কৃষির জন্য সবচেয়ে সুসময় এপ্রিল-মে মাস। পাকা বোরো ধান এখন মাঠে মাঠে, গাছে গাছে আম-কাঁঠাল ও লিচু। তবে, চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণীকুল। এ সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে সেচকাজে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বাড়ছে উৎপাদন খরচ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষি খাতে পড়ছে তা চিন্তিত কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।
একদিকে খা খা রোদের কারণে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। কোথাও কোথাও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও ‘মিলছে না’ গভীর নলকূপে। যেটুকু পানি মিলছে, তাতেও খরচা করতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
কৃষকরা জানায়, বোরো ক্ষেতে ‘হিট শক ব্লাস্ট’ সংক্রমণের কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচু। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে ‘মড়ক’।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, কম বৃষ্টিপাতের প্রভাবে চরাঞ্চলের বোরো উৎপাদনে সেচের খরচ দেড়-দুইগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কারণ সেখানে খরার কারণে সেচও দিতে হয় বেশি। শুধু বোরো নয়, গম, ভুট্টা, সবজির আবাদেও চরাঞ্চলে অনেক বেশি সেচ দিতে হয়।
আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলের কয়েক জন আম চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলে ফাগুনের অনেক পরে গাছে এবার আমের মুকুল এসেছিল। আবার বৈশাখের শুরুতে গুটি দেখা গেলেও এখন তা তীব্র গরমে ঝরে পরছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পোকার উপদ্রব তো আছেই। এখন গাছে যা আম আছে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। তারা বলেছেন, আম রক্ষায় অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ ছিটাতে হচ্ছে। পোকার আক্রমণের এবার আমের উৎপাদন কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ সমস্যা মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কাউকে পাশে পাচ্ছেন না ফলচাষিরা পরামর্শ গ্রহণের জন্য। এ বছর ফলচাষিরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
রাজশাহীর জিনাত আরা আফরোজ ৪টি বাগানের মালিক। তিনি আক্ষেপ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রাজশাহীতে এবার আম নেই। আমার বাগানেও কোনো আম নেই। যে আমি গতবছর দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি এবার আমাকেই আম কিনে খেতে হবে।’
কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ‘আমার আম বাগানে মেইনটেন্স পুরাটাই করা হয়েছে। গাছ ভরে মুকুল আসলো কিন্ত প্রচণ্ড কুয়াশা ও খরার কারণে আমার বাগানের গাছের সব মুকুল পড়ে গেল। তারপর গাছ ভরে পাতা চলে আসলো আর মুকুল হয়নাই। এই হলো অবস্থা!’
বাঘা উপজেলার আরেক আম চাষী শফিকুল ইসলাম সানা। গত বছর প্রায় এক কোটি টাকার আম বিক্রি করেছিলেন। তার মধ্যে ২৬ মেট্রিক টন আম বিদেশেও রপ্তানি করেছিলেন। এবারও শফিকুল ৩০০ বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন। তবে গাছে গুটি কম থাকায় হতাশ তিনি। শফিকুল ইসলাম সানা বলেন, ‘গত বছর বাগানে প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার আম যে পাব না, তা গাছ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খরতাপ উৎপাদনকে মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করেছে। এবার ফলন ভালো হবে না।’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ফল চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে লিচুর আবাদ আছে। এ বছর ভাবছিলাম ভালোই ফলন হবে। কিন্ত কয়েকদিনের চড়া রোদে লিচু ঝরে যাচ্ছে। লিচু বাগানে কয়েকবার স্প্রে ও পানি দিলেও ঝরে পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে এ তাপে গাছে কোনো ফল গাছে থাকবে না। আম ও কাঁঠালও ঝরে পড়া শুরু করেছে।
রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধানের ভিওত (জমিতে) পানি ধরে থোয়া (রাখা) যাচ্ছে না। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা (ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে (দিতে পারছে)। এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের (ক্ষেত) সবজি রোদে পুড়ে মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে উপর পড়ছে। কিন্ত কৃষি বিভাগের এই নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। ঝড়-বন্যার মতো দাবদাহকে সেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবেও দেখা হয় না। ফলে কৃষির ভরা এ মৌসুমে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হন চাষী।’
তবে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন ফসল রক্ষায় কৃষকের করণীয় কী, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পিডি কৃষিবিদ মোহাম্মদ অরিফুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘চলতি বছর শীত যেতে সময় নিয়েছে এবং বৃষ্টি নেই বললেই চলে। এ কারণে প্রচ- তাপে কিছু কিছু এলাকার আম ঝরে গেছে, আমরা পরামর্শ দিচ্ছি গাছের গোড়ায় ইউরিয়াসহ পানি দেয়ার জন্য। যাতে মাটির আর্দ্রতার ঠিক থাকে। আবার কিছুকিছু জায়গায় বরিক এসিড দেয়ার জন্য চিঠি ইশ্যু করছি আর প্রতিদিনই আপডেট নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে বড় গাছের ফল বেশি ঝরছে। মাটির আর্দ্রতা না থাকার কারণে এটি হচ্ছে। যদি বাগানে সেচ দেয়া যায় তাহলে ফল ঝরবে না। সঠিক আর্দ্রতার অভাবে লিচু ফেটে ও ফুল শুকিয়ে যেতে পারে। এজন্য বাগানিকে অবশ্যই স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সার ও সেচ দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, ‘সারা দেশে ধান পুরো দমে কাটা শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সব জেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে কিছু কিছু জেলায় হয়তো নয়। তবে, সব ধানেরই ফুল পড়ে গিয়ে এখন চাল হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো খারাপ খবর পাইনাই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশি থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এবারের ধানে রোগ বালাই কম হয়েছে। কৃষকরা সহজেই ধান শুকাইতে পেরেছে।’
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
কৃষির জন্য সবচেয়ে সুসময় এপ্রিল-মে মাস। পাকা বোরো ধান এখন মাঠে মাঠে, গাছে গাছে আম-কাঁঠাল ও লিচু। তবে, চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষ ও প্রাণীকুল। এ সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের অভাবে সেচকাজে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। বাড়ছে উৎপাদন খরচ। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষি খাতে পড়ছে তা চিন্তিত কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।
একদিকে খা খা রোদের কারণে ধানগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, মরছে সবজির গাছ। কোথাও কোথাও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় পানিও ‘মিলছে না’ গভীর নলকূপে। যেটুকু পানি মিলছে, তাতেও খরচা করতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
কৃষকরা জানায়, বোরো ক্ষেতে ‘হিট শক ব্লাস্ট’ সংক্রমণের কারণে ঝরে পড়ছে আম ও লিচু। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে ‘মড়ক’।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, কম বৃষ্টিপাতের প্রভাবে চরাঞ্চলের বোরো উৎপাদনে সেচের খরচ দেড়-দুইগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কারণ সেখানে খরার কারণে সেচও দিতে হয় বেশি। শুধু বোরো নয়, গম, ভুট্টা, সবজির আবাদেও চরাঞ্চলে অনেক বেশি সেচ দিতে হয়।
আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী অঞ্চলের কয়েক জন আম চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ অঞ্চলে ফাগুনের অনেক পরে গাছে এবার আমের মুকুল এসেছিল। আবার বৈশাখের শুরুতে গুটি দেখা গেলেও এখন তা তীব্র গরমে ঝরে পরছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পোকার উপদ্রব তো আছেই। এখন গাছে যা আম আছে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। তারা বলেছেন, আম রক্ষায় অনুমোদিত মাত্রায় ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় ওষুধ ছিটাতে হচ্ছে। পোকার আক্রমণের এবার আমের উৎপাদন কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ সমস্যা মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের দায়িত্বশীল কাউকে পাশে পাচ্ছেন না ফলচাষিরা পরামর্শ গ্রহণের জন্য। এ বছর ফলচাষিরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
রাজশাহীর জিনাত আরা আফরোজ ৪টি বাগানের মালিক। তিনি আক্ষেপ করে এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘রাজশাহীতে এবার আম নেই। আমার বাগানেও কোনো আম নেই। যে আমি গতবছর দেড় লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি এবার আমাকেই আম কিনে খেতে হবে।’
কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ‘আমার আম বাগানে মেইনটেন্স পুরাটাই করা হয়েছে। গাছ ভরে মুকুল আসলো কিন্ত প্রচণ্ড কুয়াশা ও খরার কারণে আমার বাগানের গাছের সব মুকুল পড়ে গেল। তারপর গাছ ভরে পাতা চলে আসলো আর মুকুল হয়নাই। এই হলো অবস্থা!’
বাঘা উপজেলার আরেক আম চাষী শফিকুল ইসলাম সানা। গত বছর প্রায় এক কোটি টাকার আম বিক্রি করেছিলেন। তার মধ্যে ২৬ মেট্রিক টন আম বিদেশেও রপ্তানি করেছিলেন। এবারও শফিকুল ৩০০ বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন। তবে গাছে গুটি কম থাকায় হতাশ তিনি। শফিকুল ইসলাম সানা বলেন, ‘গত বছর বাগানে প্রচুর আম হয়েছিল। সে তুলনায় এবার আম যে পাব না, তা গাছ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। খরতাপ উৎপাদনকে মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করেছে। এবার ফলন ভালো হবে না।’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ফল চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে লিচুর আবাদ আছে। এ বছর ভাবছিলাম ভালোই ফলন হবে। কিন্ত কয়েকদিনের চড়া রোদে লিচু ঝরে যাচ্ছে। লিচু বাগানে কয়েকবার স্প্রে ও পানি দিলেও ঝরে পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। বোঝা যাচ্ছে এ তাপে গাছে কোনো ফল গাছে থাকবে না। আম ও কাঁঠালও ঝরে পড়া শুরু করেছে।
রংপুররে পীরগঞ্জের আলমপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধানের ভিওত (জমিতে) পানি ধরে থোয়া (রাখা) যাচ্ছে না। কিছু কিছু জমির ধান লাল হয়ে মরে যাচ্ছে। এখনতো পানির লেয়ারও অনেক নিচে। এলাকার টিউবলেও ঠিকমতো পানি ওঠে না, মেশিনেও কম পানি ওঠে, যাদের অবদা (ডিপটিউবয়েল) আছে তারা পানি দিবার পারচে (দিতে পারছে)। এতো রোদের কারণে এবার ধানত চিটা হওয়ার ভয়ে আছি। আর সবজির ভিউয়ের (ক্ষেত) সবজি রোদে পুড়ে মরে যাচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে উপর পড়ছে। কিন্ত কৃষি বিভাগের এই নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। ঝড়-বন্যার মতো দাবদাহকে সেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবেও দেখা হয় না। ফলে কৃষির ভরা এ মৌসুমে ক্ষতির মুখে পড়ে নিঃস্ব হন চাষী।’
তবে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এ মুহূর্তে বিভিন্ন ফসল রক্ষায় কৃষকের করণীয় কী, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা যা বলছেন
রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পিডি কৃষিবিদ মোহাম্মদ অরিফুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘চলতি বছর শীত যেতে সময় নিয়েছে এবং বৃষ্টি নেই বললেই চলে। এ কারণে প্রচ- তাপে কিছু কিছু এলাকার আম ঝরে গেছে, আমরা পরামর্শ দিচ্ছি গাছের গোড়ায় ইউরিয়াসহ পানি দেয়ার জন্য। যাতে মাটির আর্দ্রতার ঠিক থাকে। আবার কিছুকিছু জায়গায় বরিক এসিড দেয়ার জন্য চিঠি ইশ্যু করছি আর প্রতিদিনই আপডেট নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে বড় গাছের ফল বেশি ঝরছে। মাটির আর্দ্রতা না থাকার কারণে এটি হচ্ছে। যদি বাগানে সেচ দেয়া যায় তাহলে ফল ঝরবে না। সঠিক আর্দ্রতার অভাবে লিচু ফেটে ও ফুল শুকিয়ে যেতে পারে। এজন্য বাগানিকে অবশ্যই স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সার ও সেচ দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর সংবাদকে বলেন, ‘সারা দেশে ধান পুরো দমে কাটা শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সব জেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে কিছু কিছু জেলায় হয়তো নয়। তবে, সব ধানেরই ফুল পড়ে গিয়ে এখন চাল হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো খারাপ খবর পাইনাই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছি টেম্পারেচার বেশি থাকলেও যেন তারা সবসময় পানি ধরে রাখে। পানি ধরে রাখলে চিটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। এবারের ধানে রোগ বালাই কম হয়েছে। কৃষকরা সহজেই ধান শুকাইতে পেরেছে।’