alt

সারাদেশ

ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মাঝে ফটিকছড়িতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রতিনিধি,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম): : সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকিবাজি অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র দাবদাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এছাড়া ১৮টি চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল করখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে বিদ্যুতের অভাবে। নির্দিষ্ট সময় ঘোষণাপূর্বক লোডশেডিং করার কথা থাকলেও ফটিকছড়িতে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে, লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র দাবদাহে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়া-লেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও লোডশেডিং। সব মিলিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি জেলার সমান ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও এখন মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্কুল শিক্ষক আবু বকর বলেন- বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।

উপজেলা সদর বিবিরহাটের ব্যবসায়ী কম্পিউটার অপারেটর জয়নাল আবেদিন বলেন-দিন-রাত ২৪ঘন্টার মধ্যে ৪ঘন্টাও বিদ্যুৎ মিলছেনা।এতে করে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ত্রাহি অবস্থা।

উপজেলা পল্লী চিকিৎসক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে গ্রামের বয়স্ক রোগী এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।রোগীদের সময়মতো নেবুলাইজ করা যাচ্ছেনা।

অনেক রোগীকে আমরা উপজেলা হাসপাতালে রেপার করতে বাধ্য হচ্ছি।

নানুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বলেন,বর্তমানে ফটিকছড়ির এক নম্বর সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং।

সমস্যটি নিরসণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা।

ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ চরমে গেছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর আওতাধীন ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ইয়াসিন আরফাত বলেন, ফটিকছড়িতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলার চাহিদা ৩৫মেগাওয়াটের বেশি।

চাহিদার তুলনায় গ্রীড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫মেগাওয়াট।

আশাকরছি শীগ্রই লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে।

ছবি

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় পুকুরে পড়ে ১ শিশু নিখোঁজ, আহত ৩

ছবি

ট্রাফিক পুলিশ লোহার পাইপে দিয়ে পিঠিয়ে পা ভাঙলো রিকশা চালককের

ছবি

টেকনাফে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করল বিজিবি

ছবি

বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ছবি

কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ৫

ছবি

কিশোরগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ

ছবি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কাজের সময় গ্যাস লাইনে লিকেজ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর

ছবি

চাঁদপুরে দুই ইটভাটার মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

দেশে কোরবানির জন্য প্রস্তুত এক কোটি ২৯ লাখ পশু

ছবি

হোসেনপুরে গরমে ক্লাসেই অসুস্থ ৩০ প্রাইমারী শিক্ষার্থী

ছবি

রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের আম পাড়া শুরু

ছবি

বিলীনের পথে জলকদর খাল

ছবি

উখিয়ায় বাসা থেকে এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার

ছবি

গাজীপুরে টিনশেড মার্কেট ও বসতবাড়িতে আগুন

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস থেকে ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ চান :মেয়র

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য আসামের গুয়াহাটিতে মানসম্মত চিকিৎসাসেবার উদ্যোগ

ছবি

নতুন দুই জাতের শিম উদ্ভাবন

মৌলভীবাজারে এ ধর্ষন ও হত্যা মামলায় দুই আসামী মৃত্যুদন্ডের রায়

ছবি

রাজশাহীতে যুবককে হত্যায় দুইজনের ফাঁসি

ছবি

ফরিদপুরে আইসক্রিম তৈরির কারখানায় অভিযান ও জরিমানা

ছবি

সব ইটভাটা বন্ধ না করায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারের ব্যাখ্যা তলব: হাইকোর্ট

ছবি

গৃহকর্মীকে নির্যাতন মামলায় গৃহকর্ত্রীর বিচার শুরু

ছবি

আচরণবিধি লঙ্ঘন : শ্রীপুরের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি

ছবি

রাতভর টহলে পেরেশান তিতাস গ্যাস, আবাসিকে সংযোগ চালু করার সুপারিশ

ছবি

জাহাজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ১২ ডাকাত আটক

ছবি

৬৪ দিনের উৎকণ্ঠার অবসান : স্বজনদের কাছে ফিরলেন ২৩ নাবিক

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকির মুখে বাঁশখালীর ৩৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

ছবি

পাহাড়ে আরসার আস্তানা, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

জামালপুরে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের নামে করা রাস্তার নামফলক ভাংচুর

ছবি

নওগাঁর আম বাজারে আসবে ২২ মে থেকে

নারায়ণগঞ্জে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে একজন নিহত

যাত্রাবাড়ী থেকে পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার ১০

ছবি

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু কারাগারে

ছবি

সিরাজগঞ্জে ভোটের আগে গোপন বৈঠক গ্রেপ্তারের পর সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক

tab

সারাদেশ

ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মাঝে ফটিকছড়িতে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রতিনিধি,ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম):

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকিবাজি অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র দাবদাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এছাড়া ১৮টি চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল করখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে বিদ্যুতের অভাবে। নির্দিষ্ট সময় ঘোষণাপূর্বক লোডশেডিং করার কথা থাকলেও ফটিকছড়িতে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

এদিকে, লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র দাবদাহে জনজীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

বিশেষ করে ছোট বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়া-লেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি ও লোডশেডিং। সব মিলিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস অবস্থা।

ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি জেলার সমান ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও এখন মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্কুল শিক্ষক আবু বকর বলেন- বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।

উপজেলা সদর বিবিরহাটের ব্যবসায়ী কম্পিউটার অপারেটর জয়নাল আবেদিন বলেন-দিন-রাত ২৪ঘন্টার মধ্যে ৪ঘন্টাও বিদ্যুৎ মিলছেনা।এতে করে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ত্রাহি অবস্থা।

উপজেলা পল্লী চিকিৎসক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারনে গ্রামের বয়স্ক রোগী এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।রোগীদের সময়মতো নেবুলাইজ করা যাচ্ছেনা।

অনেক রোগীকে আমরা উপজেলা হাসপাতালে রেপার করতে বাধ্য হচ্ছি।

নানুপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বলেন,বর্তমানে ফটিকছড়ির এক নম্বর সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং।

সমস্যটি নিরসণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছেনা।

ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ চরমে গেছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর আওতাধীন ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ইয়াসিন আরফাত বলেন, ফটিকছড়িতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলার চাহিদা ৩৫মেগাওয়াটের বেশি।

চাহিদার তুলনায় গ্রীড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫মেগাওয়াট।

আশাকরছি শীগ্রই লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে।

back to top