যেতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
গত বছর ১৮ মার্চ ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাবার পর দীর্ঘ দেড় বছরের অধিক সময় পর আজ সোমবার থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে পরীক্ষা শরু করার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে। তবে কর্তপক্ষ জানায়, বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস চলমান থাকায় ক্লাসের সংখ্যা কিছুটা সীমিত। তবে ক্লাস শুরু হওয়ায় আনন্দিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ প্রশাসক ও ইসলামের ইতিহাস ও সংষ্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য একটি ভালো লাগার বিষয়। যেটি অনলাইনে পাওয়া সম্ভব হয় না। আমার মনে হয় আমার মতো অন্যান্য শিক্ষরাও সশরীরে ক্লাস শুরু হওয়ায় আনন্দিত।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর, ফ্রেন্ডশিপ চত্বর, ঝাল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে শিক্ষার্থীদের জমায়েত লক্ষ করা যায়। দীর্ঘদিন পর মিলিত হতে পারায় তারা একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময়ে ব্যস্ত। কেউবা বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছেন আবার কেউবা গানের আসর বসিয়েছেন টঙ দোকানে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা জানান, "অনেকদিন পর সবাই ক্যাম্পাসে একত্রিত হলাম। করোনার ভয়াবহতা শেষে এমনদিন ফিরে পাবো ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, আমি নিজে ক্লাস নিয়েছি ও বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষ ঘুরে দেখেছি। আসলে শিক্ষার্থীদের ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূর্ণতা পায় না। আজ থেকে ক্লাস শুরু হলো। আমরা চেষ্টা করবো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো পূরণ করতে।