মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন পুরান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমর্থকদের উদ্দেশে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
গত এক দশকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার, পাশাপাশি অধিনায়কত্বও করেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও শুরুটা ভালো ছিল না। তবে ২০১৮ সালে ফেরার পর নিজেকে মেলে ধরেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০৬ ম্যাচে ২,২৭৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে অবসর নেন তিনি। এ ফরম্যাটে তার স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৯, ফিফটি ১৩টি, ছক্কা ১৪৯টি।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ৬১ ম্যাচে তার রান ১,৯৮৩, গড় ৩৯.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১০০। আছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ১১টি অর্ধশতক।
মূলত উইকেটরক্ষক হলেও ব্যাটিংয়ে ছিলেন দলের অন্যতম স্তম্ভ। বল হাতেও ওয়ানডেতে ৬ উইকেট আছে তার ঝুলিতে।
টেস্ট ফরম্যাটে কখনও নাম লেখাননি পুরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ।
অবসরবার্তায় আবেগঘন ভাষায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতি ভালোবাসা জানান তিনি। লেখেন, "অনেক চিন্তা ও ভাবনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই খেলাটি আমাকে আনন্দ, অনুপ্রেরণা ও অসংখ্য স্মৃতি দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জীবনের অন্যতম বড় গর্ব।"
তিনি আরও বলেন, "যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কখনোই ফুরোবে না। দলটির প্রতি সবসময় শুভকামনা থাকবে।"
পুরানের অবসরের ঘোষণা এমন সময় এলো যখন মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন আরও দুই তারকা— গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
তবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে যেভাবে আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভোরা অবসর ভেঙে ফিরেছেন, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে বড় আসর বা বিশ্বকাপে পুরানকে ফিরতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন পুরান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমর্থকদের উদ্দেশে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান এই বাঁহাতি ব্যাটার।
গত এক দশকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। ছিলেন দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার, পাশাপাশি অধিনায়কত্বও করেছেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও শুরুটা ভালো ছিল না। তবে ২০১৮ সালে ফেরার পর নিজেকে মেলে ধরেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০৬ ম্যাচে ২,২৭৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হয়ে অবসর নেন তিনি। এ ফরম্যাটে তার স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৯, ফিফটি ১৩টি, ছক্কা ১৪৯টি।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ৬১ ম্যাচে তার রান ১,৯৮৩, গড় ৩৯.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১০০। আছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ১১টি অর্ধশতক।
মূলত উইকেটরক্ষক হলেও ব্যাটিংয়ে ছিলেন দলের অন্যতম স্তম্ভ। বল হাতেও ওয়ানডেতে ৬ উইকেট আছে তার ঝুলিতে।
টেস্ট ফরম্যাটে কখনও নাম লেখাননি পুরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন মাত্র ৫টি ম্যাচ।
অবসরবার্তায় আবেগঘন ভাষায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতি ভালোবাসা জানান তিনি। লেখেন, "অনেক চিন্তা ও ভাবনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই খেলাটি আমাকে আনন্দ, অনুপ্রেরণা ও অসংখ্য স্মৃতি দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জীবনের অন্যতম বড় গর্ব।"
তিনি আরও বলেন, "যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কখনোই ফুরোবে না। দলটির প্রতি সবসময় শুভকামনা থাকবে।"
পুরানের অবসরের ঘোষণা এমন সময় এলো যখন মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন আরও দুই তারকা— গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
তবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে যেভাবে আন্দ্রে রাসেল, ডোয়াইন ব্রাভোরা অবসর ভেঙে ফিরেছেন, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে বড় আসর বা বিশ্বকাপে পুরানকে ফিরতে দেখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।