চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী। উত্তপ্ত আবহওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত। একটু শীতল প্রশন্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুর, নদী-নালার পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। জমির ফসল বাঁচাতে আবাসিকে বাড়ছে লোডশেডিং।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা ১১টা গড়াতেই রাস্তা-ঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু আগুনঝরা আবহাওয়ায় স্বস্তি মিলছে না ঘরেও।
রাজশাহী আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৭ শতাংশ এবং সকাল ৬টায় আদ্রর্তা ছিল ৮৯ শতাংশ। মার্চের শেষের দিকেও রাজশাহীতে এমন আবহাওয়া ছিল না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা বাড়তির দিকে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক এসএম গাউসুজ্জামান বলেন, আপাতত রাজশাহীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে মেঘের সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে।
এদিকে, হঠাৎ পরিবর্তিত এই আবহাওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানা গেছে। আর এ সময় সর্তক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. খলিলুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে হঠাৎ করে আবারও তাপমাত্রা বাড়ায় ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে বয়স্ক ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এ তীব্র গরমে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ও হৃদরোগে আক্রান্তদের দুর্ভোগও বেড়েছে। এ সময় সতর্ক থাকতে হবে। পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
এদিকে খরাপপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে জমির ফসল বাঁচাতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে সেচযন্ত্রে। তাই লোডশেডিং করতে হবে আবাসিকে। শুধু গ্রাম নয়, শহরেও আবাসিক সংযোগে লোডশেডিং আরও বাড়বে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন। বিশেষ করে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচযন্ত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে এই সময়টিতে আবাসিকে লোডশেডিং বাড়বে।
গত সোমবার চলমান সেচ মৌসুম ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাসান মারুফের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল।
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ যন্ত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া গেলে ফসল উৎপাদনে সমস্যা হবে না। কিন্তু এটি করতে গেলে সবগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করে শহরেও রাতে লোডশেডিং দিতে হবে। আবাসিকে সরবরাহ কমিয়ে সেচে বিদ্যুৎ দিতে হবে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘ফসল রক্ষার জন্য রাতে আমার বাসারও বিদ্যুৎ বন্ধ করেন। শহরে আবাসিকের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমান। সেই বিদ্যুৎ সেচের জন্য পাঠান। সবার আগে আমাদের ফসল রক্ষা করতে হবে।’
সভার সভাপতি বাংলাদেশ পল¬ী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাসান মারুফ বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চল খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে সেচ লাগে বেশি। তাই শহরেও রাতে লোডশেডিং করে সেচের জন্য এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
চৈত্রের খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী। উত্তপ্ত আবহওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে পথ-ঘাট-মাঠ সবকিছুই উত্তপ্ত। একটু শীতল প্রশন্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুর, নদী-নালার পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। জমির ফসল বাঁচাতে আবাসিকে বাড়ছে লোডশেডিং।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বেলা ১১টা গড়াতেই রাস্তা-ঘাট জনশূন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু আগুনঝরা আবহাওয়ায় স্বস্তি মিলছে না ঘরেও।
রাজশাহী আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৭ শতাংশ এবং সকাল ৬টায় আদ্রর্তা ছিল ৮৯ শতাংশ। মার্চের শেষের দিকেও রাজশাহীতে এমন আবহাওয়া ছিল না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা বাড়তির দিকে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক এসএম গাউসুজ্জামান বলেন, আপাতত রাজশাহীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে মেঘের সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে।
এদিকে, হঠাৎ পরিবর্তিত এই আবহাওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানা গেছে। আর এ সময় সর্তক থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. খলিলুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে হঠাৎ করে আবারও তাপমাত্রা বাড়ায় ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রোগে বয়স্ক ও শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এ তীব্র গরমে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ও হৃদরোগে আক্রান্তদের দুর্ভোগও বেড়েছে। এ সময় সতর্ক থাকতে হবে। পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
এদিকে খরাপপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে জমির ফসল বাঁচাতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে সেচযন্ত্রে। তাই লোডশেডিং করতে হবে আবাসিকে। শুধু গ্রাম নয়, শহরেও আবাসিক সংযোগে লোডশেডিং আরও বাড়বে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন। বিশেষ করে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচযন্ত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে এই সময়টিতে আবাসিকে লোডশেডিং বাড়বে।
গত সোমবার চলমান সেচ মৌসুম ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এ সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাসান মারুফের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল।
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সেচ যন্ত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়া গেলে ফসল উৎপাদনে সমস্যা হবে না। কিন্তু এটি করতে গেলে সবগুলো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করে শহরেও রাতে লোডশেডিং দিতে হবে। আবাসিকে সরবরাহ কমিয়ে সেচে বিদ্যুৎ দিতে হবে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘ফসল রক্ষার জন্য রাতে আমার বাসারও বিদ্যুৎ বন্ধ করেন। শহরে আবাসিকের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমান। সেই বিদ্যুৎ সেচের জন্য পাঠান। সবার আগে আমাদের ফসল রক্ষা করতে হবে।’
সভার সভাপতি বাংলাদেশ পল¬ী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাসান মারুফ বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চল খরাপ্রবণ এলাকা। এখানে সেচ লাগে বেশি। তাই শহরেও রাতে লোডশেডিং করে সেচের জন্য এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব এই সময়ের মধ্যেও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে।