তেহরানে বুধবার ইসরায়েলি হামলায় ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার রাতভর এই হামলা চলে বলে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু।
একই সঙ্গে ইরান থেকে ছোড়া দুটি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। একটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে উত্তর ইসরায়েলে এবং আরেকটি জর্ডান উপত্যকায়, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে তারা।
ইরান-ইসরায়েল টানা ছয় দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত। ইসরায়েলের দাবি, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। বিপরীতে, ইরানি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে প্রাণ গেছে অন্তত ৫৮৫ জনের, আহত হয়েছেন আরও ১,৩০০ জনের বেশি।
এই পরিস্থিতিতে সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। ইতোমধ্যেই মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে অঞ্চলটিতে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা। গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি থেকে অন্তত ৩০টি সামরিক ট্যাংকার বিমান ইউরোপে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে রওনা দিয়ে ইউএসএস নিমিৎজ নামের উড়োজাহাজবাহী রণতরী বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজগুলো ইসরায়েলকে সরাসরি সহযোগিতা করছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে।
এফ-১৬, এফ-২২ ও এফ-৩৫ ধরনের যুদ্ধবিমানও ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে সরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্ব রাজনীতিতে এই উত্তেজনা ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “এই সংঘাত বাড়তে থাকলে তা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”
তেহরানে বুধবার ইসরায়েলি হামলায় ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার রাতভর এই হামলা চলে বলে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুলু।
একই সঙ্গে ইরান থেকে ছোড়া দুটি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েল। একটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে উত্তর ইসরায়েলে এবং আরেকটি জর্ডান উপত্যকায়, এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে তারা।
ইরান-ইসরায়েল টানা ছয় দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত। ইসরায়েলের দাবি, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের অন্তত ২৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। বিপরীতে, ইরানি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে প্রাণ গেছে অন্তত ৫৮৫ জনের, আহত হয়েছেন আরও ১,৩০০ জনের বেশি।
এই পরিস্থিতিতে সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। ইতোমধ্যেই মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সূত্র বলছে, বর্তমানে অঞ্চলটিতে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা। গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি থেকে অন্তত ৩০টি সামরিক ট্যাংকার বিমান ইউরোপে পাঠানো হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে রওনা দিয়ে ইউএসএস নিমিৎজ নামের উড়োজাহাজবাহী রণতরী বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ ছাড়া পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরে মোতায়েন যুদ্ধজাহাজগুলো ইসরায়েলকে সরাসরি সহযোগিতা করছে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে।
এফ-১৬, এফ-২২ ও এফ-৩৫ ধরনের যুদ্ধবিমানও ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে সরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্ব রাজনীতিতে এই উত্তেজনা ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, “এই সংঘাত বাড়তে থাকলে তা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।”