নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় অধিকাংশ সাক্ষী মারা গেছেন। যারাও সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা ছিল পক্ষপাতদুষ্ট, তারা সত্য গোপন করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা নিজেদের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এ মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
বিচারক রায়ে বলেন, এ মামলার সিডি (কেইস ডকেট) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় সিডি গায়েব করা হয়েছে। আসামি আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। তিনি যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা অনেকটা গা বাঁচিয়ে দেওয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনো অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। অথচ তিনি খুন হলেন আর ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আহত অপর একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল। সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। মানুষ তো অসীমকাল বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির আত্মা বিচার চায়।
আদালত আরও বলেন, আসামি আদনান সিদ্দিকী নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই আদনান সিদ্দিকী ও বান্টি ইসলাম খুনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
২৫ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাত্র ১০ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। এই ১০ জনের মধ্যে আবার ৩ জন সোহেল চৌধুরীকে খুনের অভিযোগ সমর্থন করে আদালতে সাক্ষ্য দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষ বাধ্য হয়ে তাঁদের বৈরী সাক্ষী ঘোষণা করে জেরা করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর গাড়িচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ ১২ সাক্ষীকে খুঁজে বের করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীন বলেন, আদালত থেকে ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে বের করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তাঁদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় অধিকাংশ সাক্ষী মারা গেছেন। যারাও সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা ছিল পক্ষপাতদুষ্ট, তারা সত্য গোপন করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা নিজেদের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন বলেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী মামলার রায় ঘোষণার সময় এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এ মামলায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।
বিচারক রায়ে বলেন, এ মামলার সিডি (কেইস ডকেট) পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় সিডি গায়েব করা হয়েছে। আসামি আদনান সিদ্দিকী ঘটনাস্থল থেকে ধরা পড়েন। তিনি যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা অনেকটা গা বাঁচিয়ে দেওয়ার মতো। সোহেল চৌধুরী কোনো অখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন না। অথচ তিনি খুন হলেন আর ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার বলেছেন জেনেছি সোহেল চৌধুরী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় আহত অপর একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলে, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল। সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি। মানুষ তো অসীমকাল বিচারের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির আত্মা বিচার চায়।
আদালত আরও বলেন, আসামি আদনান সিদ্দিকী নিজের গা বাঁচিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি আজিজ মোহাম্মদ ভাই আদনান সিদ্দিকী ও বান্টি ইসলাম খুনের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
২৫ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মাত্র ১০ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। এই ১০ জনের মধ্যে আবার ৩ জন সোহেল চৌধুরীকে খুনের অভিযোগ সমর্থন করে আদালতে সাক্ষ্য দেননি।
রাষ্ট্রপক্ষ বাধ্য হয়ে তাঁদের বৈরী সাক্ষী ঘোষণা করে জেরা করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর গাড়িচালকসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। আবার গুরুত্বপূর্ণ ১২ সাক্ষীকে খুঁজে বের করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীন বলেন, আদালত থেকে ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে বের করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তাঁদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে হয়েছে।