সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের’ মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে।
৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দের ঘটনায় দুর্নীতির পৃথক ছয় মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের ১৫ দিন পর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তিন ধাপে সেগুলোর শুনানি শুরু হচ্ছে।
শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে। গত ২৪ মার্চ আদালতে এসব মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
তাদের সঙ্গে রাজউক ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৬ কর্মকর্তাও আসামি। মামলাগুলোর মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি, ১৩ এপ্রিল তিনটি ও ১৫ এপ্রিল দুটি মামলার অভিযোগপত্র শুনানির জন্য আদালতে তোলা হবে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে সেগুলো গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। অভিযোগপত্র গৃহীত হলে আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
১০ এপ্রিল আদালতে শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগপত্র তোলা হবে। এই মামলায় আসামি ১৬ জন।
১৩ এপ্রিল তোলা হবে আরও দুই মামলার অভিযোগপত্র। এর একটিতে আসামি শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জন। অন্যটিতে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন। সেদিনই আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র তোলা হবে, যাতে আসামি আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনা; মোট আসামি ১৬ জন।
১৫ এপ্রিল আদালতে তোলা হবে শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র। একই দিনে তোলা হবে ছয়টি মামলার শেষ অভিযোগপত্র, যেখানে আসামি শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জন।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, এসব মামলায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ মার্চ ছয় মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের সাতজনসহ ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর তিনি বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিদেশে অবস্থান করছেন।
প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলার মধ্যে ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এর আগে ১২ জানুয়ারি সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা এবং ১৩ জানুয়ারি শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব ও আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এসব মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্বাচল প্রকল্পে কূটনৈতিক এলাকার ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তায় প্লট বরাদ্দ নেওয়ার সময় নিজেদের অন্য বাড়ি বা আবাসনের তথ্য গোপন করে আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা দপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে এসব বরাদ্দ নিশ্চিত করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক তার মা, ভাই ও বোনের প্লট নিশ্চিতে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ করেন এবং শেখ হাসিনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শেখ হাসিনার পরিবারের ছয় সদস্যের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়। একই সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের সব প্লট বরাদ্দের অনিয়ম তদন্ত করতেও বলা হয়।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের’ মাধ্যমে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে।
৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দের ঘটনায় দুর্নীতির পৃথক ছয় মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের ১৫ দিন পর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তিন ধাপে সেগুলোর শুনানি শুরু হচ্ছে।
শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে। গত ২৪ মার্চ আদালতে এসব মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী ও ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
তাদের সঙ্গে রাজউক ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৬ কর্মকর্তাও আসামি। মামলাগুলোর মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি, ১৩ এপ্রিল তিনটি ও ১৫ এপ্রিল দুটি মামলার অভিযোগপত্র শুনানির জন্য আদালতে তোলা হবে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে সেগুলো গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়। অভিযোগপত্র গৃহীত হলে আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
১০ এপ্রিল আদালতে শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগপত্র তোলা হবে। এই মামলায় আসামি ১৬ জন।
১৩ এপ্রিল তোলা হবে আরও দুই মামলার অভিযোগপত্র। এর একটিতে আসামি শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জন। অন্যটিতে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন। সেদিনই আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র তোলা হবে, যাতে আসামি আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনা; মোট আসামি ১৬ জন।
১৫ এপ্রিল আদালতে তোলা হবে শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র। একই দিনে তোলা হবে ছয়টি মামলার শেষ অভিযোগপত্র, যেখানে আসামি শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জন।
দুদকের মহাপরিচালক জানান, এসব মামলায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ মার্চ ছয় মামলায় শেখ হাসিনার পরিবারের সাতজনসহ ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এরপর তিনি বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিদেশে অবস্থান করছেন।
প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলার মধ্যে ১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এর আগে ১২ জানুয়ারি সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা এবং ১৩ জানুয়ারি শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব ও আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এসব মামলায় অভিযোগ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্বাচল প্রকল্পে কূটনৈতিক এলাকার ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তায় প্লট বরাদ্দ নেওয়ার সময় নিজেদের অন্য বাড়ি বা আবাসনের তথ্য গোপন করে আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা দপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে এসব বরাদ্দ নিশ্চিত করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক তার মা, ভাই ও বোনের প্লট নিশ্চিতে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ করেন এবং শেখ হাসিনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শেখ হাসিনার পরিবারের ছয় সদস্যের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের অনিয়ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়। একই সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের সব প্লট বরাদ্দের অনিয়ম তদন্ত করতেও বলা হয়।