alt

মুক্ত আলোচনা

নিরাপদ হোক এ পৃথিবী

রুকাইয়া মিজান মিমি

: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

এ মহাবিশ্ব জুড়ে শুধু পৃথিবী নামক গ্রহটিতেই জীবের অস্তিত্ব বিরাজমান। এবং সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ আজ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবাধ বিচরণে পৃথিবীকে জয় করেছে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের এই প্রভাবে আজ পৃথিবী তার ভারসাম্য হারাতে বসেছে। আর পৃথিবীকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে ও নিরাপদ রাখতেই ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালন করা হয়।

১৯৬৯ সালে সান্তা বারবারায় তেল উপচে পড়া থেকে সৃষ্ট ধোঁয়াশা ও নদী দূষণকে কেন্দ্র করে ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো ধরিত্রী দিবস পালন করা হয়। ওই সময় ২০ বিলিয়ন মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। সেই থেকে প্রতিবছর এ দিনটি উদযাপন করা হয়। এবং বর্তমানে এই দিনটি আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপী ১৯৩টিরও অধিক দেশে সমন্বিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনেক দেশ এ দিনটিকে সরকারি দিবস হিসেবেও পালন করে। এ দিনে গৃহীত হয় পৃথিবীতে দূষণ মুক্ত ও সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা। ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তিতে ২০০টি দেশ বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য ধরিত্রী দিবস চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ দিনটির তাৎপর্য খুব বেশি। ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত নগরায়ন, অধিক মাত্রায় গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ, মাটিতে অপরিশুদ্ধ বর্জ্য নিষ্কাশনসহ নানা কারণে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। যার ফলে বেড়ে গেছে পরিবেশ দূষণের প্রভাব। এতে করে যেমন জীব-বৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে তেমনি মানুষ্যকুলেও ঘটছে চরম বিপর্যয়। আর বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ প্রভাবের হার অনেক বেশি। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর যত মানুষ মারা যায় তার ২৮ শতাংশ পরিবেশ দূষণের প্রভাবে। যেখানে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে সারা বিশ্বে গড়ে ১৬ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ২০১৫ এর এক পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছে- বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের দূষণ অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে, ফলে বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই দূষণের কারণে।

সত্যিই এ দেশের শহর গুলোতে বেড়ে গেছে অতিমাত্রায় শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ। শব্দদূষণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। এছাড়া বিশ্ব বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২০ অনুসারে ঢাকা বায়ুদূষণে শীর্ষে শহর হিসেবে গণ্য হয়েছে। এর স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এতে ফুসফুস ও শ্বাসনালি তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বায়ুদূষণ প্রভাবিত করছে মেধাকেও। মাটিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহারে প্রাকৃতিক গুণাগুণ হারিয়ে ফেলেছে মাটি। উৎপাদিত ফসলে প্রোটিন, ভিটামিন বি ও পুষ্টিমান কমে আসছে। এর প্রভাব পড়ছে ঋতু-বৈচিত্র্যেও। সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি ও দুর্যোগগুলোই বলে দিচ্ছে ছয়টি ঋতু আর ক্রমাগত আবর্তিত হয় না।

এছাড়া গ্রিন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধির ফলে পৃথিবী তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা বিপর্যয়কর অবস্থায় উপনীত হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রমতে, তাপমাত্রা বাড়লে উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে। ঠিক তাই হচ্ছে। মেরু অঞ্চল ও পর্বতচূড়ার বরফ গলে যাওয়ায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১১ থেকে ৩৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো নিম্নাঞ্চলের দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রভাব সৃষ্টি হবে। এতে এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সমুদ্র পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে করে এক থেকে তিন কোটি মানুষকে অন্যত্র সরাতে হবে যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে নাসার গবেষণা বলছে- আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে করে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের বাসস্থান স্থানান্তরের খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে লবণাক্ত পানির প্রভাবে ওইসব এলাকার জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হয়ে যাবে। ফলে বাস্তুতন্ত্রে এক ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে।

এসব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও জাতীয়ভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মাঝে রাস্তার দুই ধারে গাছ লাগানোর প্রকল্পটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একমাত্র বৃক্ষই পারে পরিবেশ থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে আমাদের রক্ষা করতে। তবে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বৃক্ষরোপণ অভিযান সম্প্রসারণ চোখে পড়ছে না। করোনা মহামারীর প্রভাবে গত বছর থেকে এই ধরিত্রী দিবসের কার্যক্রমগুলোও পৃথিবীব্যাপী থমকে গেছে। তথাপিও সব দেশের সরকার ও জনগণকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে, পৃথিবীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে পারে, নিরাপদ রাখতে পারে এ ধরণীকে। সবার মাঝে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার সেই দুটো লাইনের প্রত্যয়, ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’, জাগিয়ে তুলতে হবে। তবেই সুন্দর হবে আমাদের পৃথিবী, সার্থক হবে ধরিত্রী দিবসকে ঘিরে সব কার্যক্রম।

[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

নিরাপদ হোক এ পৃথিবী

রুকাইয়া মিজান মিমি

বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

এ মহাবিশ্ব জুড়ে শুধু পৃথিবী নামক গ্রহটিতেই জীবের অস্তিত্ব বিরাজমান। এবং সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ আজ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবাধ বিচরণে পৃথিবীকে জয় করেছে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের এই প্রভাবে আজ পৃথিবী তার ভারসাম্য হারাতে বসেছে। আর পৃথিবীকে তার ভারসাম্য ফিরিয়ে দিতে ও নিরাপদ রাখতেই ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালন করা হয়।

১৯৬৯ সালে সান্তা বারবারায় তেল উপচে পড়া থেকে সৃষ্ট ধোঁয়াশা ও নদী দূষণকে কেন্দ্র করে ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো ধরিত্রী দিবস পালন করা হয়। ওই সময় ২০ বিলিয়ন মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। সেই থেকে প্রতিবছর এ দিনটি উদযাপন করা হয়। এবং বর্তমানে এই দিনটি আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপী ১৯৩টিরও অধিক দেশে সমন্বিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনেক দেশ এ দিনটিকে সরকারি দিবস হিসেবেও পালন করে। এ দিনে গৃহীত হয় পৃথিবীতে দূষণ মুক্ত ও সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা। ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তিতে ২০০টি দেশ বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য ধরিত্রী দিবস চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ দিনটির তাৎপর্য খুব বেশি। ক্রমবর্ধমান অপরিকল্পিত নগরায়ন, অধিক মাত্রায় গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ, মাটিতে অপরিশুদ্ধ বর্জ্য নিষ্কাশনসহ নানা কারণে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। যার ফলে বেড়ে গেছে পরিবেশ দূষণের প্রভাব। এতে করে যেমন জীব-বৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে তেমনি মানুষ্যকুলেও ঘটছে চরম বিপর্যয়। আর বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ প্রভাবের হার অনেক বেশি। বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর যত মানুষ মারা যায় তার ২৮ শতাংশ পরিবেশ দূষণের প্রভাবে। যেখানে পরিবেশ দূষণজনিত কারণে সারা বিশ্বে গড়ে ১৬ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ২০১৫ এর এক পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছে- বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের দূষণ অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে, ফলে বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই দূষণের কারণে।

সত্যিই এ দেশের শহর গুলোতে বেড়ে গেছে অতিমাত্রায় শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ। শব্দদূষণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। এছাড়া বিশ্ব বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২০ অনুসারে ঢাকা বায়ুদূষণে শীর্ষে শহর হিসেবে গণ্য হয়েছে। এর স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছে, এতে ফুসফুস ও শ্বাসনালি তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বায়ুদূষণ প্রভাবিত করছে মেধাকেও। মাটিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহারে প্রাকৃতিক গুণাগুণ হারিয়ে ফেলেছে মাটি। উৎপাদিত ফসলে প্রোটিন, ভিটামিন বি ও পুষ্টিমান কমে আসছে। এর প্রভাব পড়ছে ঋতু-বৈচিত্র্যেও। সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি ও দুর্যোগগুলোই বলে দিচ্ছে ছয়টি ঋতু আর ক্রমাগত আবর্তিত হয় না।

এছাড়া গ্রিন হাউজ গ্যাস বৃদ্ধির ফলে পৃথিবী তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর তাপমাত্রা বিপর্যয়কর অবস্থায় উপনীত হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রমতে, তাপমাত্রা বাড়লে উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে। ঠিক তাই হচ্ছে। মেরু অঞ্চল ও পর্বতচূড়ার বরফ গলে যাওয়ায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১১ থেকে ৩৮ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো নিম্নাঞ্চলের দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রভাব সৃষ্টি হবে। এতে এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সমুদ্র পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে করে এক থেকে তিন কোটি মানুষকে অন্যত্র সরাতে হবে যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে নাসার গবেষণা বলছে- আগামী ১০০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে করে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের বাসস্থান স্থানান্তরের খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে লবণাক্ত পানির প্রভাবে ওইসব এলাকার জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হয়ে যাবে। ফলে বাস্তুতন্ত্রে এক ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে।

এসব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারও জাতীয়ভাবে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মাঝে রাস্তার দুই ধারে গাছ লাগানোর প্রকল্পটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একমাত্র বৃক্ষই পারে পরিবেশ থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা শোষণ করে আমাদের রক্ষা করতে। তবে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বৃক্ষরোপণ অভিযান সম্প্রসারণ চোখে পড়ছে না। করোনা মহামারীর প্রভাবে গত বছর থেকে এই ধরিত্রী দিবসের কার্যক্রমগুলোও পৃথিবীব্যাপী থমকে গেছে। তথাপিও সব দেশের সরকার ও জনগণকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে, পৃথিবীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে পারে, নিরাপদ রাখতে পারে এ ধরণীকে। সবার মাঝে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতার সেই দুটো লাইনের প্রত্যয়, ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’, জাগিয়ে তুলতে হবে। তবেই সুন্দর হবে আমাদের পৃথিবী, সার্থক হবে ধরিত্রী দিবসকে ঘিরে সব কার্যক্রম।

[ লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ]

back to top