বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেয়া দিয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের সমাগ্রিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। মানুষের মৃত্যুও অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে এই মুহুর্তেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলা এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে লোকচলাচল সম্পূর্ন বন্ধ করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী আরোপ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
সম্প্রতি ভারতে করোনার একাধিক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সংক্রমন এবং মৃত্যু আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক সৃষ্টি হয়েছে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমিত করে এবং তাতে আক্রান্তরা দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে ভারত থেকে খবর পাওয়া যায়। অক্টোবরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের সময় ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। এখন বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে করোনার ভারতীয় ধরনটির সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা করছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পরার খবর জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৮ মে ভারত থেকে ফিরে আসা দুই বাংলাদেশির শরীরে প্রথম করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। আরও চারজনের নমুনার সঙ্গে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের মিল পাওয়া গেছে। তবে শনাক্ত হওয়া ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দুটি অধিক সংক্রামক বা প্রাণঘাতী নয় বলেও মনে করছেন অণুজীব বিজ্ঞানীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এদিকে বাংলাদেশে যাতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এই সিন্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। গতকাল সরকার সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪দিন বাড়িয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ভারতে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন।
এখন বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং এটা প্রতিরোধের জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন এ ব্যাপারে সংবাদ কথা বলেছে তিনজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধ করতে এই মুহুতেই সরকারকে কঠোর অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে তবে গভীর সংকট তৈরি হবে। পুরো পরিস্থিতি চরম বিপদজনক হয়ে পড়বে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়তে পারে। সে অবস্থা যাতে না হয় সেজন্য আমাদের কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে হবে। প্রথমত: করোনার জন্য যে স্বাস্থবিধি জারী করা হয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সরকারের জারী করা স্বাস্থ্যবিধিতে অবশ্য পালনীয় সব নিয়ম মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব বলা আছে। একই সঙ্গে ভারত থেকে কারো বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। তবেই সম্ভব হয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পাওয়া।’
ডা. বেনজির আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে এটা অত্যন্ত আশংকার বিষয়। ভারতে এ করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রমন এবং প্রানঘাতি হয়েছে। সে অবস্থা আমাদের দেশেও হতে পারে। যদি বাংলাদেশে ভারতের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় তবে তা চরম বিপদ ডেকে আনবে, আমাদের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবেনা।’
‘এখন আমাদের যে কাজটি অত্যন্ত দ্রুত এবং সঠিকভাবে করতে হবে তা হলো, ভারতের সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া, যা ইতিমধ্যে করা হয়েছে। কিন্তু তা কতটা ঠিকভাবে হচ্ছে তা মনিটর করতে হবে। কোন ভাবেই কেউ যাতে ঢুকতে না পারে এবং কোন কারনে কেউ ঢুকলে তাকে অবশ্যই ১৪দিন আইসোলেশনের রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। এতে কোন শৈথিল্য দেখানো যাবেনা। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ভারত থেকে গোপনে লোক চলাচল হতে পারে সেসব এলাকায় কঠোর লকডাউন জারী করতে হবে।’
‘অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা, আইসিউ এবং অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে আক্রান্তকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়। তার চেয়ে বড় কথা দেশের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করার মনসিকতা সৃষ্টি করতে হবে,’ সতর্ক করেন ডা. বেনজির।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত ছড়ায় এবং বেশী প্রানঘাতি। যদি সে ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে তবে চরম বিপদ নেমে আসবে। সেটা সামাল দেয়া আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামাল দেয়া সম্ভব নয় বলেই সবাই মনে করেন। ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার চেষ্টা একদিকে সরকার অন্যদিকে দেশের মানুষকে ঐকবদ্ধভাবে চেষ্টা করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।’
‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এর উত্তর হচ্ছে , আমাদের অবশ্যই ভারত থেকে লোকজনের আসা বন্ধ করতে হবে। যেসব এলাকায় ভারত থেকে লোজনের আসা-যাওয়া বেশী সেসব এলাকায় জরিপ করতে হবে। কোন রোগী পাওয়া গেলে সম্পূর্ন লকডাউন করতে হবে। অন্যদিতে দেশের সব মানুষকে টিকা দেয়া এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তবেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতে পারে,’ বলেন ডা. লেলিন।
রোববার, ০৯ মে ২০২১
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকল মহলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেয়া দিয়েছে। এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের সমাগ্রিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। মানুষের মৃত্যুও অস্বাভাবিক বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে এই মুহুর্তেই স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলা এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে লোকচলাচল সম্পূর্ন বন্ধ করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারী আরোপ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানান।
সম্প্রতি ভারতে করোনার একাধিক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সংক্রমন এবং মৃত্যু আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক সৃষ্টি হয়েছে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমিত করে এবং তাতে আক্রান্তরা দ্রুত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে ভারত থেকে খবর পাওয়া যায়। অক্টোবরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের সময় ভারতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। এখন বিশ্বের অন্তত ১৮টি দেশে করোনার ভারতীয় ধরনটির সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বাংলাদেশেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরার আশংকা করছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পরার খবর জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৮ মে ভারত থেকে ফিরে আসা দুই বাংলাদেশির শরীরে প্রথম করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। আরও চারজনের নমুনার সঙ্গে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের মিল পাওয়া গেছে। তবে শনাক্ত হওয়া ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দুটি অধিক সংক্রামক বা প্রাণঘাতী নয় বলেও মনে করছেন অণুজীব বিজ্ঞানীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এদিকে বাংলাদেশে যাতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সব সীমান্ত ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল থেকে এই সিন্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। গতকাল সরকার সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪দিন বাড়িয়েছে। তবে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ভারতে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন।
এখন বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে কতটা বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং এটা প্রতিরোধের জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন এ ব্যাপারে সংবাদ কথা বলেছে তিনজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে। তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধ করতে এই মুহুতেই সরকারকে কঠোর অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যদি বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে তবে গভীর সংকট তৈরি হবে। পুরো পরিস্থিতি চরম বিপদজনক হয়ে পড়বে। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়তে পারে। সে অবস্থা যাতে না হয় সেজন্য আমাদের কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে হবে। প্রথমত: করোনার জন্য যে স্বাস্থবিধি জারী করা হয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সরকারের জারী করা স্বাস্থ্যবিধিতে অবশ্য পালনীয় সব নিয়ম মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সব বলা আছে। একই সঙ্গে ভারত থেকে কারো বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। তবেই সম্ভব হয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পাওয়া।’
ডা. বেনজির আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে এটা অত্যন্ত আশংকার বিষয়। ভারতে এ করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রমন এবং প্রানঘাতি হয়েছে। সে অবস্থা আমাদের দেশেও হতে পারে। যদি বাংলাদেশে ভারতের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় তবে তা চরম বিপদ ডেকে আনবে, আমাদের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবেনা।’
‘এখন আমাদের যে কাজটি অত্যন্ত দ্রুত এবং সঠিকভাবে করতে হবে তা হলো, ভারতের সঙ্গে সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া, যা ইতিমধ্যে করা হয়েছে। কিন্তু তা কতটা ঠিকভাবে হচ্ছে তা মনিটর করতে হবে। কোন ভাবেই কেউ যাতে ঢুকতে না পারে এবং কোন কারনে কেউ ঢুকলে তাকে অবশ্যই ১৪দিন আইসোলেশনের রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। এতে কোন শৈথিল্য দেখানো যাবেনা। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ভারত থেকে গোপনে লোক চলাচল হতে পারে সেসব এলাকায় কঠোর লকডাউন জারী করতে হবে।’
‘অন্যদিকে হাসপাতালে চিকিৎসার সব ব্যবস্থা, আইসিউ এবং অক্সিজেন প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে আক্রান্তকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়। তার চেয়ে বড় কথা দেশের স্বার্থে, নিজের স্বার্থে পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পালন করার মনসিকতা সৃষ্টি করতে হবে,’ সতর্ক করেন ডা. বেনজির।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত ছড়ায় এবং বেশী প্রানঘাতি। যদি সে ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে তবে চরম বিপদ নেমে আসবে। সেটা সামাল দেয়া আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামাল দেয়া সম্ভব নয় বলেই সবাই মনে করেন। ফলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার চেষ্টা একদিকে সরকার অন্যদিকে দেশের মানুষকে ঐকবদ্ধভাবে চেষ্টা করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।’
‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এর উত্তর হচ্ছে , আমাদের অবশ্যই ভারত থেকে লোকজনের আসা বন্ধ করতে হবে। যেসব এলাকায় ভারত থেকে লোজনের আসা-যাওয়া বেশী সেসব এলাকায় জরিপ করতে হবে। কোন রোগী পাওয়া গেলে সম্পূর্ন লকডাউন করতে হবে। অন্যদিতে দেশের সব মানুষকে টিকা দেয়া এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তবেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতে পারে,’ বলেন ডা. লেলিন।