alt

মুক্ত আলোচনা

করোনাকালে নিরাপদ মাতৃত্ব

আব্দুল আলীম

: সোমবার, ২১ জুন ২০২১

জোছনা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। সন্তান ধরনের তিন মাস পর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে চেকআপ করতে যান। স্বাস্থ্যকর্মী পরীক্ষা করে খাবার ও বিশ্রামের নিয়ম জানিয়ে দেন। গর্ভধারনের পুরো সময় স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ও নির্দেশনা মতো চলছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় জোছনা খাতুন স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। নিয়মিত চেকআপ এবং স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মেনে চলায় মা হতে কোনো জটিলতা হয়নি। গ্রামীণ নারীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে, যে কোনো সমস্যায় তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এখন গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

একজন গর্ভবতী মা গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া তার অধিকার। শুধু মা-ই নন, মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুরও যত্ন প্রয়োজন, যাকে বলা হয় গর্ভকালীন সেবা বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা।

প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও যেকোনো সময় জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যদি অদক্ষ হাতে এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রসব করানো হয়, তবে মা ও শিশু উভয়ের প্রসবকালীন সংক্রমণ এবং শিশুর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এ সময়ে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন আছে। সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ডাক্তারের প্রয়োজনীয় উপদেশ এবং ব্যবস্থাপনা হচ্ছে প্রসব-পরবর্তী সেবা। প্রসবের পরও একজন প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ প্রসবের পর একজন মায়ের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।

গর্ভাবস্থা এবং প্রসবকালে সব নারীর নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস অন্যান্য বছর বাংলাদেশে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়ে থাকে। এবার করোনার কারণে ২৮ মে, জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস সীমিত আকারে পালন করা হয়। এ বছর নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধ করুন’। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।

দুই দশক আগেও মাতৃমৃত্যু একটা বড় সমস্যা ছিল। তবে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতির ফলে গত এক দশকে মাতৃমৃত্যু হার অনেক কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন নারীর গর্ভাবস্থা কিংবা প্রসবোত্তর ৪২ দিনের মধ্যে শারীরিক জটিলতার কারণে মৃত্যু ঘটলে, তাকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে ধরা হয়।

মাতৃত্বের মধ্য দিয়েই নারীর জীবনে পূর্ণতা লাভ করে। স্বাভাবিকভাবেই সব নারী মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে চায়। আবার এ সময়ে অনেকে মায়েরই স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়। থাকে জীবনের ঝুঁকিও। সব নারীরই গর্ভাবস্থার পুরো সময়টা পুষ্টিকর খাদ্য এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিশ্রাম প্রয়োজন।

গর্ভকালীন টিটেনাস টিকা দেওয়া, ওজন মাপা, স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া, রক্তস্বল্পতা বা শরীরে রক্ত কম কি না তা পরীক্ষা করা, রক্তচাপ পরিমাপ করা, পা অথবা মুখ ফুলে গেলে পানি আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা, শারীরিক অন্য কোনো অসুবিধা আছে কি না তা পরীক্ষা করা জরুরি। স্বামীসহ পরিবারের সবার সাবধানতা ও আন্তরিক সহযোগিতায় এ ধরনের ঝুঁকি থেকে একজন মা রক্ষা পেতে পারেন। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বিশেষ প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেমন সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কিছু অর্থ জমা রাখতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারবেন এমন কাউকে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তান জন্মের ঠিক পরে বড় ধরনের জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে অবস্থান জেনে রাখা দরকার এবং দ্রুততম সময়ে সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকা দরকার। এখন গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ায় গর্ভকালীন জটিলতা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়েছে। এ সময় গর্ভবতী মায়েরও করণীয় দায়িত্ব আছে অনেক। তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে, প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই ভেঙে পড়া চলবে না। করোনাকালে গর্ভধারণ, প্রসবজনিত জটিলতাসহ করোনায় আক্রান্ত অনেক মা-ই সন্তান জন্মদানের পর মৃত্যুবরণ করেছেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এ বছরের থিম হচ্ছে, ‘সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, নিজ গৃহে অবস্থান করি এবং মা ও শিশুকে নিরাপদে রাখি’।

আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু হার কমলেও এখনও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি বছর চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ জন অর্থাৎ প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যু হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশল, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা, পাশাপাশি মাতৃমৃত্যুর হার এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। গর্ভকালীন কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের হার ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা।

বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস), স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) এবং ইউএন (ইউনাইটেড নেশন) ইস্টিমেট সূত্রে জানা গেছে, দেশে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। ৯০-এর দশকে প্রতি এক লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭৪ জন মা মৃত্যুবরণ করতেন। বর্তমানে তা কমে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে ৯০-এর দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের। একইসঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি, নিরাপদ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং সবার জন্য পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেরিস্টোপস বাংলাদেশ, ইউএনএফপিএ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও ও দাতা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

সীমাবদ্ধতা থাকলে গত এক দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে, বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এ অগ্রগতি এখন দেশের বহি:বিশ্বেও নজর কেড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে মা ও শিশুমৃত্যুর হার। এর পেছনে সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মাতৃ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা হাসপাতালসহ জেলা এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোর বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেব প্রদান। করোনাকালেও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা ২৪ ঘন্টা চালু থাকছে। টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের করণীয় এবং তাদের পুষ্টি পরামর্শ বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারের ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে টেলিমেডিসিন সেবা এসএমএস-এর মাধ্যমে অভিযোগ-পরামর্শ জানানোর ব্যবস্থা, এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসুতি মায়ের পরামর্শ, এসএমএস-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অফিস উপস্থিতি তদারকি, অনলাইন পপুলেশন হেলথ রেজিস্ট্রি, ইত্যাদি। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ ইন্টারনেট সুবিধাসহ ল্যাপটপ, কম্পিউটার দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনা বর্তমান সরকারের মুখ্য কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকেও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাপ কমাতে স্বাস্থ্য কল সেন্টার ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে ঘরে বসেই স্বাস্থ্য তথ্য জানা যাচ্ছে।

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টি চাহিদা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় মাকে তাই স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি ফলমূল, শাকসবজি এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত পাঁচ বছর মেয়াদি ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচি ২০১৭-২০২২’- বাস্তবয়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে।

দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের সহায়তার জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ৮ লক্ষ দরিদ্র নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০ বছরের ঊর্ধ্ব একজন দরিদ্র মা দু’বার সন্তান গর্ভধারণকালে প্রতিমাসে ৮০০ টাকা হারে এই ভাতা পেয়ে থাকেন। এ ভাতা মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

গ্রামীণ নারীরাও এখন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। গণমাধ্যমের নানারকম প্রচারের ফলে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সরকার সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সবাইকে ভূমিকা নিতে হবে।

(পিআইডি-শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ফিচার)

মুজিবনগরে স্বাধীনতার সূর্যোদয়

বঙ্গাব্দ প্রচলনের ইতিকথা

পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব

কেউতো অপেক্ষায় নেই

ফরগেট মি নট

ছবি

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীমা শিল্পের গুরুত্ব

একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের দিন

দিদি, আপা, “বু” খালা

হিজল-করচ-আড়াংবন

ছবি

শেখ হাসিনা, এক উৎসারিত আলোকধারা

মনমাঝি

সেই ইটনা

ছবি

আংকর ওয়াট : উন্নত সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন যেখানে

নিয়ত ও নিয়তি

হারিয়ে যাওয়া ট্রেন

টম সয়ার না রবিনহুড

ছবি

‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’

বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা স্মারক: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনন্য মাইলফলক

রাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন

কুয়েতের জীবনযাত্রার সাতকাহন: পর্ব-১-বিয়ে

বিবেকের লড়াই

ছবি

ছবি যেন শুধু ছবি নয়

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

ছবি

স্বাধীন স্বদেশে মুক্ত বঙ্গবন্ধু

ছবি

মহান নেতার স্বভূমিতে ফিরে আসা

ছবি

মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার ফসল

ছবি

আমার মা

ডিজিটাল বাংলাদেশ: প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি

ছবি

৩ নভেম্বর: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা

দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক দ্বিতীয় অধ্যায়

এইচ এস সি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের অনুশীলন

ছবি

ত্রিশ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

শিল্প কারখানার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এনভায়রনমেন্টাল ইন্জিনিয়ারিং

অসুর: এক পরাজিত বিপ্লবী

অসুর জাতির ইতিহাস

tab

মুক্ত আলোচনা

করোনাকালে নিরাপদ মাতৃত্ব

আব্দুল আলীম

সোমবার, ২১ জুন ২০২১

জোছনা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। সন্তান ধরনের তিন মাস পর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে চেকআপ করতে যান। স্বাস্থ্যকর্মী পরীক্ষা করে খাবার ও বিশ্রামের নিয়ম জানিয়ে দেন। গর্ভধারনের পুরো সময় স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ও নির্দেশনা মতো চলছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় জোছনা খাতুন স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। নিয়মিত চেকআপ এবং স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মেনে চলায় মা হতে কোনো জটিলতা হয়নি। গ্রামীণ নারীদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে, যে কোনো সমস্যায় তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এখন গ্রামীণ গর্ভবতী নারীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

একজন গর্ভবতী মা গর্ভধারণের পর থেকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া তার অধিকার। শুধু মা-ই নন, মাতৃগর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুরও যত্ন প্রয়োজন, যাকে বলা হয় গর্ভকালীন সেবা বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা।

প্রসব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও যেকোনো সময় জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যদি অদক্ষ হাতে এবং অপরিচ্ছন্নভাবে প্রসব করানো হয়, তবে মা ও শিশু উভয়ের প্রসবকালীন সংক্রমণ এবং শিশুর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এ সময়ে অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন আছে। সন্তান প্রসবের পর মা ও শিশুর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ডাক্তারের প্রয়োজনীয় উপদেশ এবং ব্যবস্থাপনা হচ্ছে প্রসব-পরবর্তী সেবা। প্রসবের পরও একজন প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ প্রসবের পর একজন মায়ের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।

গর্ভাবস্থা এবং প্রসবকালে সব নারীর নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব-পরবর্তী সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস অন্যান্য বছর বাংলাদেশে দিবসটি নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়ে থাকে। এবার করোনার কারণে ২৮ মে, জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস সীমিত আকারে পালন করা হয়। এ বছর নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস ২০২১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘করোনাকালে গর্ভকালীন সেবা নিন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধ করুন’। ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ও নবজাতকের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।

দুই দশক আগেও মাতৃমৃত্যু একটা বড় সমস্যা ছিল। তবে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ এবং স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতির ফলে গত এক দশকে মাতৃমৃত্যু হার অনেক কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন নারীর গর্ভাবস্থা কিংবা প্রসবোত্তর ৪২ দিনের মধ্যে শারীরিক জটিলতার কারণে মৃত্যু ঘটলে, তাকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে ধরা হয়।

মাতৃত্বের মধ্য দিয়েই নারীর জীবনে পূর্ণতা লাভ করে। স্বাভাবিকভাবেই সব নারী মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে চায়। আবার এ সময়ে অনেকে মায়েরই স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়। থাকে জীবনের ঝুঁকিও। সব নারীরই গর্ভাবস্থার পুরো সময়টা পুষ্টিকর খাদ্য এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিশ্রাম প্রয়োজন।

গর্ভকালীন টিটেনাস টিকা দেওয়া, ওজন মাপা, স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া, রক্তস্বল্পতা বা শরীরে রক্ত কম কি না তা পরীক্ষা করা, রক্তচাপ পরিমাপ করা, পা অথবা মুখ ফুলে গেলে পানি আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা, শারীরিক অন্য কোনো অসুবিধা আছে কি না তা পরীক্ষা করা জরুরি। স্বামীসহ পরিবারের সবার সাবধানতা ও আন্তরিক সহযোগিতায় এ ধরনের ঝুঁকি থেকে একজন মা রক্ষা পেতে পারেন। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু বিশেষ প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেমন সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কিছু অর্থ জমা রাখতে হবে।

গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারবেন এমন কাউকে আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তান জন্মের ঠিক পরে বড় ধরনের জটিলতা বা সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে অবস্থান জেনে রাখা দরকার এবং দ্রুততম সময়ে সেখানে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকা দরকার। এখন গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ায় গর্ভকালীন জটিলতা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়েছে। এ সময় গর্ভবতী মায়েরও করণীয় দায়িত্ব আছে অনেক। তাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে, প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে হবে। কোনো অবস্থায়ই ভেঙে পড়া চলবে না। করোনাকালে গর্ভধারণ, প্রসবজনিত জটিলতাসহ করোনায় আক্রান্ত অনেক মা-ই সন্তান জন্মদানের পর মৃত্যুবরণ করেছেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এ বছরের থিম হচ্ছে, ‘সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি, নিজ গৃহে অবস্থান করি এবং মা ও শিশুকে নিরাপদে রাখি’।

আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু হার কমলেও এখনও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতি বছর চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩ জন অর্থাৎ প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী, দেশে মাতৃমৃত্যু হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশল, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা, পাশাপাশি মাতৃমৃত্যুর হার এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। গর্ভকালীন কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের হার ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা।

বাংলাদেশ ম্যাটারনাল মর্টালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস), স্যাম্পল ভাইটাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (এসভিআরএস) এবং ইউএন (ইউনাইটেড নেশন) ইস্টিমেট সূত্রে জানা গেছে, দেশে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। ৯০-এর দশকে প্রতি এক লাখ জীবিত শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ৫৭৪ জন মা মৃত্যুবরণ করতেন। বর্তমানে তা কমে প্রতি লাখে ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে ৯০-এর দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রথম সন্তান প্রসবের পর তিন বছর বিরতি নেয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের। একইসঙ্গে গর্ভবতী মায়েদের ভারী জিনিস বহন না করা, নিয়মিত টিকা নেয়ার পাশাপাশি অ্যান্টিনেটাল কেয়ার বা পোস্ট নেটাল কেয়ার নেয়া এবং বাড়িতে প্রসবকালীন জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত ক্লিনিক ও হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি, নিরাপদ প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং সবার জন্য পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মেরিস্টোপস বাংলাদেশ, ইউএনএফপিএ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও ও দাতা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

সীমাবদ্ধতা থাকলে গত এক দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে, বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এ অগ্রগতি এখন দেশের বহি:বিশ্বেও নজর কেড়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে মা ও শিশুমৃত্যুর হার। এর পেছনে সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মাতৃ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা হাসপাতালসহ জেলা এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোর বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেব প্রদান। করোনাকালেও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা ২৪ ঘন্টা চালু থাকছে। টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের করণীয় এবং তাদের পুষ্টি পরামর্শ বিষয়ে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

সরকারের ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্য সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে টেলিমেডিসিন সেবা এসএমএস-এর মাধ্যমে অভিযোগ-পরামর্শ জানানোর ব্যবস্থা, এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রসুতি মায়ের পরামর্শ, এসএমএস-এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অফিস উপস্থিতি তদারকি, অনলাইন পপুলেশন হেলথ রেজিস্ট্রি, ইত্যাদি। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ ইন্টারনেট সুবিধাসহ ল্যাপটপ, কম্পিউটার দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনা বর্তমান সরকারের মুখ্য কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম। মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকেও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাপ কমাতে স্বাস্থ্য কল সেন্টার ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে ঘরে বসেই স্বাস্থ্য তথ্য জানা যাচ্ছে।

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টি চাহিদা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় মাকে তাই স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি ফলমূল, শাকসবজি এবং পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত পাঁচ বছর মেয়াদি ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচি ২০১৭-২০২২’- বাস্তবয়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে।

দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের সহায়তার জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ৮ লক্ষ দরিদ্র নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ২০ বছরের ঊর্ধ্ব একজন দরিদ্র মা দু’বার সন্তান গর্ভধারণকালে প্রতিমাসে ৮০০ টাকা হারে এই ভাতা পেয়ে থাকেন। এ ভাতা মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

গ্রামীণ নারীরাও এখন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। গণমাধ্যমের নানারকম প্রচারের ফলে জনসচেতনতা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সরকার সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে সবাইকে ভূমিকা নিতে হবে।

(পিআইডি-শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ফিচার)

back to top