আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিকভাবে মামলা পরিচালনার জন্য ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বের তিনটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান মামলা পরিচালনায় তহবিল সহায়তা দিয়ে থাকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে অর্থ পাচার রোধ এবং পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সম্পদ উদ্ধার টাস্কফোর্সের প্রধান আহসান এইচ মনসুর। ওই সফরে তিনি এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস থেকে বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “লন্ডনে গভর্নর বিশ্বের তিনটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যারা পাচার অর্থ উদ্ধারে আইনি সহায়তা, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা এবং মামলা চালাতে অর্থায়ন করে থাকে। তারা বাংলাদেশে ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদি যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়। গভর্নর তাদের বাংলাদেশে এসে মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”
প্রেস অফিসের তথ্যে বলা হয়, ১৬ বছরের শাসনামলে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতায় ব্যাংক খাত ও সরকারি দুর্নীতির মাধ্যমে যেসব অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, তারই তদন্ত ও উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার।
এ বিষয়ে ১০ মার্চ এক পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সংস্থাকে গন্তব্য দেশগুলোতে কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দেন।
পাচার অর্থ উদ্ধারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর সমন্বয়ে কাজ চলছে।
তদন্তের আওতায় রয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা, পাশাপাশি বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, এস আলম, জেমকন, নাবিল, নাসা, ওরিয়ন, সিকদার, আরামিট ও সামিট গ্রুপসহ ১০টি শিল্পগোষ্ঠী।
১৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত লন্ডন সফরকালে গভর্নর অংশ নেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আয়োজিত কর্মশালায়। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের এমপি, সাবেক মন্ত্রী, প্রবাসী বাংলাদেশি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন।
এক সেমিনারে আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সম্পদ পুনরুদ্ধার কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বও। বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সম্পদ পাচারের ঘটনাগুলোর মুখোমুখি হয়েছে। এজন্য আইনি সংস্থা ও ফরেনসিক তদন্তকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দরকার।”
তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর)-এর সহায়তায় এপ্রিলের মধ্যেই একটি ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ চূড়ান্ত করা হবে, যাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়।
বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাজ্যের সাবেক বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চক বলেন, “জিটুজি সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশ লন্ডনের আইনজীবী ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সহায়তা নিয়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে।”
লন্ডনে অবস্থানকালে গভর্নর আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও ডেইলি মেইলসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। একইসঙ্গে দুটি কৌশলগত যোগাযোগ সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করেন কীভাবে এই প্রচেষ্টা আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করা যায়।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে আন্তর্জাতিকভাবে মামলা পরিচালনার জন্য ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্বের তিনটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান মামলা পরিচালনায় তহবিল সহায়তা দিয়ে থাকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে অর্থ পাচার রোধ এবং পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও সম্পদ উদ্ধার টাস্কফোর্সের প্রধান আহসান এইচ মনসুর। ওই সফরে তিনি এসব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস থেকে বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “লন্ডনে গভর্নর বিশ্বের তিনটি বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যারা পাচার অর্থ উদ্ধারে আইনি সহায়তা, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা এবং মামলা চালাতে অর্থায়ন করে থাকে। তারা বাংলাদেশে ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যদি যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়। গভর্নর তাদের বাংলাদেশে এসে মামলাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”
প্রেস অফিসের তথ্যে বলা হয়, ১৬ বছরের শাসনামলে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতায় ব্যাংক খাত ও সরকারি দুর্নীতির মাধ্যমে যেসব অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, তারই তদন্ত ও উদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার।
এ বিষয়ে ১০ মার্চ এক পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সংস্থাকে গন্তব্য দেশগুলোতে কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দেন।
পাচার অর্থ উদ্ধারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর সমন্বয়ে কাজ চলছে।
তদন্তের আওতায় রয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা, পাশাপাশি বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, এস আলম, জেমকন, নাবিল, নাসা, ওরিয়ন, সিকদার, আরামিট ও সামিট গ্রুপসহ ১০টি শিল্পগোষ্ঠী।
১৭ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত লন্ডন সফরকালে গভর্নর অংশ নেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আয়োজিত কর্মশালায়। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের এমপি, সাবেক মন্ত্রী, প্রবাসী বাংলাদেশি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন।
এক সেমিনারে আহসান এইচ মনসুর বলেন, “সম্পদ পুনরুদ্ধার কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক দায়িত্বও। বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সম্পদ পাচারের ঘটনাগুলোর মুখোমুখি হয়েছে। এজন্য আইনি সংস্থা ও ফরেনসিক তদন্তকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দরকার।”
তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংক ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর)-এর সহায়তায় এপ্রিলের মধ্যেই একটি ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ চূড়ান্ত করা হবে, যাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়।
বৈঠকে উপস্থিত যুক্তরাজ্যের সাবেক বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চক বলেন, “জিটুজি সহযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশ লন্ডনের আইনজীবী ও তদন্ত সংস্থাগুলোর সহায়তা নিয়ে অনেকটা এগিয়ে যেতে পারে।”
লন্ডনে অবস্থানকালে গভর্নর আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও ডেইলি মেইলসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। একইসঙ্গে দুটি কৌশলগত যোগাযোগ সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করেন কীভাবে এই প্রচেষ্টা আরও কার্যকরভাবে উপস্থাপন করা যায়।