বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আয়োজনে ঢাকাবাসীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। তবে এবার সেই নাম থাকছে না। পরিবর্তে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
পহেলা বৈশাখের ঠিক তিনদিন আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিন আজহারুল ইসলাম জানান, এবারের শোভাযাত্রা হবে সকলের অংশগ্রহণে একটি আনন্দময় উৎসব।
এই নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্য করলেও বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছিল। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ফারুকী বলেছিলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি থাকবে কি না, তা চূড়ান্ত করেনি কেউ। তবে এর আগেই চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।
অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে যে শোভাযাত্রার সূচনা হয়, সেটিই পরবর্তীতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিতি পায়। ২০১৬ সালে এই আয়োজনটি ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে।
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
আয়োজকরা বলছেন, এই প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হবে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অতীতে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই বার্তা পুনরায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে—স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি, একটি বড় ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্পীদের কাঠের বাঘ এবং শান্তির প্রতীক পায়রা। দৈত্যাকৃতির ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতির উচ্চতা হবে প্রায় ২০ ফুট, আর অন্যান্য মোটিফের উচ্চতা হবে ১৬ ফুট।
এছাড়া মীর মুগ্ধের স্মরণে একটি পানির বোতলের প্রতিকৃতিও শোভাযাত্রায় যুক্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রস্তুতি চলছে শেষ পর্যায়ে। তৈরি হচ্ছে হাতি, বাঘ, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ। চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শখের হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল, পাখি, লতাপাতা দিয়ে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে দেয়াল।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
বাংলা নববর্ষের বর্ষবরণ আয়োজনে ঢাকাবাসীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। তবে এবার সেই নাম থাকছে না। পরিবর্তে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
পহেলা বৈশাখের ঠিক তিনদিন আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে এই শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। শুক্রবার সকালে চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিন আজহারুল ইসলাম জানান, এবারের শোভাযাত্রা হবে সকলের অংশগ্রহণে একটি আনন্দময় উৎসব।
এই নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত অবশ্য আগেই পাওয়া গিয়েছিল। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে নাম পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্য করলেও বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছিল। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নাম রাখার সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ফারুকী বলেছিলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি থাকবে কি না, তা চূড়ান্ত করেনি কেউ। তবে এর আগেই চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, বিভিন্ন কমিটি ও উপকমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্তেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।
অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী, ১৯৮০-এর দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে যে শোভাযাত্রার সূচনা হয়, সেটিই পরবর্তীতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিতি পায়। ২০১৬ সালে এই আয়োজনটি ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে।
এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
আয়োজকরা বলছেন, এই প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হবে বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অতীতে যে ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানানো হয়েছে, সেই বার্তা পুনরায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
শোভাযাত্রার মোটিফের মধ্যে থাকছে—স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি, একটি বড় ইলিশ মাছ, সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্পীদের কাঠের বাঘ এবং শান্তির প্রতীক পায়রা। দৈত্যাকৃতির ফ্যাসিস্ট প্রতিকৃতির উচ্চতা হবে প্রায় ২০ ফুট, আর অন্যান্য মোটিফের উচ্চতা হবে ১৬ ফুট।
এছাড়া মীর মুগ্ধের স্মরণে একটি পানির বোতলের প্রতিকৃতিও শোভাযাত্রায় যুক্ত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রস্তুতি চলছে শেষ পর্যায়ে। তৈরি হচ্ছে হাতি, বাঘ, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ। চারুকলার সীমানা প্রাচীর সাজানো হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শখের হাঁড়ির নকশা দিয়ে। ফুল, পাখি, লতাপাতা দিয়ে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে দেয়াল।